ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

নরসিংদীতে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১১ এএম
নরসিংদীতে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শিবপুরে অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ দেখতে জনতার ভিড়

নরসিংদীতে অজ্ঞাত এক যুবকের (২০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাতপাইকা গ্রামের পূর্বপাড়ার একটি ধানখেত থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বিষয়টি দৈনিক খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার।

এ বিষয়ে দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক শামীম মোল্লা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় এলাকাবাসী সাতপাইকা গ্রামে পিয়ালের বাড়ির রাস্তার উত্তর পাশের একটি ফসলি জমিতে অজ্ঞাত ওই যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের জানায়। সঙ্গে সঙ্গে শিবপুর মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

শাহিন/সাদিয়া/অমিয়

জাপানপ্রবাসীকে খুন করে কানাডায় পালিয়েছেন স্ত্রী

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১১:৫৯ পিএম
জাপানপ্রবাসীকে খুন করে কানাডায় পালিয়েছেন স্ত্রী
আরিফুল ইসলাম ও পারভীন। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় খুন হয়েছেন আরিফুল ইসলাম (২৮) নামে এক জাপানপ্রবাসী। আরিফুলের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার কালিকুরপাড়ায়। তিনি ওই এলাকার শাজাহান শিকদারের ছেলে।

শনিবার (১ জুন) রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আরিফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। অর্ধগলিত লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। 

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট ও নোটারি করা বিয়ের হলফনামা উদ্ধার করছে পুলিশ। ওই নোটারিতে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ জেলা নরসিংদীতে আরিফ ও পারভীন নামে একজন বিয়ে করেছেন। জানা যায়, পারভীন কানাডাপ্রবাসী। 

পুলিশের এক সূত্র বলছে, পারভীন কৌশলে তাকে বাংলাদেশ এনে খুন করে ফের কানাডা চলে যান। কানাডায় স্বামী নিয়ে থাকেন পারভীন আক্তার। পারভীন দম্পতি এবং আরিফুল তিনজনেরই বাড়ি নরসিংদীতে। 

এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১৭ মে বিকেল ৪টার দিকে পারভীন ও আরিফুল ইসলাম একত্রে এই ফ্ল্যাটে ওঠেন। ১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টায় পারভীন আক্তার একাই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান। তার মোবাইল নম্বরের সর্বশেষ অবস্থান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। 

লাশের পাশ থেকে হাতে লেখা একটি চিরকুট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, আরিফুল ও পারভীনের নোটারি করা বিয়ের হলফনামা। ওই চিরকুটে লেখা, ‘আমার জীবনের শান্তি নষ্ট করে দিছে এই রেপিস্ট। ব্লাকমেইলার সে। তার নিজের ইচ্ছায় আমার হাতে ধরা দিছে। নিজের হাতে এই রেপিস্ট ব্লাকমেইলারকে মেরে শাস্তি দিলাম।’ ধারণা করা হচ্ছে, এটি পারভীন আক্তারের লেখা।

আরিফুলের দেশে আসার বিষয়টি পরিবার জানত না। রবিবার (২ জুন) সকালে জাপান থেকে আরিফুলের স্ত্রী আয়েশা ফোন করে (আরিফুলের) দেশে আসার কথা জানিয়েছেন। এরপর থেকে পরিবার আরিফুলের সন্ধান শুরু করে। রাতে পুলিশের কাছ থেকে আরিফুলের খুন হওয়ার খবর পান তারা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারভীন ১৭ মে কানাডা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে নামেন। পরদিন সর্বশেষ তার ফোনের অবস্থান ছিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতেই ধারণা করা হচ্ছে, আরিফুলকে হত্যার পর পারভীন কানাডায় ফিরে গেছেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ২ নম্বর রোডের এক নম্বর ভবনটি মাটি প্রপার্টিজের। সেখানে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা অল্প দিনের জন্য অনলাইনে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন। গত ১৭ মে আরিফুল ও পারভীন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অনলাইনের মাধ্যমে দোতলা ভাড়া নেন। রবিবার বিকেলে ভবনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঝাড়ু দেওয়ার জন্য দরজা ধাক্কা দেন। ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খোলেন। এরপরই দুর্গন্ধ পান এবং দরজার সামনে দাঁড়িয়ে খাটে একজনকে শোয়া অবস্থায় দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করে। লাশের বুক ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ। 

তাতে দেখা গেছে, ১৭ মে বিকেল ৪টা ৯ মিনিটে আরিফুল ও পারভীন অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করছেন। দুজনের মুখেই মাস্ক। আরিফুলের হাতে একটি লাগেজ। ১৮ মে সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে পারভীন আক্তার বাসা থেকে একা বেরিয়ে যাচ্ছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় ওঠার পর ওই রাতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। 

গত মাসের ১৭ তারিখে আরিফুল ইসলাম ও পারভীন আক্তার স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দোতলায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে অনলাইনে সাত দিনের জন্য বুকিং দিয়ে অ্যাপার্টমেন্টে ওঠেন। মাটি প্রপার্টিজ থেকে ফোন করে জানায়, দোতলার অ্যাপার্টমেন্টে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। 

এদিকে ভাটারা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, আরিফুলকে হত্যা করে তার স্ত্রী কানাডা ফিরে গেছেন। ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যাকারী পারভীনকে কানাডা থেকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে ডিএমপির গুলশান বিভাগের এসি (বাড্ডা জোন) রাজন কুমার সাহা বলেন, ‘আরিফের পরিবারের ভাষ্য, পারভীন আক্তার কানাডাপ্রবাসী। কানাডায় তার স্বামী আছেন। তার নাম বাবু। পারভীনের সঙ্গে বিয়ে হলেও আরিফের পরিবার তা জানত না।’ তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। আসামিকে দেশে আনার কথা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আরিফের বোন জানান, জাপান থেকে তার ভাবি ১ জুন ফোন করে বলেন, আরিফুল দেশে গেছে। কিন্তু তার কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না। ফোনে কয়েক দিন ধরে কথা বলতে পারছি না। 

 

ধর্ষণ মামলার আসামি ৪ বছর পর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
ধর্ষণ মামলার আসামি ৪ বছর পর গ্রেপ্তার
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ভাসানটেকে আলোচিত কিশোরী ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সুমনকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

চার বছর পলাতক থাকার পর রবিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. সুমন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের বাসিন্দা।

র‌্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম জানান, ভুক্তভোগী তার নানির সঙ্গে ঢাকার ভাসানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। দুলাভাই মো. সুমন তাকে একা পেলে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। লোকলজ্জায় সে কাউকে বিষয়টি বলতে পারত না। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ভুক্তভোগী তার বোনের বাসা থেকে নানির বাসায় ফেরার পথে সুমন তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাজধানীর ভাসানটেক থানায় একটি মামলা করে। এ মামলায় সুমন দুই বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। 

তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় আদালত বিচারকার্য শেষে আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার

অবৈধভাবে ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারীকে নিয়োগের অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক। 

মামলার এজাহার অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদ শূন্য হলে এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পূরণ করতে হয়। কিন্তু ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার তাদেরকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়ে স্কুলের তহবিল থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন। অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের পরবর্তী সময়ে এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে স্থায়ীকরণ বা অব্যাহতির কোনোটিই করেননি। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, শুধু কয়েকজনের ডেমোন্সট্রেশন ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে একক স্বাক্ষরে অভ্যন্তরীণ কমিটির মাধ্যমে ৭২ জনকে নিয়োগের কারণে শিক্ষার মান অবনতির অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভাটারায় জাল নোট ও বিয়ারসহ যুবক আটক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
ভাটারায় জাল নোট ও বিয়ারসহ যুবক আটক
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ভাটারায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা ও বিপুল পরিমাণ বিয়ার বহনকারী প্রাইভেটকারসহ যুবককে আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোর ৪টার দিকে র‌্যাব-১-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটারা থানাধীন মাদানী অ্যাভিনিউ, সাঈদনগর ব্রাদার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে থেকে সাইদুল ইসলাম সাগরকে (২৯) আটক করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মোবারক মিয়ার ছেলে। তার কাছ থেকে ২৩৪ ক্যান বিয়ার, ৯৬ হাজার জাল টাকার নোট ও ১টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক (অপস্ এবং মিডিয়া) এএসপি মাহফুজুর রহমান জানান, সম্প্রতি জাল টাকা তৈরির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। এই চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে দিয়ে আসল টাকার ভেতর জাল টাকা মিলিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার সাইদুল ইসলাম সাগর দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩
ছবি : খবরের কাগজ

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে রাজধানীতে ডাকাতি করে আসছিল একটি চক্র। ব্যবসায়ীরা নগদ টাকা বহন করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার পথে ধাক্কা দিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ত চক্রটি। এ সময় আশপাশে ওত পেতে থাকা চক্রটির অন্য সদস্যরা ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রচণ্ড মারধর করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি টাকা ছিনিয়ে নিত।

এ চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী খোকন দাস ওরুফে বাইল্যা খোকন, মূল অপারেশনাল সংগঠক রেজাউল করিম এবং চক্রের সদস্য কামাল হোসেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম এবং খুলনায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, “মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার জুয়েলার্সের ম্যানেজারের নির্দেশে কর্মচারী মহিউদ্দিন গত ২৬ এপ্রিল পুরান ঢাকার কদমতলী খেজুরের গলিতে অবস্থিত মসলা এন্টারপ্রাইজের কাছাকাছি আড়ত থেকে ৭০ লাখ টাকা একটি নীল রংয়ের স্কুল ব্যাগে ঢুকিয়ে তাঁতি বাজারের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দেন। বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ইসলামপুরের নবনারায়ণ লেনের প্রবেশমুখে পৌঁছামাত্র একজন দুষ্কৃতকারী তাকে ধাক্কা দিয়ে পাল্টা ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করে। এ সময় টাকা বহনকারী মহিউদ্দিন ‘দুঃখিত’ বলে ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চাইলে আশপাশে ওত পেতে থাকা আরও ৭/৮ জন দুষ্কৃতকারী তাকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রচণ্ড কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তার চোখে আঙুল দিয়ে গুল লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।”

এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল জুয়েলার্সের মালিক আকিদুল ইসলাম থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। এ মামলার সূত্র ধরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের তদন্তে এই ডাকাতি মামলার পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের নাম, পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার এই এলাকাগুলোতে প্রতিদিন শত কোটি টাকার বৈধ লেনদেনের পাশাপাশি অনেকেই হুন্ডির টাকা লেনদেন করে থাকেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা ওত পেতে থাকে এই হুন্ডি ব্যবসায়ীদের টাকা ডাকাতির জন্য। হুন্ডিতে টাকা লেনদেন করা আইনসিদ্ধ না। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ সময় বিষয়টি পুলিশ বা আদালতকে অবগত করেন না। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ডাকাত বা ছিনতাইকারীরা অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ডাকাতদের এই অপতৎপরতায় অনেকসময় বৈধ ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হন।’ 

আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।