![রংপুরে আলুর বাম্পার ফলন](uploads/2024/02/12/1707730752.Rangpur-alu.jpg)
চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলুর ফলনও হয়েছে বাম্পার।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এই মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ১২ হেক্টর বেশি। গত বছর ৯৭ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর হতে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুরে ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। নীলফামারীতে ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর এবং লালমনিহাটে ৬ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর আলুর দাম ভালো থাকায় এবার আলুর চাষ বেশি হয়েছে। এ ছাড়া এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে আগাম জাতের আলু ঘরে তুলেছেন তারা।
কথা হয় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের কৃষক নওশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগাম জাতের আলুসহ পাঁচ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছি। আগাম আলুর চাষে এবার ভালো লাভবান হয়েছি। আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে আলু আবাদ করব।’
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরা কুটি ইউনিয়নের কৃষক সেতু মিয়া বলেন, ‘এবারে আমাদের উপজেলায় আগাম জাতের আলু চাষ করে আমাদের এলাকার কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। এবারের আবহাওয়াও আলু চাষের উপযোগী ছিল। তা ছাড়া আমাদের উপজেলার এক জমিতে এ মৌসুমে তিনবারও আলুর আবাদ হয়েছে। আলুর সংরক্ষণ ব্যবস্থা আরও ভালো হলে আলুর সংকট কমবে, বাজার ব্যবস্থাপনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৃষক রহমান মিয়া জানান, এবারে তিনি ১২ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। এবার আলুর দামও ভালো হওয়াতে তিনি ভালো লাভবান হয়েছেন। রোগবালাইয়ের তেমন একটা প্রকোপ দেখা যায়নি। কারণ তারা নিয়মিত আলুর জমিতে পরিমিত স্প্রে করেছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন জানান, এবার রংপুর অঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এ ছাড়া এবারে আলুর ভালো দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। শীতের কারণে আলু চাষে কৃষকরা শঙ্কিত থাকলেও তাদের কৃষি বিভাগ হতে পরিমিত পরিমাণে স্প্রে করতে বলা হয়। এতে করে আলুর খেত ভালো ছিল এবং আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।