বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটযুদ্ধে বাকেরগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থী প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এরই মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে দলীয় প্রতীকবিহীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ অঞ্চলের ভোটাররা প্রার্থীদের ব্যক্তি ইমেজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভোটারদের কাছে টানতে প্রার্থীরা গণসংযোগ, সভা-সমাবেশে নিজেদের উপস্থাপন করছেন। এরই মধ্যে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে দূরদর্শী নেতৃত্বের অভাবে বাকেরগঞ্জ উপজেলা অনেকটা পিছিয়ে ছিল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মধ্যেও শুধুমাত্র যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে বৃহত্তর এই উপজেলা এখনো অবহেলিত। স্থানীয় সরকারের নানান ব্যর্থতায় কেন্দ্র থেকে আসা উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত ছিল উপজেলাবাসী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেজর জেনারেল হাফিজ মল্লিক এমপি নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনি প্রচারে বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির মতাদর্শে বিশ্বাসী বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে পালন করছেন। এরই মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং জনসম্পৃক্ততা থাকায় এলাকায় তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে। যে কারণে বাকেরগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশাকে নির্বাচিত করতে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পর বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। উপজেলার উন্নয়ন তরান্বিত করতে বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে। কারণ দীর্ঘ বছর এখানে এমপি ছিলেন জাতীয় পার্টির আর চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের। এতে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ের অভাব ছিল। ফলে এই এলাকা উন্নয়নের দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একই মতাদর্শের হলে বাকেরগঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তাই বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশাকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই। ভোটাররা তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
জানতে চাইলে বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও আমি এর অপব্যবহার করিনি। রাজনীতিকে সম্পদ অর্জনের সিঁড়ি হিসেবেও বিবেচনা করিনি। আমার প্রতি জনগণের যে আস্থা তৈরি হয়েছে তা আমৃত্যু ধরে রাখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি মানুষের আস্থা অর্জন করার চেয়ে মহৎ কোনো কাজ একজন রাজনৈতিক কর্মীর হতে পারে না। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অবহেলিত বাকেরগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করব।