ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালন

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালন
গণহত্যা দিবসে বক্তব্য রাখছেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশী হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান

কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ মার্চ) কানাডায় হাইকমিশনের মিলনায়তনে এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। 

পরবর্তী সময়ে হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই তাৎপর্যপূর্ণ দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। 

এ সময় গণহত্যা দিবসের সারমর্মকে ধারণ করে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ঘটনা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে বাঙালি নিধনের পূর্বপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পাক হানাদার বাহিনী। ৯ মাসের যুদ্ধে তারা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা এবং দুই লাখেরও বেশি নারীর সম্ভ্রম হরণ করে।

হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান কানাডায় ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি নিশ্চিত করার জন্য হাইকমিশনের চলমান প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। 

তিনি  বলেন, হাইকমিশন ও বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের (বিসিবিএস) যৌথ উদ্যোগে কানাডার উইনিপেগে কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর) তাদের Breaking the Silence Gallery-তে ১৯৭১ সালের গণহত্যার তথ্যচিত্র এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির স্থায়ী প্রদর্শনে সম্মত হয়েছে। 

সিএমএইচআরের মাধ্যমে আগামী সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাসে স্থায়ী প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে তিনি আশা করেন।

এই হাইকমিশনের মিনিস্টার দেওয়ান হোসনে আইয়ুবও ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠান শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

পপি/অমিয়/

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করল আরব আমিরাত

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করল আরব আমিরাত
ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আবর আমিরাতে বিক্ষোভ করায় সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করেছে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির বৃহত্তম শহর দুবাইতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। 

গত ১৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে বিক্ষোভ করে আটক হন ৫৭ বাংলাদেশি। পরে সোমবার (২২ জুলাই) দুবাইয়ের ফেডারেল কোর্ট ৫৭ বাংলাদেশিকে সাজা দেন।

আটক এই ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। তারা আইন লঙ্ঘন করে দুবাইয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় স্থানীয় পুলিশের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে ফেডারেল কোর্ট তাদের এ সাজা দেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত তিন বাংলাদেশি বিক্ষোভের আয়োজক ছিলেন। অবৈধ থাকায় একজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়।

এর আগেও দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী যাওয়া বন্ধ ছিল। 

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমানও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছিল। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা দেওয়া শুরু হলেও এখনো শ্রমিকদের ভিসা দেওয়া শুরু করেনি দেশটি। সম্প্রতি ঢাকায় ওমান দূতাবাস জানায়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে। সূত্র: খালিজ টাইমস

অমিয়/

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইওর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১২:১১ এএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১২:১৩ এএম
কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইওর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) বদর মোহাম্মদ আল মীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।

বুধবার (১৭ জুলাই) কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে সাধারণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিক সৌজন্য বিনিময়ের পর রাষ্ট্রদূত গ্রুপ সিইওকে তার সফল নেতৃত্ব এবং কাতার এয়ারওয়েজ এ বছর বিশ্বসেরা এয়ারলাইনের খেতাব জেতায় অভিনন্দন জানান। এরপর তিনি আমির শেখ তামিমের সাম্প্রতিক সফল সফরের কথা স্মরণ করেন। বিন হামাদ আল থানি গত এপ্রিলে বাংলাদেশে আসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরপর কাতার সফরের কথা উল্লেখ করেন।

তারা দুজনই অভিমত ব্যক্ত করেন, কাতারের আমির এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফরে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। রাষ্ট্রদূত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকায় কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালু করার জন্য গ্রুপ সিইওর প্রশংসা করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, কাতার এয়ারওয়েজ চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য বড় শহরে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করবে। 

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইও প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির উপস্থিতি ও অবদানের জন্য সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

বৈঠকে ডেপুটি চিফ অব মিশন ওয়ালিউর রহমান, ফার্স্ট সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল রাজী, সেকেন্ড সেক্রেটারি মো. নাসির উদ্দিন এবং কাতার এয়ারওয়েজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
দুর্ঘটনায় নিহত মোশারফ হোসেন মিলন

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোশারফ হোসেন মিলন (৩৬) নামের এক বাংলাদেশি ব্যববসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও দুই বাংলাদেশি।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ব্রিটস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মোশারফ হোসেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের নুর মিয়া বলন্টিয়ার বাড়ির নুর ইসলামের ছেলে।

আহতরা হলেন, বাংলাদেশের আরিফ ও মামুন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত আরিফ জানায়, রাস্টেনবার্গে সফররত মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারির ওয়াজ শুনে বাসায় ফেরার পথে ব্রিটস এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মিলন গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিক্ষক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভায়রা এমদাদ হোসেন জানান, ড. মিজানুর রহমান আজহারির তাফসিরুল কুরআন মাহফিল শেষে নিজ কর্মস্থল প্রিটোরিয়ায় যাওয়ার পথে তাদের গাড়িটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মোশারফ হোসেন। তার সহযোগীরা মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর সংবাদটি দেশে পরিবারকে জানান। 

মোশারফ হোসেন ২০১৭ সালে বিয়ে করেন। তার ৬ বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহত মিলনের বাবা নুর ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘মোশারফ হোসেন ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে তার নিজস্ব দুটি দোকান ও ব্যবসা রয়েছে। গত ৫-৬ মাস আগে সে দেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে আফ্রিকায় যায়। তার মরদেহ সেখানকার একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আমার ছেলের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’ 

ফেনীর জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহিনা আক্তার জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনাগাজীর যুবক মারা যাওয়ার খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। জীবিকার তাগিদে বিদেশ গিয়ে কফিন হয়ে ফিরতে হচ্ছে। মরদেহ দেশে আনতে প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

নিলয়/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১০:২১ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনে জোর দিয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ।

বুধবার (১১ জুলাই) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাসংক্রান্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মায়ানমারের অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।

নিবিড় ও সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রেজুলেশন গৃহীত হওয়ার পর জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, ‘অপ্রতুল সম্পদ ও নানাবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভবপর নয়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত প্রত্যাবসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা।

এ ছাড়া, প্রত্যাবাসন নিয়ে চলমান দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি রাখাইনে দ্রুত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন শুরু করার ওপর জোর দেন।

গৃহীত প্রস্তাবটিতে সম্প্রতি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

প্রস্তাবটি মায়ানমারে যুদ্ধরত সব পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।

মায়ানমার সংঘাতের কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাবটি মায়ানমারকে তার আন্তর্জাতিক সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।

গৃহীত প্রস্তাবে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের জন্য অপর্যাপ্ত ও সংকুচিত আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা দিতে আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়াও, প্রস্তাবটিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে মিয়ানমারবিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন’-এর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়।

রেজল্যুশন গৃহীত হওয়ার পর জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, ‘অপ্রতুল সম্পদ ও নানাবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভবপর নয়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা। এ ছাড়া প্রত্যাবাসন নিয়ে চলমান দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি রাখাইনে দ্রুত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের শুরু করার ওপর জোর দেন।

অমিয়/

লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীর মিলনমেলা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীর মিলনমেলা
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর প্রতিনিধিত্বকারী ও বাংলাদেশিদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন ‘গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ)’ পঞ্চমবারের মতো মিলনমেলার আয়োজন করেছে। এই সংগঠনটি প্রথমবার প্রবাসে চট্টগ্রামের মেজবানকে ভিন্ন আমেজে পরিচিত করেছে। মেজবান এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও বেশ জনপ্রিয়।

মিলনমেলায় আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান। পরবাসে সাদা ভাত, ৭ গরুর মাংস আর ডালের ভোজ আয়োজন যে কতটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ মিলল ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনে। 

স্থানীয় সময় রবিবার (৭ জুন) পূর্ব লন্ডনের মেফেয়ার হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে মেজবানি খাবারের পাশাপাশি ছিল মনমাতানো সাংস্কৃতিক আয়োজন।

পিঠা উৎসব, বৈশাখী মেলা কিংবা বাঙালির বিয়ের মতো জমজমাট আয়োজন এখন নিয়মিত দেখা যায় সেখানে। তিন হাজার মানুষ মেজবানে অংশ নেয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এই মিলনমেলা।

সংগঠনের ট্রেজারার মাসুদুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী কমিটির প্রেসিডেন্ট আখতারুল আলম এবং সেক্রেটারি ওসমান মাহমুদ ফয়সাল।

বক্তব্য রাখেন সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, ১০৪ বছর বয়স্ক চ্যারিটি ফান্ড রেইজার দবিরুল ইসলাম চৌধুরী, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে ইসমাঈল হোসেন, সাবেক সভাপতি ইসহাক চৌধুরী, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন, কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনী প্রমুখ।

এ সময় মঞ্চে নানা পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন মোহাম্মদ কায়সার, মাসুদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম সাগর, নূরুন্নবী আলী, শহিদুল ইসলাম সাগর, ডা. মিফতাহুল জান্নাত। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মীর রাশেদ আহমেদ, শওকত মাহমুদ টিপু, আরশাদ মালেক, আলী রেজা, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী, হাসান আনোয়ার প্রমুখ।

আয়োজনটি চট্টগ্রামবাসীর হলেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অন্য অঞ্চলের বাংলাদেশিরাও এতে অংশ নেয়। লন্ডনের আশপাশের শহরসহ স্কটল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামের মতো দূরের শহরগুলো থেকেও অনেক চট্টগ্রামবাসী আসেন ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে যোগ দিতে। 

দিনব্যাপী মেজবানি খাবারের পাশাপাশি চলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাসী আঞ্চলিক গান, নাচ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন, হিমাংশু গোস্বামী, পাঞ্জাবিওয়ালা খ্যাত শিরিন জাওয়াত, আতিক হাসান, লাবণী বড়ুয়া, এম এ মোস্তফা, তাহমিনা শিপু, আই অন বাংলা স্কুল, পার্পল নাইট ব্যান্ডের জাওয়াদ, রুবেল, জয়, নাবিল, আয়ুস সাহাসহ স্থানীয় শিল্পীরা। কৌতুক পরিবেশন করেন মিরাক্কেল কমেডিয়ান আরমন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্যই এই মেজবানের আয়োজন। চট্টগ্রামবাসীসহ অন্যান্য জেলার লোকদের মধ্যে এবারের মেজবান যে সাড়া ফেলেছে, তাতে ভিড় সামলাতে হয়তো ভবিষ্যতে খোলা কোনো মাঠে এই আয়োজন করতে হবে।’

কার্যকরী কমিটির সভাপতি আকতার আলম ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান ফয়সাল অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

আবদুস সাত্তার/সালমান/