ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ের যন্ত্রাংশসহ হাতেনাতে আটক হয় রেলওয়ের তিন কর্মচারী। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা বলছেন, এগুলো রেলের যন্ত্রাংশ নয়, আবর্জনা!
বিষয়টি নিয়ে আখাউড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার (৬ মে) দুপুরের দিকে আখাউড়া রেলওয়ে থানার সামনে দিয়ে কিছু ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা লোকোশেড বিভাগে কর্মরত জসিম উদ্দিন, মানিক দাস ও জীবন দাস নামে তিনজনকে আটক করে যন্ত্রাংশগুলো কোথায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানতে চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মালামালসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। তার মধ্যস্থতায় এক লাখ টাকা দিয়ে তিনজনকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। সেই সাংবাদিক নেন ১০ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেলওয়ের একটি চক্র এর আগেও যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যায়। মূলত রেলওয়ে কলোনিতে অবৈধভাবে বসবাসরত মো. ইয়ার হোসেন নামে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী এসব মালামাল কিনে নেন।
এ বিষয়ে কথা হলে আটক হওয়া লোকোশেড কর্মচারী জীবন দাস জানান, এসব মালামাল দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যন্ত্রাংশ। ডাম্পিং স্টেশনে রাখার জন্য তারা মালামালগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আরএনবি সদস্যরা বিষয়টি জানতে চান। পরে তারা মালামালগুলো নিয়ে যায়।
কাগজপত্র দেখিয়ে মালামালগুলো নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরএনবি মালামাল নিয়ে যাওয়ার খবরে স্থানীয় এক সাংবাদিক ছুটে আসেন। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেননি।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের লোকোশেড ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এসব মালামালের বিষয়ে কিছু জানি না। আমাদের এখান থেকে কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। এগুলো আমাদের মালামাল নয়। কোথা থেকে এসেছে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আরএনবি’র হাতে জব্দ এসব মালামাল আমাদের নয়। মালামাল কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এ বিষয়টি আমার জানা নেই।’
জুটন বনিক/জোবাইদা/অমিয়/