ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ফরিদপুরে তেলের লরিচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
ফরিদপুরে তেলের লরিচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে তেলের লরিচাপায় শ্রীবাস মজুমদার (৩১) ও রাশেদ মোল্লা (২৬) নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৩ জুন) রাতে সদরের মুন্সী বাজার বাইপাস সড়কের বরকতের মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শ্রীবাস ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের ক্ষিতীশ মজুমদারের ছেলে এবং রাশেদ একই এলাকার জালাল মোল্লার ছেলে।
  
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বরকতের মার্কেটের সামনে তেলের লরিটি একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী শ্রীবাস ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন রাসেদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করান এবং সেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়। 

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তেলের লরিটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

সঞ্জিব/পপি/

জেলা পরিষদের গোপন কক্ষে মিলল প্রায় ৯ লাখ টাকা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
জেলা পরিষদের গোপন কক্ষে মিলল প্রায় ৯ লাখ টাকা
ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি তালাবদ্ধ গোপন কক্ষের ফাইল কেবিনেট থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে পরিষদের নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্য এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তালাবদ্ধ ওই গোপন কক্ষটি খুলে নগদ টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া টাকাগুলো সদ্য দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার সময়কালে গোপন কক্ষটিতে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এ ঘটনায় সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে অভিযুক্ত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্ষটি কেবলমাত্র সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা ব্যবহার করতেন। এটি ছিল তার ব্যক্তিগত গোপন কক্ষ। আর ওই কক্ষের চাবি জিরুনা ত্রিপুরা ছাড়া আর কারও কাছে ছিল না। সেখানে প্রবেশ সবার জন্যই নিষিদ্ধ ছিল।’

অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, ‘পরিষদে এত নগদ টাকা থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কীভাবে এসব টাকা এই গোপন কক্ষে এল তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। উদ্ধার টাকাগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।’

এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অর্থের উৎস, মালিকানা ও ব্যয়ের বৈধতা যাচাইয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জিরুনা ত্রিপুরার চেয়ারম্যান পদ থেকে বিরত থাকার আদেশ জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

রাজু/সালমান/

দাউদকান্দিতে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
দাউদকান্দিতে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাড়ির পাশে পুকুরে শাপলা তুলতে গিয়ে জান্নাত আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর হাসানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জান্নাত আক্তার ওই গ্রামের মো. আমির হোসেনের মেয়ে।

পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্কুল থেকে বাড়িতে গিয়ে পোশাক বদলে জান্নাত অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শাপলা ফুল তোলার জন্য পানিতে নামে। এ সময় জান্নাত সাঁতার না জানায় পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরে ঘটনাটি সবাইকে জানালে স্থানীয়রা জান্নাতকে উদ্ধার করতে  ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে জান্নাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লিটন সরকার বাদল/মৌসুমী/

চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধর
চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আটক দুইজন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। জেলার চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী রায়হানুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রায়হান বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুইজনকে আটক করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি সমঝোতা হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই অধ্যক্ষের নাম- মো. আবদুল বাতেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় র‌্যাব ৭ অফিসের পাশের বিল্ডিংয়ে ওয়াহিদ ফাউন্ডেশন পলিটেকনিক নামক প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবি ও তাকে মারধর করে প্রতিষ্ঠানটির গেটে তালা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে চান্দগাঁও থানার টিম পৌঁছালে তাদের সামনেই ওই অধ্যক্ষকে মারধর করে রায়হান ও তার অনুসারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে যান উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম । মব সৃষ্টি ও চাঁদা দাবি করায় হাতেনাতে রায়হান ও তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়।

পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে থানায় জড়ো হতে থাকে রায়হানের অনুসারীরা। পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে থানা থেকে আসামিদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে তারা। রাত দেড়টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন ও আটক দুই আসামি থানায় অবস্থান করছিলেন। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা অধ্যক্ষ থানা ত্যাগ করার আগেই থানা ঘিরে ফেলে রায়হানের অনুসারীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আবদুল বাতেন বলেন, ‘এই চক্রটি আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও হুমকি দিয়ে আসছে। আমার প্রতিষ্ঠানের পাশেই র‌্যাব-৭ এর অফিস। আমি গতবছরের ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে র‌্যাবকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি। সম্প্রতি তারা আমার কাছে আবারও চাঁদা দাবি করে। এই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করি। একপর্যায়ে সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। তাই আমরা আটক দুইজনকে ছেড়ে দিয়েছি।’

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা নাগরিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ভূগর্ভে হাইড্রলিক জগের নিচে চাপা পড়ে চাইনিজ শিফট ম্যানেজার ওয়াং জিয়াং গুয়ো’র (৫৬) মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়লা খনির ভূগর্ভের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমজি-সিএমসি কনসোটিয়ামের অধীনে ওয়াং জিয়ান গুয়ো ভূগর্ভের ১৩০৫ নম্বর পেইজে কাজ করছিলেন। এ সময় ট্রাক গেট থেকে হাইড্রোলিক সাপোর্ট বের করার সময় অসাবধানতাবসত স্টিল রোপের সঙ্গে আটকে যায়। এতেই তিনি হাইড্রোলিক জগের নিচে চাপা পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পার্বতীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই ঘটনায় পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। নিহত চীনা নাগরিকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে করা হয়েছে।’

সুলতান/পপি/

মাগুরা শহরে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
মাগুরা শহরে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চিত্র

মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মেলেনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজ রোডে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশমুখসহ পুরো চত্বরে পানি। ফলে অফিসের কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা সবাইকে ময়লা পানির মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে।

শুধু প্রশাসনিক ভবন নয় - কলেজপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, পিটিআই, পারনান্দুয়ালী, নিজনান্দুয়ালী ও কাউন্সিল পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে জলাবদ্ধতা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাই এ দুর্ভোগের প্রধান কারণ। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। কলেজপাড়ায় অনেক ঘরের মধ্যে উঠে যাচ্ছে পানি। পানিতে নষ্ট হচ্ছে ঘরের জিনিসপত্র। 

পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে এবং সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

শ্রাবণ/মৌসুমী/