![নাজমিনের খাবার যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে](uploads/2024/03/07/1709788933.chuadanga.jpg)
সাংসারিক কাজের পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চেষ্টা করছেন নাজমিন শিলা। নিজের বানানো খাবার বিক্রি করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। নিজ জেলার বাইরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার বাড়ির তৈরি খাবার ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। স্বামী আহসান আলমের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় সংসারে বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে ফেসবুকে ‘স্বপ্ন সিঁড়ি’ নামে একটি পেজ খুলে খাবারের অর্ডার নিয়ে থাকেন। এখান থেকে নাজমিন প্রতি মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার খাবার বিক্রি করছেন। সাংসারিক আয়ে স্বামীর সঙ্গে অংশীদার হচ্ছেন।
নাজমিন শিলা চুয়াডাঙ্গা শহরের সদর হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের হালুয়া, মাংসের আচার, নারকেলের নাড়ু তৈরি করছেন। এ ছাড়া তার তৈরি খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে, সিরিঞ্জ পিঠা, ছোলার ডালের বরফি, হালুয়া, পিঠা, পায়েস, রসুনের আচার, আমের আচারসহ বিভিন্ন ধরনের আচার, ফ্রোজেন করা সমুচা, চিকেন রোল, ভেজিটেবল রোল, চিকেন মোমো, পটেটো চিপস।
নাজমিন শিলা বলেন, ‘ইউটিউবে খাবার বানানোর ভিডিও দেখে আগ্রহ হয়। প্রথমে খাবার বানিয়ে অনলাইনে পেজ খুলে বিক্রি শুরু করি। ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রশংসা দেখে আমার মনোবল এবং কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর ১৫ থেকে ২০ পদের খাবার বানিয়ে অর্ডার নিতে শুরু করি। এখন গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার অর্ডার পাচ্ছি। নারকেলের নাড়ু, মাংসের আচার ও ছোলার হালুয়ার চাহিদা বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্ডারের খাবার নিখুঁতভাবে তৈরি করি এবং সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিই। এতে আমার পরিচিতি বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্ডার এবং ব্যবসার প্রসার আরও বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা অর্ডার করেন। তাদের সঠিক সময়ের মধ্যেই কুরিয়ারে খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আশপাশে কেউ অর্ডার করলে আমার স্বামী নিজেই ডেলিভারি দিয়ে আসেন। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি নারীরাও যে স্বাবলম্বী হতে পারেন তা আমি দেখিয়ে দিয়েছি।’
নাজমিনের স্বামী আহসান আলম বলেন, ‘সংসারের যাবতীয় কাজ আমার স্ত্রী একাই করে। সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও সে সহযোগিতা করছে। তাই আমি বলতে চাই অসচ্ছল নারী যারা রয়েছেন তারা হোমমেড খাবার তৈরি করে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন।’
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ছে। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি নারীদের এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত করা গেলে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশে বেকারত্ব দূর হবে।