আপিলেও টিকল না সেতুমন্ত্রীর ভাইয়ের মনোনয়ন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

আপিলেও টিকল না সেতুমন্ত্রীর ভাইয়ের মনোনয়ন

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
আপিলেও টিকল না সেতুমন্ত্রীর ভাইয়ের মনোনয়ন
ভাই শাহাদাত হোসেন

যাচাই-বাছাইয়ের পর এবার আপিলেও টেকেনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিলের রায় বহাল রাখেন।

এ সময় দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চারজন প্রার্থীর আপিল শুনানি ছিল। হলফনামায় তথ্য গোপন রাখায় তাদের সবার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে শাহাদাত হোসেনও রয়েছেন।’

মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল, তা আমার জানা ছিল না। এসব মামলা আগেই আদালতে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেই কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে। তবু জেলা প্রশাসক আমার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি উচ্চ আদালতে যাব।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হন। তারা হলেন, ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী।

না ফেরার দেশে বিশিষ্ট লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:০২ পিএম
না ফেরার দেশে বিশিষ্ট লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেন
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দীন হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দীন হোসেন। যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সোমবার (২০ মে) বিকেল পাঁচটার দি‌কে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ ক‌রেন (ইন্না লিল্লা‌হি…রা‌জিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। 

গত বৃহস্প‌তিবার কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেনকে হাসপাতাল‌টি‌তে ভ‌র্তি করা হয়। শারী‌রিক অবস্থার অবন‌তি হওয়ায় তাকে ভে‌ন্টি‌লেশন সা‌পোর্ট দেওয়া হ‌চ্ছিল।

হোসেনউদ্দীন হোসেনের ছোট মেয়ে শাহনাজ রাহানা রত্না জানান, ২০১৯ সালে বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। পরে গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। তিনি কিডনির সমস্যায়ও ভুগছিলেন। এর মধ্যে গত ১৪ মে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন তাকে যশোর শহরের কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে সিএমইচে স্থানান্তর করা হয়। 

ইতিহাসবিদ, ঔপন্যাসিক, কবি ও সাংবাদিক হোসেনউদ্দীন হোসেন ১৯৪১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গ্রামে এক বনেদী কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

শৈশবেই কবিতা লিখতে শুরু করেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় হাতে লেখা পত্রিকা প্রকাশ করেন। তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে কলকাতার দৈনিক লোকসেবক পত্রিকায় ছোটদের বিভাগে। এরপর পর্যায়ক্রমে কলকাতা ও ঢাকার বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত তার গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। 

হোসেনউদ্দীন হোসেনের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা মোট ১৭টি। এর মধ্যে রয়েছে- যশোরাদ্য দেশ, যশোর জেলার কিংবদন্তি, অমৃত বৈদেশিক, ভলতেয়ার ফ্লবেয়ার কলসত্ব ত্রয়ী উপন্যাস ও যুগমানস, ঐতিহ্য আধুনিকতা ও আহসান হাবীব, বাংলার বিদ্রোহ, নষ্ট মানুষ, প্লাবন এবং একজন সাধুহাটির লোকজন, ইঁদুর ও মানুষেরা, সোনালি জলের কাঁকড়া, সমাজ সাহিত্য দর্শন, রণক্ষেত্রে সারাবেলা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ইত্যাদি। 

প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে- চাঁদের হাট পদক, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি পদক, বিজয় দিবস পদক, মাইকেল মধুসূদন একাডেমি পদক, কলকাতা শিমুল পলাশ সম্মাননা পদক, কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন সম্মাননা পদক, কলকাতা বিধান নগর (সল্টলেক) মেলা পদক, কনণ্ঠশীলন সম্মাননা পদক, গুণীজন সম্মাননা পদক, এমএলহাই স্কুল সম্মাননা পদক, ক্যাম্ব্রিজ স্বর্ণপদক (ইংল্যান্ড), কপোতাক্ষ সম্মাননা পদক, আয়েশা জব্বার সম্মাননা পদক ইত্যাদি। কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ২০১০ সালে হোসেনউদ্দীন হোসেনের ‘ইঁদুর ও মানুষেরা’ উপন্যাসটি এমএর পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

 

কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসির ৭৫ হাজার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসির ৭৫ হাজার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন
ফাইল ছবি

২০২৪ সনের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ৩০ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী ৭৫ হাজার ৮৫টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সনের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে ৭৫ হাজার ৮৫টি উত্তরপত্র পুন:নিরীক্ষণের জন্য অনলাইনে আবেদন করে। এর মধ্যে গণিতে সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ১৭২টি আবেদন জমা হয়।

জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, আবেদনকৃত উত্তরপত্রগুলো পুনর্নিরীক্ষণের নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাই বাচাই শেষে আগামী ১১ জুন  ফলাফল প্রকাশিত হবে। ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ১২ ও ১৩ জুন কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এ বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩। ফলাফল প্রকাশের দিনই কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে সূত্রে জানা গিয়েছিলো- এ বছর এ বোর্ডে গণিত বিষয়ের ফলাফল তুলনামূলক ‘খারাপ’ হয়েছে। ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনেও সেই চিত্রই দেখা গেছে। ফলাফল প্রকাশের পরদিন ১৩ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনলাইনে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়।

জহির শান্ত/এমএ/

চট্টগ্রামে বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
চট্টগ্রামে বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) এসএম রাশেদুল আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনি সভা ও মিছিলে অংশ নেওয়ায় বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

সোমবার (২০ মে) হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান দৌলত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- হাটহাজারী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন তালুকদার, একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব ফখরুল ইসলাম এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরিফ। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। অথচ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম রাশেদুল আলমের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়ে তারা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন। যার প্রমাণ দপ্তরে সংরক্ষিত আছে।  

হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব অহিদুল আলম বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি সভা ও মিছিলে অংশগ্রহণের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যদিয়ে তারা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে বিএনপির সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে অবৈধ যানবাহন ব্যবহার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে অবৈধ যানবাহন ব্যবহার
ছবি : খবরের কাগজ

ট্রাক্টর এবং নসিমন যানবাহন হিসেবে অবৈধ। এসবের নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন। কোনো প্রশিক্ষণ বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই এসব গাড়ি চালাচ্ছেন অধিকাংশ চালক। নির্বাচনি সরঞ্জাম আনা নেওয়ার কাজে এসব অবৈধ যানবাহনের উপর নির্ভর করতে দেখা গেলো ঠাকুরগাঁওয়ে। 

আগামীকাল (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাচন। এ উপলক্ষে সোমবার (২০ মে) নির্বাচনি এলাকায় পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপার, বক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী। তবে এসব সামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিসের এখন প্রধান ভরসা অবৈধ যানবাহন ট্রাক্টর এবং নসিমন।

ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবৈধ এসব যানে রওনা দিচ্ছেন তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকেন্দ্রে।

ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উপজেলার ২৫১টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে পাঠাতে প্রায় ২৫০টি ট্রাক্টর ও নসিমন নেওয়া হয়েছে। খোলা এসব যানবাহনে অস্ত্র ও সরঞ্জাম আনা নেওয়া করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন আনসার সদস্যরা।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার সদস্য বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্বাচন অফিস যদি আমাদের জন্য ভাল কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা করত তাহলে আমাদের জন্য নিরাপদ হতো। যেসব গাড়িতে আমরা যাচ্ছি সেসব গাড়ির নেই কোনো ফিটনেস, চালকদের নেই কোনো লাইসেন্স। সরকারের এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের পাঠানো হচ্ছে এসব অবৈধ যানে। এসব যানে আমাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘটতে পারে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

অন্য এক আনসার সদস্য বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নিজস্ব অস্ত্র, ব্যালট বক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। অবৈধ ট্রাক্টর এবং নসিমন পুরো খোলা থাকে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

এ বিষয়ে সাংবাদিক মজিবর রহমান খান বলেন, ‘মহাসড়কে নসিমন করিমন ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু ভোট এলেই আমরা দেখি, ভোটের মালামাল পরিবহন করার জন্য এসব যানবাহনই ব্যবহার করা হয়। ভোট এলেই এসব অবৈধ যানবাহন বৈধ হয়ে যায়। এসব যানবাহন যদি অবৈধই হবে সব ক্ষেত্রেই অবৈধ হবে। সরকারি কাজে এসব যানবাহন ব্যবহার করে এসব যানবাহনকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এসব যানবাহন ঠিকমতো ব্রেক হয় না। যারা চালাচ্ছে তাদের দক্ষতাও নেই। আর চালকদের লাইসেন্সতো নেই-ই। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের প্রাণহানি ঘটতেই পারে।’

লাইসেন্সবিহীন এইসব যান এখানে কেন নিয়ে এসেছেন? এমন প্রশ্নে ট্রাক্টরচালক মতি রহমান বলেন, ‘আমাদের গাড়ির লাইসেন্স হয় না। আর আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনের সরঞ্জাম আনা নেওয়ার কাজে আমাদের এসব গাড়ি ব্যবহার করা হয়। প্রশাসন থেকে আমাদের ডাকা হয়েছে তাই আমরা আসতে বাধ্য।’
 
সরকারি কাজে এ ধরনের যানবাহন ব্যবহারের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুরুল হাসান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় পাঁচ শ’র বেশি গাড়ি লাগবে। ঠাকুরগাঁওয়ে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যে গাড়ি রয়েছে সেগুলো দিয়ে আমরা নির্বাচন করতে পারব না। তাই বাস্তবতায় আমাদের অনেক কিছু মানতে হয়। এ বিষয়গুলো এখন আমাদের সাবজেক্ট না। এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন কথা বলার সুযোগ নেই। একটি ইলেকশনের জন্য তো আমরা গাড়ি সরবরাহ করতে পারব না প্রত্যেকটা সেন্টারের জন্য। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’

নবীন হাসান/অমিয়/

আমে রাসায়নিক দিয়ে বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
আমে রাসায়নিক দিয়ে বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, অপরিপক্ব আম গাছ থেকে নামিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’। সারা দেশের মতো রাজশাহীতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, আম পরিপক্ব হওয়ার আগে নামিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত হয়। এতে মানুষের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এটা বিএসটিআই বা প্রশাসনের পক্ষে একা নির্মূল করা সম্ভব না। আপনাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের বাড়ির আশেপাশে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তবে আমাদের জানান, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও বলেন, ফলে বা খাবারে রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে যিনি ব্যবহার করছেন তার ইহকাল পরকাল সবই নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, পৃথিবীতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময় এবং মানুষের সেবা করা। সব ধর্মেই এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সেবা করতে গিয়ে অনেক সময় অধিক মুনাফার আশায় মানুষকে ওজন বা পরিমাপে কম দেই, যেটা চরম অপরাধ। মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেন। সেই কষ্টের টাকা আমরা কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেব না।

এ সময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অভিযোগ সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বিভাগীয় কমিশনার।

বিএসটিআই এরর উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম নাহিদ বক্তৃতা দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/