ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

তালতলীতে ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটানোর অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
তালতলীতে ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটানোর অভিযোগ
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান

বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটানো এবং ময়লা খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ কাজ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে উপজেলার লাউপাড়া এলাকায় অবস্থিত মারকাজুল কুরআন আরবি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মাদরাসাটির ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে পড়া না পারায় স্যার তাকে একা রুমে ডেকে নেন। পরে ভয় দেখিয়ে নিজের পা চাটান ও মাটির ময়লা খাওয়ান।’

তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি মেয়েটিকে শুধু ভয় দেখিয়েছি। ময়লা খাওয়াইনি বা পা চাটাইনি।’

ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের অমানবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, ‘এটি সরাসরি শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করা যায়। শিশু আইন ২০১৩-এর ৭, ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন আচরণ শুধু শিক্ষকতার অপমান নয় সমাজেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহিউদ্দিন অপু/অমিয়/

মৌলভীবাজারে ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
মৌলভীবাজারে ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ গ্রেপ্তার ২
ভারতীয় চোরাই পণ্যসহ গ্রেপ্তার দুই চোরাকারবারি। ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার গোলাম কিবরিয়া ওরফে সুলতান (২০) ও কক্সবাজার জেলার মো. মনির হোসাইন (৩৮)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে সরকারবাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি রেফ্রিজারেটর ভ্যানকে থামার সিগনাল দিলে চালক তা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে সাধুহাটি এলাকায় গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়িটিতে তল্লাশি করে মোট ১৬ হাজার ১৬৪ পিস ফেসক্রিম এবং ১৯২ পিস ফেসওয়াশ জব্দ করা হয়েছে। প্রসাধনীগুলোর মোট বাজারমূল্য প্রায় ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৬ টাকা। এ ছাড়া রেফ্রিজারেটর ভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চোরাই পণ্যগুলো সিলেট সীমান্ত থেকে সংগ্রহ করে ঢাকায় চালানের চেষ্টা করছিল বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

পুলক/সালমান/

সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ, কারাগারে দেবর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ, কারাগারে দেবর
ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে দেড় বছরের মেয়ে শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর দেবর নাঈম শেখকে (২০) কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার নাইম শেখ কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চলতি বছরে খোর্শেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ভুক্তভোগী ও আসামি সম্পর্কে আপন দেবর-ভাবি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. সোলাইমান শেখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীের স্বামী পদ্মানদীতে ট্রলারে কাজ করেন। গত সোমবার (৭ জুলাই) রাতে স্বামী কাজে গেলে দেবর নাইম শেখ ভাবির শোবার ঘরে ঢুকে দেড় বছর বয়সি শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এর পর ভুক্তভোগী তার স্বামীকে বিষয়টি বললে তিনি আপোষ-মীমাংসার কথা বলেন। পরে ভুক্তভোগীের বাবা থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগীর মামা বলেন, 'ভাগ্নিকে নিয়ে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য এসেছি। তার দেড় বছরের এক বাচ্চা আছে। নাইম বাচ্চাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করেছে।'

মামলার বাদী বলেন, 'মেয়েকে তার দেবর জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি।'

তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও অভিযুক্তের বড় ভাই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ  বলেন, 'ভাবিকে তার সন্তান হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় আসামিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

মিলন/মেহেদী/

চাঁদপুরে জলাবদ্ধতায় বেড়েছে দুর্ভোগ, ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
চাঁদপুরে জলাবদ্ধতায় বেড়েছে দুর্ভোগ, ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
ছবি: খবরের কাগজ

টানা দুদিনের বৃষ্টিতে চাঁদপুরে বেড়েছে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ। কখনো মাঝারি, আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। বিশেষ করে নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় অনেক বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুর শহরে নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) সকালে দেখা গেছে শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, নাজির পাড়া, পালপাড়া, আলিমপাড়া, রহমতপুর কলোনীসহ বেশ কিছু সড়কে জলাবদ্ধতা রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। 

এদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি শাহরাস্তি ও ফরদিগঞ্জ উপজেলায় গেল বছরের মতো জলাবদ্ধতায় শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা। 

অন্যদিকে যাত্রী সংকটে লঞ্চ চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। যাত্রী পেলে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার পর ছাড়ছে ঢাকাগামী লঞ্চ।

চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল হোসাইন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে দোকানের সামনে হাঁটু পানি জমে আছে। যার কারণে কোন ক্রেতা আসছে না। বৃষ্টি চলমান থাকলে দোকানে পানি ঢুকে যাবে।

শহরের মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা আলম খান বলেন, টানা বৃষ্টিতে শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছে না।

চাঁদপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মো. শোয়েব জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ ঘটিকা পর্যন্ত তা বেড়ে ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিপাত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেহেদী/

চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধসের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধসের শঙ্কা
নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ভারী বর্ষণে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরে ভারী বর্ষণে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিনের বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হলেও মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। যা বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, হালিশহর, জিইসি, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশসহ বেশ কিছু সড়কে জলজট তৈরি হয়েছে। পানিতে আগ্রাবাদ এলাকায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিন বিকল হতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে যান চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। এ কারণে বিপাকে পড়েন শিল্পকারখানা, অফিসগামীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা ভাড়া বাড়তি আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। 

চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় কথা হয় চাকরিজীবী মো. শাহ আলমের সঙ্গে। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার বাসা আগ্রাবাদ। জিইসিতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। স্বাভাবিক সময়ে আমি গণপরিবহনে যাতায়াত করি। আজ গাড়ি কম ছিল। অফিসের দেরি হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা নিতে হয়েছে। ১২০ টাকার ভাড়া আজ ২০০ টাকা দিয়েছি।’ 

আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. আলতাফ বলেন, ‘আমরা এই জলাবদ্ধতা থেকে কবে পরিপূর্ণ রেহাই পাব জানি না। একদিকে হাঁটুসমান পানি, অন্যদিকে ভাঙা রাস্তা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই জলাবদ্ধতা আমাদের জন্য অভিশাপ। জানি না এই ভোগান্তির শেষ কোথায়।’

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। 

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বুধবার সকাল থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’

সালমান/

 

দাউদকান্দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার, সেতু চান এলাকাবাসী

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
দাউদকান্দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার, সেতু চান এলাকাবাসী
ক্যাপশন: ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিলচালিত ট্রলার দিয়ে গোমতী নদী পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নে/ খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের গোলাপের চর চেঙ্গাকান্দি, গঙ্গাপ্রসাদ ও পার্শ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার বাটেরারচর, আলীপুর গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের কষ্ট যেন দেখার কেউ নেই। এসব গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ইঞ্জিলচালিত ট্রলার দিয়ে গোমতী নদী পার হয়ে দাউদকান্দি পৌর সদরে আসেন। তাই এলাকাবাসীর দাবি, এই নদীতে দ্রুত সেতু নির্মাণ করে তাদের দুর্ভোগ দূর করা হোক।

জানা গেছে, গোমতী নদীর স্রোত বেশি। তাই ট্রলার দিয়ে নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় রাতে ট্রলার বা নৌকার মাঝি না থাকায় পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীকে। জরুরি রোগীদের ক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেশি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই গোমতী নদী পার হওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। 

গোলাপেরচর গ্রামের মো. রবিউল মিয়া বলেন, ‘নদী পারাপারের সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। প্রায় সময় এখানে ট্রলার বা নৌকা ডুবে যায়। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আরও বিপজ্জনক। কারণ অনেক ছাত্র-ছাত্রী সাঁতার জানে না।’

চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আকলিমা আক্তার বলেন, ‘ব্রিজের অভাবে এই গ্রামের মানুষকে সারা বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য নৌকায় পার হওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যদি সরকার একটি ব্রিজ তৈরি করে দেয়, তাহলে আমাদের যাতায়াতের জন্য অনেক সুবিধা হতো।’ 

দাউদকান্দি আদর্শ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা বলে, ‘বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বেশি থাকায় প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ যেন এখানে সেতু নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।’

চেঙ্গাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘নদীর দুই পাশ মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ থেকে থেকে ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে বা নৌকায় গোমতী নদী পারাপার হন। তাই এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।’

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, ‘সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নদী পারাপারে শিক্ষার্থী, গর্ভবতী মা ও সাধারণ রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন- বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। গ্রামবাসী যদি একটি ব্রিজ দাবি করে লিখিতভাবে জানান তাহলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে।’