গাজীপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের পর হত্যা, ৭ জনের যাবজ্জীবন । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

গাজীপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের পর হত্যা, ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
গাজীপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের পর হত্যা, ৭ জনের যাবজ্জীবন

অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যার দায়ে সাত জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আলম মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম, রিপন খন্দকার ও মো. তানজিল আদালতে উপস্থিত ছিল। শাহ আলম ও মিলন খন্দকার জামিন নিয়ে পলাতক এবং শফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সোহেলের পিতার মোবাইলে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহেলের সন্ধান লাভের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ নামক স্থানে গজারী বনের ভিতরে ছেলের লাশ পড়ে থাকার খবর পান। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফজলুল হক বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন অজ্ঞাতনামা খুনিরা অজ্ঞাত কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে মো. সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে গলায় প্লাস্টিকের সুতলী প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য লাশ ঘটনাস্থল লুটিয়ারচালা এলাকার মিনারদাগ গজারী বনের ভিতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর আদালত সাত আসামিকে ওই সাজা প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।

পলাশ প্রধান/এমএ

তুষভাণ্ডার বাজারে আগুনে পুড়ল ২০ দোকান

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
তুষভাণ্ডার বাজারে আগুনে পুড়ল ২০ দোকান
ছবি : খবরের কাগজ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে হঠাৎ আগুন লাগে। 

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, তুষভাণ্ডার পাশা মার্কেটে দুপুরে পল্লী চিকিৎসক সবুজের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। পড়ে সেই আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। কালীগঞ্জ ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

তুষভাণ্ডার বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব মিলু জানান, আগুনে বাজারের মালামাল, কসমেটিক, চায়ের দোকানসহ ছোট-বড় ২০-২৫টি দোকান পুড়ে গেছে।

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৪ নদীর পানির হিস্যা দাবিতে প্রচারাভিযান

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৪ নদীর পানির হিস্যা দাবিতে প্রচারাভিযান
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরায় ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানি ন্যায্য হিস্যার দাবিতে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতি প্রচার অভিযান চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এ প্রচারাভিযান শুরু হয়। এ সময় পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এ প্রচার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, যশোর কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যরা।

এ প্রচারাভিযানে ভারতের কাছ থেকে ফারাক্কা, তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর ন্যায্য হিস্যা অদায় করা, পদ্মা থেকে জিকে প্রোজেক্টে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বক্তরা।

কাশেমুর শ্রাবণ/জোবাইদা/অমিয়/

সাভারে বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
সাভারে বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভ করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকার সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নরসিংহপুর-কাশিমপুর শাখা সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।

এর আগে সকালে কাজে যোগ দিতে গেলে কারখানার গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায় শ্রমিকরা। 

নোটিশে বলা হয়, ‘ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেডে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের সিদ্বান্ত অনুযায়ী অত্র কারখানার সকল সেকশন আগামী ১৬ মে রোজ বৃহস্পতিবার ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেড-এর সকল শাখা সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সকলকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হল।’

ওই কারখানার শ্রমিক মো. বকুল জানায়, শ্রমিকদের গত এপ্রিল মাসের বেতন ১০ মে পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু বেতন পরিশোধ না করে পুনরায় ১৫ মে পরিশোধের দিন নির্ধারণ করেন। আবারও গতকাল বেতন পরিশোধ না করে আগামী ২১ মে বেতন পরিশোধের দিন ধার্য্য করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মালিকপক্ষের এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা মেনে নেয়নি। আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গেলে গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। পরে শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

শাহীন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘প্রতিমাসে বেতনের সময় টালবাহানা করে কর্তৃপক্ষ। সময়মতো বাসা ভাড়া, দোকান বাকি পরিশোধ করতে পারি না। এ জন্য বাড়ির মালিক ও দোকানদারের কথা শুনতে হয়। আমরা কাজের টাকা চাই, আমরা তো দান চাই না। আমরা দ্রুত এবং সময়মতো বেতন পরিশোধের দাবি জানাই।’ 

ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার বেলাল হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। তারা গত এপ্রিল মাসের বেতন পাবেন। গতকাল বেতন প্রদানের কথা থাকলেও টাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে আগামী ২১ মে বেতন প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। গতকালই শ্রমিকরা কারখানার সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে আন্দোলনের চেষ্টা করে। পরে আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানায় আসলে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়। কারখানা ভাঙচুরের আশঙ্কা থেকে আমরা আজকের দিনের জন্য কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি। আগামী ২১ তারিখের আগে কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন প্রদান করতে পারবে না। আমরা শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।’ 

আশুলিয়া শিল্পপুলিশ ১-এর সহকারী পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সাহা খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত ছিলাম। শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ইমতিয়াজ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/  

কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
দুর্ঘটনার পর ট্রেন আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মীম আক্তার নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১০টার দিকে সদরের রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে মাজার গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মীম রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে রসুলপুর পূর্বপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।

এদিকে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মহানগর প্রভাতী ট্রেন আটকে রাখে। পরে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় ১০ মিনিট পর ট্রেনটি ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় রসুলপুর মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল মীম। এ সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস একসঙ্গে ক্রস করছিল। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেন না দেখায় চট্টলা এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে মারা যায়।

এই খবরে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয়। এ সময় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন আটকে রাখে তারা। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, স্কুলে আসার সময় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মীমের মৃত্যু হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরে চট্টগ্রামের দিকে যাওয়া মহানগর প্রভাতী ট্রেনকে আটকে রেখে বিচার দাবি করে। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

জহির শান্ত/ইসরাত চৈতী/অমিয়/ 

সহপাঠীকে স্পর্শ করে অসুস্থ ২৫ শিক্ষার্থী, বরগুনার স্কুল বন্ধ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
সহপাঠীকে স্পর্শ করে অসুস্থ ২৫ শিক্ষার্থী, বরগুনার স্কুল বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

সহপাঠীকে স্পর্শ করলেই অসুস্থ হচ্ছে আরেক সহপাঠী। কেউ কান্না করছে, কেউ চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে, কেউ কেউ আবার জ্ঞান হারিয়ে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়ছে। একজন অন্যজনকে স্পর্শ করলেই দ্বিগুণ মাত্রায় বাড়ছে এ অসুস্থতা। কিছুদিন আগে ভোলার একটি বিদ্যালয়ে এমন ঘটনার পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল বরগুনার বেতাগীর হোসনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। 

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং  সহপাঠীরা তাকে স্পর্শ করলে একে একে ২৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি কেউ। তবে ভোলার মতো একই পরিস্থিতি হওয়ায় এটিও পূর্বের ব্যাখ্যার মতো গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলে মনে করছেন অনেকে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্রীদের নন্দিনী কর্নারের কক্ষে প্রবেশের পর থেকেই এমন অস্বাভাবিক আচারণ ও শারীরিক অস্বস্তি শুরু হয়। এরপরই ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, সকাল ১০টার পরপরই বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা একের পর এক অসুস্থ হতে শুরু করে। প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী মুহূর্তেই অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবকদের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনার কোনো সঠিক কারণ এখনো খুঁজে পায়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক নান্না মিয়া বলেন, ‘অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রী। তারা নাকি নন্দিনী কর্নারে প্রবেশ করতেই কালো বিড়াল, সাদা বিড়াল, লাল দাগসহ বিভিন্ন প্রতীক দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আসলে সেখানে ওইসব কিছুই ছিল না, পুরোটাই কল্পনাপ্রসূত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ক্লাস করানো সম্ভব নয় তাই একদিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।’ 

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘অসুস্থ ছাত্রীরা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টা অবাক করার মতো। প্রধানশিক্ষককে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।’ বেতাগী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’