পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় সিঙ্গাপুর প্রবাসী নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে নিয়ে এলেন বধু ৷ নতুন দম্পতিকে দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জেলার বোদা উপজেলায় মাড়েয়া ইউনিয়নের মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল মাঠে এসে অবতরণ করে।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম শহীদ নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসার স্বপ্ন থেকেই এই উদ্যোগ বলেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ঢাকা থেকে মেঘনা এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টারযোগে নিজ গ্রামের বিদ্যালয় মাঠে এসে অবতরণ করলে তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান পরিবারের লোকজন ৷
জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম শহীদ জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আলোকপাড়া গ্রামের শহর আলী ও রহিমা বেগমের পঞ্চম ছেলে। শহীদ ২০২৭ সালে সিঙ্গাপুরে গিয়ে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করেন। এরপর প্রাইভেট কোম্পানিতে কিছুদিন চাকরি করলেও বর্তমান নিজের কনন্ট্রাকশন কোম্পানি পরিচালনা করে আসছেন তিনি। এর মধ্যে ২০২৩ সালের নভেম্বরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে সিঙ্গাপুরি এই তরুণীকে বিয়ে করে জীবনসঙ্গী করেন তিনি।
এসময় কথা হয় স্থানীয়দের সঙ্গে। তারা বলেন, টিভি ও মোবাইলে হেলিকপ্টারের অনেক ছবি দেখেছি। কিন্তু কখনও সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আজ আমাদের এলাকার ছেলে এই সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে হেলিকপ্টার ও নববধূকে দেখতে এসেছি।
এবিষয়ে স্থানীয় আলেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কয়দিন থেকে শুনতেছি আমাদের এলাকার বিদেশি বউ হেলিকপ্টারে আসবে। তাই সকাল সকাল থেকে অপেক্ষা করছি ৷
একই কথা বলেন আমিরুল ইসলাম, তিনি বলেন,আমাদের এলাকার ছেলে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে এসেছে। এই চিত্র দেখে আমাদের এলাকাবাসী অনেক আনন্দিত। আগে কখনও হেলিকপ্টার দেখিনি,আজ নিজ চোখে দেখতে পেয়ে অনেক খুশি আমরা।
এদিকে শহীদের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। সে সেখানে বিয়ে করে নতুন বউকে নিয়ে এবার প্রথম গ্রামে এসেছে। তার স্বপ্ন ছিল নববধূকে হেলিকপ্টার নিয়ে আসবে। তাদের আসার পর আমরা তাদের বরণ করে নিয়েছি।
এবিষয়ে শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন , দীর্ঘ সময় ধরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছি। আমার স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে করে আমার স্ত্রী ও ডাইরেক্টরকে নিয়ে বাংলাদেশে আসবো। সে স্বপ্ন থেকে আজ নিজ জন্মভূমিতে ফিরেছি। খুব ভালো লাগছে, আমাদের বরণ করে নিতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষ এসেছে । আরও ভালো লেগেছে যে স্কুল থেকে পড়াশুনা করে আজ আমি বাইরের দেশে ঠিক সেই স্কুল মাঠেই আমাদের হেলিকপ্টার অবতরণ হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চাই আমরা যেন সুখী হতে পারি।