রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী কলিম শরাফীর শততম জন্মবার্ষিকী আজ। দিনটি উদযাপনে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে উদীচী আয়োজন করেছে আনন্দ অনুষ্ঠানের।
গান, নাচ ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে কলিম শরাফীকে স্মরণ করবেন অনুরাগী ও তার সহযাত্রীরা। এ ছাড়া কলিম শরাফীর জীবন, কর্ম ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনেরা। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা ছাড়াও এতে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি অঙ্গনের গুণীজনরা।
কলিম শরাফীর পুরো নাম মাখদুমজাদা শাহ সৈয়দ কলিম আহমেদ শরাফী। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার খয়রাডিহি গ্রামে তার জন্ম। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পর তিনি ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবন্দি হন। জেলে থাকাকালেই শুরু করেন রবীন্দ্রসংগীত চর্চা। পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময় গণসংগীতের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। লঙ্গরখানার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সময় তার পরিচয় হয় কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সঙ্গে। তার প্রভাবেই কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন
কলিম শরাফী।
১৯৪৩ সালে তিনি যোগ দেন ভারতের গণনাট্য সংঘে। নীতিগত বিরোধের কারণে ১৯৪৮ সালে সেখান থেকে বেরিয়ে গঠন করেন নাট্য সংস্থা ‘বহুরূপী’। সে বছর এইচএমভি থেকে বের হয় তার গণসংগীতের অ্যালবাম। কলকাতার বিখ্যাত সংগীত বিদ্যালয় ‘দক্ষিণী’ থেকে সংগীত শিক্ষা লাভ করেছিলেন। একসময় শিক্ষক হিসেবে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। পরিচালক পদে যোগ দেন পাকিস্তান টেলিভিশনে। ১৯৫১ সালে চট্টগ্রামে গিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রান্তিক’।
১৯৬৯ সালে সত্যেন সেনের সঙ্গে উদীচীর কর্মকাণ্ডে যোগ দেন কলিম শরাফী এবং ১৯৭৭ থেকে টানা কয়েক বছর তিনি উদীচীর সভাপতি ছিলেন। ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘সঙ্গীত ভবনে’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। কলিম শরাফী ২০১০ সালের ২ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।
কলি