চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর অনুপনগর ও কালীনগরে ৬, ৭ ও ৮নং বাঁধ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তিনটি বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। তারপরও বন্ধ হয়নি অবৈধ বালু উত্তোলন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর অনুপনগরে আবুল কালাম আজাদ বাবুর নেতৃত্বে আব্দুর রশিদের সহায়তায় ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ৬নং বাঁধ এলাকায় মমিন মাস্টারের নেতৃত্বে, ৭নং বাঁধ এলাকায় তৈমুর, সফিক কাটানি ও কালুর নেতৃত্বে এবং ৮নং বাঁধ এলাকায় লুটু মেম্বারের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে।
একই বাঁধ এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলন করছে তারেক নামে এক ব্যক্তি। এদিকে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধগুলো।
এদিকে ৬, ৭ ও ৮নং বাঁধ এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনকে ম্যানেজের নাম করে জনৈক জাফরুল প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে জাফরুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি ওইসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আর যদি জড়িতই থাকতেন তাহলে বৃহস্পতিবার (২ মে) যে দুটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে তা তারই হতো, কিন্তু সেটি তারেকের।
এলাকার প্রতিপক্ষরা তার নামে এসব রটাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে ৭নং বাঁধ এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত তৈমুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালু উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘সেখানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল কিন্তু বর্তমানে বন্ধ আছে।’
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তাছমিনা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং খবর পেলেই অভিযান চালানো হয়।’
জহুরুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/