ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আজ কে হাসবেন বিজয়ের হাসি?

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০ পিএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২ পিএম
কে হাসবেন বিজয়ের হাসি?
মাহমুদ কলি, নিপুণ আক্তার, মিশা সওদাগর ও ডিপজল

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আজ। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে মধ্যাহ্নভোজের জন্য। এবার মোট ভোটার ৫৭০ জন। দুই বছর পর পর চলচ্চিত্র শিল্পীদের এই সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নানা আলোচনা-সমালোচনার পরও অবশেষে বিএফডিসিতে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিনেমা শিল্পীদের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচন। এর মেয়াদ ২০২৪ থেকে ২০২৬।

এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি কলি-নিপুণ পরিষদ, অন্যটি মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে খলঅভিনেতা ডিপজল।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন এবারের নির্বাচন কমিশনার প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পীদের এই নির্বাচন। এমনটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন তা গ্রহণ করেছি। আশা করি সুষ্ঠু ও সুন্দর একটি নির্বাচন সবাইকে উপহার দিতে পারব।’

ইতোমধ্যেই নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে এফডিসির চারদিক। তবে এই নির্বাচনে কে হাসবেন  বিজয়ের হাসি সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মাঝে।

তবে নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা সব প্রার্থীর মনে। নিজের নির্বাচনি লক্ষ্যের বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেছেন, ‘শিল্পীরা বেশি কিছু চান না, তারা সম্মান চান। ইফতার, পিকনিক, উৎসব এসবে সম্মান চান। কোনো শিল্পী অসুস্থ হলে যথাসম্ভব তার পাশে থাকা। এসবই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

অন্যদিকে আরেক সভাপতি পদের প্রার্থী মাহমুদ কলি বলেছেন, ‘মানুষের কাছে চলচ্চিত্রের সুনাম কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমার চেষ্টা থাকবে সেটা পুনরুদ্ধার করা।’

কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে আছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহসাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দফতর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন আজাদ খান। এই প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের জন্য লড়ছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, সাইফ খান, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান ও হেলেনা জাহাঙ্গীর ।

মিশা-ডিপজল প্যানেলে সহসভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল। কার্যকরী পরিষদের সদস্য হতে চান অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।

জাহ্নবী

পরিণীতির পরামর্শ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
পরিণীতির পরামর্শ
পরিণীতি চোপড়া

বলিউডে বাজছে বিচ্ছেদের সুর। ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশার বিচ্ছেদের পর বলিউডের মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরও সম্পর্কে ইতি টেনেছেন। এদিকে ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের জল্পনাও চলছে কিছু দিন ধরে। এর মধ্যেই পরিণীতি চোপড়ার এক রহস্যময় পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

পরিণীতির পোস্টের কারণে গুঞ্জন উঠেছে তা হলে কি পরিণীতির সংসারেও সমস্যা তৈরি হয়েছে? নাকি মন খারাপের জন্য বিষাদের কথা বলছেন কথায় এবং লেখায়।

২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডাকে বিয়ে করেন পরিণীতি। বিয়ের এক বছর এখনো পার হয়নি। এর মধ্যেই পরিণীতি লিখলেন, ‘বিষাক্ত মানুষদের ছেঁটে ফেলুন’

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছোট ভিডিও পোস্ট করে তার ক্যাপশনে পরিণীতি লিখেছেন, ‘এই মাসে আমি নিজের জীবনকে আরও একটু ভালো করে দেখার জন্য থেমেছি। আবারও বুঝেছি, একজনের মানসিকতাই সব। অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এর জন্য এক সেকেন্ড সময়ও নষ্ট করবেন না। সময় কিন্তু বয়ে চলেছে। প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে কাটাবেন, তা আপনার ওপরই নির্ভর করছে। অন্য কারও জন্য বাঁচা বন্ধ করুন। নিজের মানসিকতার সঙ্গে মেলে, এমন মানুষ খুঁছে নিন। বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে ছেঁটে ফেলতে ভয় পাবেন না।’

পরিণীতি আরও বলেন, ‘অন্যেরা কী ভাবছেন, তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার প্রতিক্রিয়া বদলান। জীবনে সময় কিন্তু সীমিত। তাই নিজে যেমন চান, তেমন ভাবেই বাঁচুন।’

 কলি 

৮ মাস পর বুবলী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
৮ মাস পর বুবলী
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী

চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী নিয়মিত সিনেমায় কাজ করছেন। সিনেমার বাইরেও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচিত তিনি। বিশেষ করে শাকিব খানকে নিয়ে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার কথার যুদ্ধ চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ব্যক্তিগত জীবনকে ছাপিয়ে কাজ নিয়েও নিয়মিত আলোচনায় থাকেন এই অভিনেত্রী। বুবলী অভিনীত নতুন ছবি ‘জংলি’।

এটি গত ঈদুল আজহায় মুক্তির কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। তবে জানা গেছে আগামী অক্টোবরে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এতে বুবলীর নায়ক সিয়াম আহমেদ। এ ছাড়া বুবলী অভিনীত সিনেমা ‘পুলসিরাত’। সরকারি অনুদান পাওয়া এই ছবির মাত্র এক দিনের শুটিং বাকি ছিল। গত ২৩ জুলাই এর শুটিং শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য শুটিং পিছিয়েছেন পরিচালক। তবে কবে নাগাদ এই এক দিনের শুটিং শেষ হবে সেটা জানাননি নির্মাতা।

এর মধ্যেই জানা গেল বুবলী ফিরছেন আট মাস পর। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমার কাজ আবারও শুরু করতে যাচ্ছেন এই চিত্রনায়িকা। এমনটি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস। এই নির্মাতা আট মাস আগে বুবলী ও জিয়াউল রোশানকে নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’ সিনেমার কাজ।

গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এফডিসি ও ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং হয়েছে। সে সময় ছবিটির ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ করেছিলেন নির্মাতা। তবে নানা ঝামেলায় আটকে যায় বাকি ৩০ শতাংশের শুটিং। সেই জট খুলছে এবার।

পরিচালক জানিয়েছেন, আগামী আগস্টে আবারও শুরু হবে ছবিটির শুটিং। নির্মাতা বলেন, ‘প্রযোজক তার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। এখন তিনি সবুজ সংকেত দিয়ে শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। রোশান ও বুবলীর সঙ্গেও কথা বলেছি। সব ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট মাস  থেকে টানা শুটিং করে সেপ্টেম্বর মাসে শেষ করব। ইচ্ছা আছে আগামী রোজার ঈদে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার।’

 কলি 

টরন্টো উৎসবে ‘সাবা’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
টরন্টো উৎসবে ‘সাবা’
মেহজাবীন চৌধুরী

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ক্যারিয়ারে প্রথমবার অভিনয় করেছেন বড় পর্দায়। তার অভিনীত প্রথম ছবিটির নাম ‘সাবা’। মাকসুদ হোসেনের পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন।

ছবিটি মুক্তির আগেই ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উৎসবটি শুরু হবে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এতে নাম-ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। ছবিটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

এবারের আসরে ‘সাবা’সহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার মূল্য ২০ হাজার ডলার। ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের তালিকায় আছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো আনিয়েদি, মারেন আদে ও এমা সেলিগম্যান।

 কলি 

৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গাইবেন নচিকেতা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গাইবেন নচিকেতা
নচিকেতা চক্রবর্তী ও জয় শাহরিয়ার

ভারতের কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। জীবনমুখী গান গেয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাই দুই বাংলাতেই তার গানের ব্যস্ততা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নেন এই খ্যাতিমান গায়ক। চলতি মাসের ১২ জুলাই সর্বশেষ গান শোনাতে ঢাকায় এসেছিলেন নচিকেতা। রাজধানীর হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটারে ১২ জুলাই গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তি এই গায়ক। কনসার্টটির নাম ছিল ‘ঢাকা মেলাঙ্কলি’। এই কনসার্টে নচিকেতা ছাড়াও গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তিন শিল্পী অর্ণব, আরমীন মূসা ও আহমেদ হাসান সানি।

এদিকে গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নচিকেতার নতুন কনসার্ট ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার ভলিয়ুম ২’ হওয়ার কথা ছিল। আয়োজন অনুযায়ী কনসার্টের টিকিটও বিক্রি করেছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দেশের চলমান অস্থিরতায় শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল করেছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান আজব রেকর্ডস ও আজব কারখানার কর্ণধার সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার।

তবে ২৬ জুলাই কনসার্টটি বাতিল করা হলেও একই ভেন্যুতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর গাইবেন নচিকেতা চক্রবর্তী। এর টিকিট মূল্য ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। এমনটি নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুষ্ঠানটি একই ভেন্যুতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই যারা টিকিট কেটেছেন তারা উক্ত টিকিকের মাধ্যমেই সেই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন।’

নচিকেতাকে নিয়ে এটি তাদের আয়োজিত দ্বিতীয় কনসার্ট। একই প্রতিষ্ঠান এর আগে ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা’-এর আয়োজন করেছিল।

 কলি 

শাফিনের শোকের মাঝেই জুয়েলের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১০ পিএম
শাফিনের শোকের মাঝেই জুয়েলের দুঃসংবাদ
হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ও শাফিন আহমেদ

খ্যাতিমান ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই তারকার লাশ দেশে আনার জন্য ইতোমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছেছেন শাফিন আহমেদের বড় ভাই ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ। তবে কবে নাগাদ শাফিনের লাশ দেশে আনা হবে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শাফিনের শোকে যখন শোবিজ অঙ্গন কাতর, ঠিক তখনই নন্দিত সংগীতশিল্পী ও অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের দুঃসংবাদ পেল সবাই। আর তা হলো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই শিল্পী। রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টেও রয়েছেন তিনি। এমন সংবাদ পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সংগীতাঙ্গনের মানুষরা। কারণ শাফিন আহমেদকে নিয়ে সবাই যখন স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন ঠিক তখনই জুয়েলের এমন সংবাদে থমকে আছেন তারা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন জুয়েল। এজন্য দেশের পাশাপাশি বিদেশেও বিভিন্ন সময় চলছিল তার চিকিৎসা। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও মিডিয়াতে সরব ছিলেন তিনি। উপস্থাপনা, গান নিয়ে তার ব্যস্ততা ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৩ জুলাই রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখেন।

গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি জানিয়েছেন জুয়েলের স্ত্রী উপস্থাপিকা ও সংবাদ পাঠিকা সঙ্গীতা। তিনি বলেন, ‘জুয়েলের প্লাটিলেট কমে গেছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গেছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। দোয়া করবেন সবাই। জুয়েল যেন লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে আসতে পারে।’

জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।

ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয়তার সময়ে ভিন্নধর্মী গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেন জুয়েল। বাবার চাকরি সূত্রে শৈশব-কৈশোরে দেশের নানা জায়গায় কাটিয়েছেন তিনি।

১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসেন জুয়েল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এভাবেই এক সময় গানে জড়িয়ে যান তিনি।

আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করেন জুয়েল। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এ ছাড়া বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।

 কলি