প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত মাদারীপুরের সদর ও রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জেলার পুলিশ লাইনস্ মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন কর্মকর্তারা। পরে ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
এ সময় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় ১১৭টি ও রাজৈর উপজেলায় ৬৯টি ভোট কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ২০জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ সুপার জানান, ৮ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, সদর উপজেলায় ২৯টি ও রাজৈরে ১৪টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সদরে সাতটি ও রাজৈরে তিনটি স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। সদর উপজেলায় ছয় প্লাটুন বিজিবি ও রাজৈরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে জেলায় গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করবেন। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান এবং শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান প্রার্থী হয়েছেন।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সদর উপজেলায় মোট ভোটার তিন লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৬ হাজার, নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৪২১ জন। আর পাঁচ জন রয়েছে অন্যান্য ভোটার। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৭টি, যেখানে ৭৯৪টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।
রাজৈর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজৈর উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ দুই হাজার ৩৫৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন, নারী ভোটার ৯৬ হাজার ৯০৯ জন ও অন্যান্য ভোটার দুইজন। এই উপজেলায় ৬৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫০০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
রফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/