![এক্সিম-পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে নিরীক্ষক নিয়োগ](uploads/2024/04/17/1713345523.exim-padma.jpg)
বেসরকারি খাতের শরিয়াহ্ভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক এবং সমস্যাকবলিত পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করবে। এরই মধ্যে দুটি ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে। এখন নিরীক্ষক বা অডিট ফার্ম নিয়োগের মধ্য দিয়ে একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলো।
একীভূতকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া চলমান। ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান অ্যান্ড হককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি পথনকশা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই পথনকশা অনুযায়ী একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পদ্মা ব্যাংকসহ এ পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকও রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আপাতত একীভূতকরণের জন্য নতুন কোনো প্রস্তাব আর গ্রহণ করা হবে না। যদিও বিশ্বব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের সমঝোতা চুক্তিতে সই হয়। এটি ছিল একীভূতকরণের প্রথম ধাপ। নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক একীভূতকরণে সম্মত ব্যাংকগুলোকে অনুমতি দেওয়া হবে।
একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, সম্পদ মূল্যায়নে উভয় ব্যাংককে একমত হতে হবে। তারা চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক মধ্যস্থতাকারী হয়ে মতপার্থক্য দূর করতে সহায়তা করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পেলে দুটি ব্যাংককে কোম্পানি আইন-১৯৯৪-এর আওতায় অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা মানতে হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনেরও প্রয়োজন হবে এক্সিম ব্যাংকের। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে এবং একীভূতকরণের প্রকল্প জমা দিতে হবে।
হাইকোর্টে অনুমোদন পাওয়ার পর দুই ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে। একীভূত হওয়ার পর পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ ও দায় এক্সিম ব্যাংকের সম্পদ ও দায় হিসেবে বিবেচিত হবে।