ময়মনসিংহ তীব্র গরমে ঝুঁকিতে রেললাইন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ময়মনসিংহ তীব্র গরমে ঝুঁকিতে রেললাইন

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
ময়মনসিংহ তীব্র গরমে ঝুঁকিতে রেললাইন
ময়মনসিংহ নগরীর ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত শতবর্ষী রেলসেতুর স্লিপারে পচন ধরেছে। চুরি হয়ে গেছে বোল্ট

বছরের পর বছর অযত্ন আর অবহেলায় পচন ধরেছে রেলওয়ের স্লিপারে। কোথাও কোথাও নাট-বোল্টের অস্তিত্ব নেই। বেহাল অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতুগুলোতেও। কোনো রকমে ক্লিপ দিয়ে স্লিপারের সঙ্গে রেললাইন আটকে রাখা হয়েছে।

চলমান তীব্র দাবদাহে এসব রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে জোনের বেশির ভাগ অংশের এখন এ অবস্থা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, রেললাইন বেঁকে যাওয়া রোধে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের মধ্যে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ছাড়াও প্রকৃতি ও জড়বস্তুতেও এর প্রভাব পড়ছে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে শ্রীপুর, বিদ্যাগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, আঠারোবাড়ী, জারিয়া জাঞ্জাইল ও ভৈরব রেলপথের ব্যাপ্তি মোট ২০২ কিলোমিটার। এর পুরো অংশ ময়মনসিংহের রেলওয়ে জোনের আওতায়। সাধারণত তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। কিন্তু অন্যান্য বস্তুর চেয়ে লোহা অনেক বেশি তাপ পরিবহন করে। যেমন তাপমাত্রা যদি ৩০-৩৫ ডিগ্রি থাকে, রেললাইনের পাতে সেটা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। এ জন্য প্রচণ্ড তাপে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য লাইনে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত শতবর্ষী প্রাচীন রেলসেতু, শম্ভুগঞ্জ স্টেশনের কাছে কোরেরপাড় সেতুসহ শম্ভুগঞ্জ স্টেশন এলাকার রেললাইন ঘুরে দেখা যায়, অনেক কাঠের স্লিপারে হুক বোল্ট নেই। পুরোনো কাঠের স্লিপারগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লাইনের নিরাপত্তায় দেওয়া পাথর অনেকাংশেই কম। এর মধ্যে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়েছে। এমন সময় রেললাইন বেঁকে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

জয়নাল আবেদীন নামে স্থানীয় এক প্রবীণ খবরের কাগজকে বলেন, দীর্ঘ বছরেও কাঠের স্লিপার পাল্টানো হয় না। রেলসেতু ছাড়া মাটির ওপর দিয়ে চলা রেললাইনগুলোর অনেক জায়গায় পর্যাপ্ত পাথর নেই। ফলে ট্রেন এলে লাইন কাঁপতে থাকে। এ অবস্থায় অসহনীয় তাপমাত্রায় রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

রবিউল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, ময়মনসিংহ নগরীর রেললাইনে কংক্রিটের পাশাপাশি কাঠের স্লিপার রয়েছে। মাদকসেবীরা টাকার জন্য কাঠের স্লিপার থেকে মাঝেমধ্যেই হুক বোল্ট খুলে নেয়। এগুলো তদারকি করা দরকার।

জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই রেললাইন বেঁকে যায়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আমি মনে করি, এই গরমে ময়মনসিংহের রেললাইন দিয়ে চলাচল করা যাত্রীদের ঝুঁকি বেড়েছে। ব্রিটিশ আমলে এই রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকে সামান্য মেরামত ছাড়া বড় ধরনের কোনো মেরামতের উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি।’

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্লিপারের দুই পাশে কমপক্ষে আটটি করে ক্লিপ থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক স্লিপারেই ক্লিপের অস্তিত্ব নেই। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান এস এম আনোয়ারুল হক বলেন, ‘তাপমাত্রা বেশি হলে রেললাইন বেঁকে যায়। অনেক দেশ এই সমস্যা সমাধানে রেললাইনে সাদা রং ব্যবহার করছে। কারণ সাদা রং সবচেয়ে কম তাপ শোষণ করে। তাতে ৫-১০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কম হয়। রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে হলে দুই পাশে গাছপালা লাগানো যেতে পারে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আকরাম আলী বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে পুরোনো রেললাইন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন লাইন ত্রুটিমুক্ত রাখতে কাজ করা হচ্ছে। গরমে টহল টিমের সদস্য বাড়ানো হয়েছে। সমস্যার কোনো নমুনা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রেজাল্টে মেয়েকে ছাড়িয়ে গেলেন মা ৪৪ বছর বয়সী মা ইউপি সদস্য

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
রেজাল্টে মেয়েকে ছাড়িয়ে গেলেন মা ৪৪ বছর বয়সী মা ইউপি সদস্য
নুরুন্নাহার বেগম ও নাসরিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এসএসসির রেজাল্টে মেয়েকে ছাড়িয়ে গেলেন মা। ৪৪ বছরের নুরুন্নাহার বেগম উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার)। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

রবিবার (১২ মে) পরীক্ষার রেজাল্টে তিনি জিপিএ-৪.৫৪ পেয়েছেন। একইসঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছেন তার মেয়ে ১৮ বছরের নাসরিন। তিনি পেয়েছে জিপিএ-২.৬৭।
 
মা ও মেয়ের একসঙ্গে পাস করার ঘটনা এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সবাই ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নুরুন্নাহার বেগমের প্রশংসা করছেন। নুরুন্নাহারের পরিবারেও বইছে আনন্দের বন্যা। স্বজনরা ছুটে আসছেন তার বাড়িতে। 

নুরুন্নাহার বেগম জানান, তিনি আরও পড়তে চান। অনেক বিপত্তি পেরিয়ে তার এই এগিয়ে চলা। নিজের দুই সন্তানকেও পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পড়াশোনার কোনো বয়স নেই বলে মনে করেন তিনি। 

মা নুরুন্নাহার বেগম ও মেয়ে নাসরিন আক্তার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়া ওয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। মা কারিগরি বিভাগ থেকে ও মেয়ে স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। নুরুন্নাহার বেগম জিপিএ-৪.৫৪ ও মেয়ে নাসরিন জিপিএ-২.৬৭ পেয়েছেন। 

নুরুন্নাহার আরও বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছিলেন রক্ষণশীল। এ অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারিনি। একপর্যায়ে মেম্বার নির্বাচিত হই। এ নিয়ে দুবার মেম্বার হয়েছি। সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশোনা করি। কারণ লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই।’

নুরুন্নাহারের ছোট ভাই স্বপন আহমেদ এ বিষয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘বোনের পাস করার খবরে কি যে খুশি হয়েছি, তা বলে বোঝানো যাবে না। একইসঙ্গে ভাগ্নি পাস করলেও তার খবরটি না দিয়ে ফেসবুকে বোনের রেজাল্টের স্ট্যাটাস দিয়েছি।’

ভয়াল ১৩ মে আজ , ২৮ বছর পরেও তাড়া করে সেই প্রলয়ঙ্কর স্মৃতি

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৯:২০ এএম
ভয়াল ১৩ মে আজ , ২৮ বছর পরেও তাড়া করে সেই প্রলয়ঙ্কর স্মৃতি
ছবি : সংগৃহীত

দেখতে দেখতে কেটে গেছে ২৮ বছর। তবুও চোখের পলক ফেললে মনে হয় এই তো সেদিন। ১৯৯৬ সালের ১৩ মে বিকেলের ভয়ার্ত স্মৃতি ভেসে ওঠে মানসপটে। এত বছর পরও টাঙ্গাইলের মানুষ ভুলতে পারেনি ভয়াল ১৩ মের টর্নেডোর সেই তাণ্ডবের স্মৃতি। এ দিনটি টাঙ্গাইলবাসীর জন্য শোক ও আতঙ্কের দিন।

সোয়া দুই যুগেও কাটেনি সেই আতঙ্ক। এখনো স্মৃতি রোমন্থন বা ঘুমের ঘোরে শিউরে ওঠে জেলার পাঁচ উপজেলার মানুষ। ২৮ বছর আগে ১৯৯৬ সালের এই দিনে মাত্র প্রায় পাঁচ মিনিট স্থায়ী টর্নেডোর ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবলীলায় জেলার ৫২৩ জন নিহত ও ৩০ হাজার মানুষ আহত হন।

টর্নেডোর ছোবলে ৮৫ হাজার ঘরবাড়ি, ৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৭টি মসজিদ এবং ১৪টি মন্দির লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। সেদিন বিকেলে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মুহূর্তের মধ্যে জেলার গোপালপুর, কালিহাতী, বাসাইল, ঘাটাইল ও সখীপুর এ পাঁচটি উপজেলার ৪০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা, গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। অনেক মানুষের পরনের কাপড় পর্যন্ত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অনেককে সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন ক্ষতবিক্ষত দেহে বিভিন্ন কৃষি জমি, জঙ্গল, পুকুর-ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও নলকূপের ওপরের অংশ এমনকি দোতলা দালানের ছাদ পর্যন্ত উঠে যায়।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৩ মে ছিল সোমবার। বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে আকস্মিকভাবে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রাম থেকে শুরু হওয়া প্রায় পাঁচ মিনিট স্থায়ী প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় (টর্নেডো) আলমনগর ইউনিয়ন হয়ে মির্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নুঠুরচর গ্রামে হানা দেয়। মাত্র দুই মিনিটের ছোবলে গোপালপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। নিহত হন ১০৪ জন। এ ছাড়া চার হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী আহত হন। ঝড়ে ২০০ একর বোরো জমির পাকা ধান বিনষ্ট হয়ে যায়। ১০ হাজার গৃহপালিত পশু-পাখি মারা যায়। পরে টর্নেডো কালিহাতীতে হানা দেয়। ওই দিনই বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কালিহাতী উপজেলার তাঁতসমৃদ্ধ এলাকা রামপুর-কুকরাইল গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। রামপুর ও কুকরাইল গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ওই দুই গ্রামের একই পরিবারের ৭ জনসহ ১০৫ জন নিহত এবং চার শতাধিক মানুষ আহত হন। 

বাসাইলের মিরিকপুরে ধান কাটার মৌসুম থাকায় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার শ্রমিক সমবেত হয়েছিলেন। ঝড় থেকে রক্ষা পেতে মিরিকপুর-সৈদামপুরের ধান খেতের আতঙ্কগ্রস্ত বহু শ্রমিক মিরিকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভবনে আশ্রয় নেন। সেদিন বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা টর্নেডোর ছোবলে স্কুল ভবনটি বিধ্বস্ত হওয়ায় তারা সেখানেই চাপা পড়ে মারা যান। গ্রামের বহু লোক নিখোঁজ হন। পরদিন তাদের লাশের খোঁজ মেলে পাশের নদী, পুকুর, খাল-বিল ও জলাশয়ে। মিরিকপুর ছাড়াও ওই উপজেলার বর্নীকিশোরী, হান্দুলিপাড়া, কলিয়া, কাউলজানী, খাটরা, ফুলকী, বাদিয়াজান, সুন্না গ্রামের অংশবিশেষ টর্নেডোর ছোবলে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়। বর্নীকিশোরী উত্তরপাড়ার এক পরিবারের লাশ প্রায় আধা মাইল দূরের বিল থেকে উদ্ধার করা হয়। অনেক পরিবারের কেউই জীবিত ছিলেন না। বাসাইল উপজেলা হাসপাতালসহ পাশের হাসপাতালগুলো আহত লোকজনে ভরে গিয়েছিল। উপজেলায় টর্নেডো আক্রান্ত  এলাকায় একাধিক গণকবর তৈরি করা হয়েছিল। 

ঘূর্ণিঝড়ে বাসাইল উপজেলার ১৭ গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবারের প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিন হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৫-৬টি কাঁচাবাজার, প্রায় দুই হাজার গবাদিপশু, ১০ হাজার হাঁস-মুরগি, সাড়ে ৩০০ টিউবওয়েল ও ২৫ হাজার গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৩৭ জনে দাঁড়ায়। তবে বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ছিল আরও অনেক বেশি।

মায়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
মায়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ‌্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে আরাকান আর্মির গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার (১২ মে) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ওপারে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব‌্যক্তি নাইক্ষ‌্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বামহাতিরছড়া গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে আবুল কালাম (২৬)। 

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, আবুল কালাম প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলারের ওপারে ছেলিরঢালা এলাকা দিয়ে মায়ানমারের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি সে দেশের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির এক সদস্যের সঙ্গে কোনো এক বিষয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে আবুল কালামের মাথায় গুলি করে আরাকান আর্মির সদস্য। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কালামের মৃত্যু হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে তার ইউনিয়নের এক বাসিন্দাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১২ মে) চট্টগ্রামের অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় উত্তরা ব্যাংকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপারকে (অভিবাসন) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল ইসলাম। মুজিবুর রহমান সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্য তিনজন একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। এ মামলায় নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম, তার আরেক ছেলে সাইফুল এবং তাদের দুই প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে সানোয়ারা ডেইরি ফুডস ও ইউনিল্যাক সানোয়ারা বিডি লিমিটেডকে বিবাদী করা হয়েছে। 

৩০ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ করছিলেন না নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চারজন। এমনকি নালিশি ঋণে সুদ মওকুফ সুবিধা দিয়ে পুনঃতফসিল করে দেওয়ার পরও তারা ঋণটি পরিশোধ করছেন না। তাদের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আছে এবং তারা দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন।

বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, উত্তরা ব্যাংক থেকে যে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার বিপরীতে ব্যাংকে কোনো সম্পত্তি বন্ধক নেই। বিবাদীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর করেছিল ব্যাংক। 

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নার্স দিবসে র‍্যালি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নার্স দিবসে র‍্যালি
ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) দুপুরে সদর হাসপাতাল থেকে ব্যান্ডপার্টিসহ একটি র‍্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে সদর হাসপাতালের মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা  হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমান। 

বক্তব্য রাখেন, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম।

উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সেবা তত্ত্বাবধায়ক ডা. রুপালী রায়, সিনিয়র স্টাফ নার্স আমেনা বেগম ও উপসেবা তত্বাবধায়ক বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা জানান, চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রধান কাজ নিজের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। রোগীর স্বজন এবং রোগীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে।  নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। একজন নার্স-ব্রাদার তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলেই সরকার যে লক্ষ্যে কাজ করছে তা নিশ্চিত হবে।

গিয়াস চৌধুরী/অমিয়/