ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠক: প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠক: প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি
সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে পাঁচ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত রবিবার রাতে সিরাজগঞ্জের কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গ্রামের গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে প্রিসাইডিং অফিসারকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এ ঘটনার বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার ডিবি পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করছেন। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনো ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম আমরা প্রকাশ করছি না।’

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম চলছে, এ বিষয়ে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের পর রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।’

গ্রেপ্তার প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা হলেন- যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদরাসাকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু সামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক পিএলসি শহরের এসবি ফজলুল হক সড়ক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত।

এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলাম।

সিরাজুল/পপি/অমিয়/

সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম
সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: খবরের কাগজ

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে যে প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে জামায়াত ইসলামী তাকে স্বাগত জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা প্রয়োজন। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গীরা আমাদের রক্তের সাগরে ভাসিয়েছেন। তারা আমাদের গুম ও খুন করেছেন। কারাগারে নির্দয়ভাবে আটকে রেখেছেন।’

ছবি: খবরের কাগজ

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘শাপলা চত্বরের খুনি, বিডিআরের খুনি ও সাঈদী সাহেবের খুনিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এক কথায়, সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে পারে না।’

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিন। সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করবে।’

উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ভিপি সাহাব উদ্দিন। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মু. ইব্রাহিম, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী ফরায়েজী, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবদুর রহিম, উপজেলা মসলিসে শুরা সদস্য নুরে আলম মিয়াজী, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির কাজী এয়াছিন, সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন ওপেল, কর্মপরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, অধ্যাপক আবদুল কাদের, মাওলানা আবুল হাশেম প্রমুখ।

জহির শান্ত/মাহফুজ

রাঙামাটির কাউখালীতে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
রাঙামাটির কাউখালীতে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাঙামাটির কাউখালীতে বাড়ির মালিকের হাতে ২২ বছর বয়সী এক মারমা তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কাউখালী থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পরপরই আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মো. ফাহিম (২৫) পালিয়েছেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কাউখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জানিয়েছেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ভুক্তভোগী গত বৃহস্পতিবার কাউখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী। আসামি ফাহিম উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ারের ছেলে।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী তরুণী উল্লেখ করেন, পোয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। আসামি গত ১৭ এপ্রিল রাতে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। বাধা দিলে ফাহিম তাকে মারধর করেন। আহত হয়ে তিনি কাউখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং পরে থানায় অভিযোগ করেন। এর আগেও আসামি মো. ফাহিম গত ২৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান বলেন, ভুক্তভোগীকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য তরুণীকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে জেলা শহরের পানখাইয়াপাড়ার মধুপুর ও নোয়াপড়া এলাকায় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রায় ৭ ঘণ্টা ব্লক রেইড চালিয়েছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী। তবে অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে তাদের পরিবারের।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল থেকে জেলা শহরের পানখাইয়াপাড়া, মধুপুর ও নোয়াপাড়া এলাকায় টানা প্রায় ৭ ঘণ্টা যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং পাহারা জোরদার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, ‘অপহৃতদের উদ্ধারে বুধবার রাত থেকেই যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। আমাদের মিশন হচ্ছে তাদের অক্ষত উদ্ধার করা এবং অপহরণকারীদের আইনের আওতায় আনা।’ 

প্রসঙ্গত, বৈসাবি উৎসব শেষে গত বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকা থেকে অটোরিকশা চালকসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা ও মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং লংঙি ম্রোকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ি কিছু অস্ত্রধারী। পরে অটোরিকশাচালককে ছেড়ে দিলেও এখন পর্যন্ত বাকি পাঁচ শিক্ষার্থীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই অপহরণের জন্য প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইডেট পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগী ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। তবে অপহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউপিডিএফ।

অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো অভিযোগ করা না হলেও সন্তানদের ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন তারা। অপহরণের শিকার দিব্যি চাকমার মা ভারতী চাকমা বুধবার বিকেলে তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্লিজ কারোর মায়ের বুক খালি না করে দোষ থাকলে, অন্যায় করলে উপযুক্ত শাস্তি দিন। তবুও সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারোর বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন আমাদের সন্তান।’

দিদারুল আলম রাজু/মাহফুজ

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিতে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতা দেওয়া হয়েছে: মনির হায়দার

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিতে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতা দেওয়া হয়েছে: মনির হায়দার
ছবি: খবরের কাগজ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি সাংবাদিক মনির হায়দার বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির বিষযটি রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টপোষকতা করা হয়েছে। ফলে এটা ব্যাপকতা লাভ করেছে। দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতির মধ্য দিয়ে দুর্নীতি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

বক্তৃতায় মনির হায়দার বলেন, খুব বেশি করাপশান (দুর্নীতি) ও ইররেগুলেটারিজের (অনিয়ম) জন্য যে কয়েকটি ক্ষেত্র অনেক দিন থেকে চিহ্নিত তার মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্যখাত আছে; আরও অনেক খাত আছে। এগুলোর জন্য স্বাস্থ্যখাত ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তাদের দায়-দায়িত্ব কতটুকু? তার চেয়ে বড় হল যে, রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টপোষকতা দেওয়ায় অনেক দূরে চলে গিয়েছে। 

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যেখানে সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেন তাকে বলে পাবলিক অফিস। পাবলিক অফিসের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই হল গণতন্ত্রের প্রধানতম লক্ষ্য। দেশে দীর্ঘদিন গণতন্ত্র ছিল না। গণতন্ত্র না থাকার সবচাইতে বড় কুফল হলো- সমাজে দুইটি জিনিসের ভয়ঙ্কর রকমের ঘাটতি তৈরি হয়। সেগুলো হলো- ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) এবং একাউন্টেবিলিটি (জবাবদিহিতা)। এটা একটু রাজনৈতিক বক্তব্য মনে হতে পারে কিন্তু আসলে এটি রাজনৈতিক না। আমরা গণতন্ত্র বলতে বুঝি একটা নির্বাচন। থার্ড ওয়াল্ডে এইভাবে চিন্তা করা হয়। কিন্তু সিভিলাইজড ওর্য়াল্ড যে সমস্ত দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয়; তারা গণতন্ত্র বলতে নির্বাচনকে বোঝে গণতন্ত্রে প্রবেশের দরজা হিসেবে। আর গণতন্ত্র বলতে তারা বোঝে এবং বোঝায় ট্রান্সপারেন্সি এবং একাউন্টেবিলিটি। একটা সিস্টেম যেখানে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকবে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো আধুনিক সমাজ হয় না। 

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাহারিয়া শায়লা জাহান। অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। 

নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ কর্মস্থল তৈরিতে করণীয় সম্পর্কিত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে এক দিনের সরকারি সফরে সড়ক পথে শুক্রবার সকালে তিনি নিজ জেলা মেহেরপুরে যান।

 বিন ইয়ামিন/মাহফুজ

আগুনে পুড়ল ৪৫ হাজার মুরগি, ১২ কোটি টাকার ক্ষতির দাবি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
আগুনে পুড়ল ৪৫ হাজার মুরগি, ১২ কোটি টাকার ক্ষতির দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

যশোরে আফিল মুরগি ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শেডে থাকা প্রায় ৪৫ হাজার মুরগি মারা গেছে। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ফার্মটির একটি শেডে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। বিকেল ৪টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

যশোর ও মনিরামপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করেন। তবে এরমধ্যে শেডে থাকা প্রায় ৪৫ হাজার মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুরগি ও মেশিনারিজ সরঞ্জামে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ফার্ম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও নিরূপণ হয়নি বলে জানিয়েছেন যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ। 

আফিল মুরগি ফার্মের ব্যবস্থাপক মফিজ উদ্দিন জানান, দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এরমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ফার্মটির একটি শেড সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪৫ হাজার মুরগি ছিল। সব মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এছাড়া শেডের ভেতরে থাকা সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং মুরগি প্রসেসিং-এর স্বয়ংক্রিয় মেশিনও সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা হবে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গেছিলাম। যশোর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এবং মনিরামপুর থেকে আরও দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফার্মটির কর্মচারীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটাও খুঁজছি। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এইচ আর তুহিন/মাহফুজ