ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

কুমিল্লায় প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ২ নারীর

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ এএম
কুমিল্লায় প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ২ নারীর
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রেমিকাসহ দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নূরপুর এলাকার খোকন স'মিলের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী দুইজন নাঙ্গলকোট থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী দুইজনের মধ্যে একজনের বয়স ২০ বছর এবং আরেকজনের বয়স ৩৫ বছর।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে ফজলুল হক। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে দুই নারী থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তাদেরকে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আমরা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তারা দুজন কুমিল্লা শহরের টমসনব্রিজ এলাকায় একসঙ্গে থাকেন। তাদের একজনের বাড়ি চাঁদপুর এবং অন্যজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর সঙ্গে নাঙ্গলকোটের শহিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিলো। বৃহস্পতিবার তারা শহিদের সঙ্গে দেখা করতে কুমিল্লায় আসেন। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে একটি স’মিলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে তারা অভিযোগ করছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ক্ষতিয়ে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে- যুবদল নেতা মহসিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তবে মহসিন যুবদলের কেউ নন বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনির। তিনি বলেন, কি ঘটেছে আমরা বিস্তারিত কিছুই জানি না। অনেকেই মহসিনের বিষয়ে জানতে চাইছেন। সে আমাদের দলের কেউ না, আমাদের কর্মীও না। সে যদি অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। তার অপকর্মের দায়ভার আমরা নিবো না।

ভুক্তভোগী দুই নারী জানান, বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোট যাওয়ার পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে আমাদেরকে প্রথমে একটি অটোরিকশায় করে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। আমরা বুঝতে পারি তাদের উদ্দেশ্য ভালো না; তখন আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তখন কেউ আশেপাশে ছিলো না। পরে ১২টার দিকে আমাদেরকে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে ১০/১২ জন দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মারধর করে জোরপূর্বক আমাদের নগ্ন ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণ করে রাখে। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি করলে, আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে স’মিলের মালিকের সহযোগিতায় আমাদেরকে একটি ব্যাটারীচালিত রিকশাযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে শনিবার যখন আমরা সে জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম-তখনও সেখানে আমরা ৬ জনকে দেখতে পেয়েছি। এ ঘটনায় মিল মালিকও জড়িত আছে।

অভিযুক্ত স’মিলের মালিক খোকন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, জোরপূর্বকভাবে আমার স'মিলে দুজন মেয়ে নিয়ে ঢুকে মহসিন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলো। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। মহসিন বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত তাবাস্সুম বলেন, তারা মৌখিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, এখন তারা চাইলে মামলা হবে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনায় তারা সোমবার থানায় আসলেন। তাদের পরিচয় নিয়েও আমরা সন্দিহান আছি। কারণ তারা দুজন দুই ধরণের কথা বলছে। সব কিছু অনুসন্ধান করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহির শান্ত/জোবাইদা/মেহেদী

প্রাইম মুভার-ট্রেইলার শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
প্রাইম মুভার-ট্রেইলার শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে প্রাইম মুভার-ট্রেইলার শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় যানাবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

তিনদিন পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিকরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট লিংক রোড দিয়ে প্রাইম মুভার, লরিসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় ডিসি পার্কের মূল ফটকে যানজট তৈরি হয়। এ সময় চালকদের ওপর হামলা করে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীরা। এসব বিষয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠক হয়। বিস্তারিত আলোচনার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাইম মুভার চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিসি পার্কের সামনে ট্রাক ও লরি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র করে পার্কের গেটের সামনে থাকা প্রাইভেটকার পাকিং-এ দায়িত্বে থাকা লোকজন ও সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে লরি চালক ও সহকারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অবরোধ করে চালক-শ্রমিকরা। বুধবার সকালে ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদসহ সংগঠনটির কয়েকজন নেতাকর্মী গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের দেওয়া আশ্বাসে বুধবার সকালেই শ্রমিকরা সড়ক ছাড়েন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চালক-শ্রমিকরা আবার চার দফা কর্মসূচি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করে। শুক্রবারেও তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যান। এর ফলে বন্দর-পতেঙ্গা সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সকল প্রকার পণ্যবাহী গাড়ির বন্দরে প্রবেশ-বহির্গমন বন্ধ থাকে।

অন্যদিকে, সড়কে গাড়ি রেখে কর্মবিরতি পালন করায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। রাস্তার একপাশে সরু জায়গা দিয়ে বাস-সিএনজি-রিকশা চলাচল করলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় যাত্রীদের।

এদিকে তিনদিনের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো ধরনের কনটেইনারবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। ফলে বন্দরের আনলোড এবং ডেলিভারি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। যার ফলে বন্দরে হাজার হাজার কনটেইনার আটকা পড়েছে।

তাওফিক/ 

সুনামগঞ্জের বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সুনামগঞ্জের বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সিলেট সড়কের বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শান্তিগঞ্জের আহসানমারা সেতুর পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জমির হোসেন (৩০), আলী নূর (২৬)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রবাহী বাস ও একটি যাত্রীবাহী সিএনজি আহসানমারা সেতুর পাশে গেলে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের টিম তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জমির ও নূরকে মৃত ঘোষণা করেন। 

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকরাম আলী জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

দেওয়ান গিয়াস/জোবাইদা/

শেরপুরে ১৯৫ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৮ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
শেরপুরে ১৯৫ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাইপথে আনা ১৯৫ বস্তায় পাঁচ হাজার ৮৩৫ কেজি ভারতীয় জিরা জব্দ করেছে বিজিবি। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি। এর আগে ভোরে উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশের একটি মাঠ থেকে এসব জিরা জব্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, নাকুগাঁও গ্রামের পাহাড়ি এলাকা দিয়ে চোরাইপথে ভারতীয় জিরা পাচার করা হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা নাকুগাঁও মাঠে জিরা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিরার বস্তাগুলো জব্দ করে হাতিপাগার ক্যাম্পে নিয়ে আসে।

এ ছাড়া একই দিন নালিতাবাড়ীসংলগ্ন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের কচুয়াকুড়া এলাকা থেকে ৮৩৩ কেজি ভারতীয় জিরা এবং একই উপজেলার আইলাতলী ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের বুটিয়াপাড়া এলাকা থেকে ২১ হাজার ৬০০ পিস ভারতীয় জিলেট ব্লেড জব্দ করে।

বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার বলেন, 'ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষায় এবং যেকোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সদা জাগ্রত থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।'

শাকিল মুরাদ/জোবাইদা/

পটুয়াখালীতে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ এএম
পটুয়াখালীতে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী
ছবি : খবরের কাগজ

পটুয়াখালীতে আজ শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী। হৃদয়বিদারক চিত্র দেখে স্তব্ধ সর্বস্তরের মানুষ। তিন দিনে হাজার হাজার মানুষের পদচারণয় মুখরিত ছিল প্রদর্শনীস্থল।

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের ঝাউতলা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল এই চিত্রপ্রদর্শনী। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের আলোচিত ছবির পাশাপাশি পটুয়াখালীর আন্দোলন-সংগ্রামের ছবিও স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। অস্থায়ী প্যান্ডেলে শোভা পাচ্ছে আন্দোলন-সংগ্রামের ছবি।

চিত্রপ্রদর্শনীর ৬২টি ছবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ হাজারও ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশী হামলা, ছাত্রলীগের নির্যাতন ফ্যাসিস্ট সরকারের পালিয়ে যাওয়া পরবর্তী উচ্ছ্বাসের ছবি স্থান পেয়েছে। 

এ ছাড়া প্যাভিলিয়নের বাইরে প্রজেক্টরে চলছে জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি। এসব ছবি ভিডিও দেখে অনেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের দিনের স্মৃতি তুলে ধরেন।

জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে কারও স্বার্থে বিভক্ত না হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা জানালেন চিত্রপ্রদর্শনীতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, 'স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে ইন্টারটে বন্ধ করে গণহত্যা চালানো হয়। এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতেই এ ধরনের আয়োজন।'

হাসিবুর রহমান/জোবাইদা/

ফটিকছড়ি পৌরসভা বেহাল সড়কের কারণে আত্মীয়তায় অনাগ্রহ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
বেহাল সড়কের কারণে আত্মীয়তায় অনাগ্রহ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালের পূর্ব পাড়ের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রয়েছে। এই রাস্তাটি এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও কর্মজীবী মানুষকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চলাচল একেবারেই দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি সড়কের বেহালের জন্য এই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কেউ বিয়ের সূত্রে আত্মীয়তা করতে আগ্রহ দেখান না। ফলে এবার সড়কটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দেন এলাকাবাসী।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির সড়কের বিবিরহাট বাসস্টেশনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের বিবিরহাট বাজার থেকে উত্তর ধুরুং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যাওয়া সড়কটিতে খানাখন্দে ভরা। ইটের সলিং উঠে পায়ে হাঁটাও কষ্ট হয়ে পড়েছে। ঝাঁকুনিতে রিকশার যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বোরহান উদ্দিন শাহ মাজার গেট থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে গাড়ি চলা তো দূরে থাক, পায়ে হাঁটাও যায় না। 

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মারুফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এলাকাবাসী তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিবিরহাট বাসস্টেশন এলাকায় মানববন্ধন করেন।’

আল-মদিনা মসজিদের খতিব হাফেজ জুবায়ের হোসেন বাবু বলেন, ‘দূরের কেউ এ গ্রামের মানুষের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে চান না। কারণ ঘরবাড়ি দেখতে এসে সড়ক দেখে তারা আর আগ্রহ দেখান না। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’ 

ফটিকছড়ি পৌরসভার বিএনপি নেতা আবদুল মাবুদ মুন্সী বলেন, ‘অতি দ্রুত এই রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু করা হোক, যেন জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়।’