বিতর্ক পেছনে ফেলে শীর্ষে ‘মা লো মা’ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিতর্ক পেছনে ফেলে শীর্ষে ‘মা লো মা’

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
বিতর্ক পেছনে ফেলে শীর্ষে ‘মা লো মা’

কোক স্টুডিও বাংলা ধীরে ধীরে পাল্টে দিচ্ছে শ্রোতাদের কান। শ্রোতারা এ প্ল্যাটফর্মের নতুন গানের জন্য মুখিয়ে থাকেন সব সময়। তাদের নতুন কোনো গান এলেই চারদিকে পড়ে যায় শোরগোল। বর্তমানে চলছে এর তৃতীয় সিজন। এই সিজনে গান প্রকাশিত হয়েছে মাত্র দুটি। প্রথম গান ‘তাঁতি’। এই গান নিয়ে আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই তারা প্রকাশ করে নতুন গান ‘মা লো মা’।

এটি প্রকাশের পর থেকেই ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। ছাদ পেটানোর স্মৃতি, লোকগান ও র‍্যাপের মিশেলে তৈরি হওয়া এ গানের পরিবেশনের ছন্দে ছন্দে শ্রোতারা উচ্ছ্বসিত হয়েছে। খালেক দেওয়ানের গীতিকবিতায় গানটি গত ৩ মে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও র‍্যাপার আলী হাসান। গানটি সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। প্রকাশের ৬দিনেই ৬০ লাখের বেশি মানুষ শুনেছে গানটি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত গানের মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এক নাম্বারে জায়গা করে নিয়েছে ‘মা লো মা’। পাশাপাশি সারা বিশ্বে গানের র‌্যাঙ্কিংয়ে এ গানের অবস্থান রয়েছে ৪৪ নাম্বারে। এমনটি জানিয়েছেন এই গানের সংগীত পরিচালক প্রীতম হাসান। পাশাপাশি গানটি নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে তৈরি হচ্ছে টিকটক ও নাচের ভিডিও। যেগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অল্প সময়ে বাংলা গান যেখানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তাতে করে দারুণ খুশি সংগীত পরিচালক প্রীতম হাসানসহ এই গানের সংশ্লিষ্টরা।

প্রীতম হাসান

 

তবে গানটি যখনই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে সেসময়ই উঠেছে বিতর্ক। গানটির প্রকৃত মালিক কে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

কোক স্টুডিওতে প্রকাশিত এই গানটির গীতিকারের নাম নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‘মা লো মা’ গানটির গীতিকারের ঘরে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করেছে কোক স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। তবে দাবি করা হচ্ছে এই তথ্য মিথ্যা। গানটি নাকি নেত্রকোনার বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ নেত্রকোনার সংস্কৃতিকর্মীরা। ৬ মে সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্য সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে গানটি বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ানের লেখা বলে প্রচারের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন নেত্রকোনার স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।

দিন যতই গড়াচ্ছে এই গানের গীতিকবির নাম নিয়ে ততই বিতর্কের পাল্লা ভারী হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বাউল সাধক খালেক দেওয়ানের নাতি ও সংগীতশিল্পী সাগর দেওয়ান। অভিযোগকারীদের নিয়ে সাগর দেওয়ান বলেন, ‘এমন দাবি করছেন যারা আমরা তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের কাছে যদি কোনো প্রমাণ থাকে সেগুলো উপস্থাপন করতে। গানটি যখন রেকর্ড করা হচ্ছিল তখনো আহ্বান জানিয়েছি। শুধু আমরা কেন, আমাদের মা-বাবা, গ্রাম বাংলার যারা আছেন, মুরব্বিরা যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করলে সবাই এক বাক্যে বলবেন এটা খালেক দেওয়ানের গান। জন্মের পর থেকেই এই গান খালেক দেওয়ানের নামে শুনে আসছি। তাকে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিনি তো পালাকার ছিলেন। মঞ্চে শতাধিকবার এই গানটি গেয়েছেন। ৫০-৬০ বছর আগের কথা বলছি। এ ছাড়া ১৯৬০ সালে হিজ মাস্টার্স ভয়েস কোম্পানিতে এই গান রেকর্ড করা হয়েছিল। সে সময় নিজের নামেই গানটি গেয়েছিলেন খালেক দেওয়ান। ইউটিউবে খুঁজলে এখনো পাওয়া যাবে।’

সাগর দেওয়ান আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তাদের আবারও আহ্বান জানিয়ে বলছি, আপনাদের কাছে যদি কোনো উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকে সেগুলো নিয়ে আসুন, প্রমাণ দিন। আমাদের মানতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে আমাদের হাতে যে প্রমাণ আছে সেসবের চেয়ে অবশ্যই শক্ত প্রমাণ হতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের কথা।’

এদিকে বিতর্ক এড়াতে কোক স্টুডিওতে প্রকাশিত ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় বাউল রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করেছে। লেখা হয়েছে, ‘মা লো মা লিখেছেন মো. খালেক দেওয়ান (গানটির আরেকটি সংস্করণ লিখেছেন বাউল রশিদ উদ্দিন, নাম মা গো মা)।’

তবে এই গান নিয়ে বিতর্কের মেঘ যতই উড়ুক না কেন শ্রোতাদের হৃদয়ে কিন্তু আনন্দের বৃষ্টি ঝড়াচ্ছে এ গানের কথা, সুর ও সংগীত। সব বাধা ভেঙে এগিয়ে চলছে আপন গতিতে ‘মা লো মা’।

জাহ্নবী

‘কাজের মাধ্যমেই সব সমালোচনা মোকাবিলা করব’

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
‘কাজের মাধ্যমেই সব সমালোচনা মোকাবিলা করব’

নন্দিত অভিনেতা আজিজুল হাকিম। মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী করতে বর্তমানে তিনি আমেরিকায় রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়েছেন। এসব বিষয়ের পাশাপাশি অভিনয় এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে আমেরিকা থেকে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ মিজান

সেন্সর বোর্ডের সদস্য হলেন। অভিনন্দন আপনাকে। 
কেমন লাগছে?
অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়ে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আমার দায়িত্ব আরও অনেক বেশি বেড়ে গেল। শিল্পী হিসেবে যে দায়িত্ববোধের কথা আমরা সব সময় বলে থাকি, এটি আরও একধাপ এগিয়ে গেল। চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে।

সেন্সর বোর্ডে কাজের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোয় গুরুত্ব দিতে চান?
চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে চলচ্চিত্রের ছাড়পত্রের যে বিষয়টি, এই ক্ষেত্রে কাজ করতে পারার সুযোগ পেয়ে নিজেকে খুব সম্মানিতবোধ করছি। অভিনয়, গল্প, সংগীত, এডিটিং সবকিছু মিলিয়েই একটি পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র হয়। যেহেতু এটি একটি বোর্ড, এখানে অনেক অভিজ্ঞ সদস্য আছেন, আমরা সবাই মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। যেহেতু আমি অভিনয়শিল্পী তাই আমার ফোকাসটা অভিনয়ের ওপর বেশি থাকবে।

আপনি বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন। প্রবাসে বসে এমন খবরে কেমন অভিবাদন পেয়েছেন?
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ও টেলিফোনে আমার যারা শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন তারা সবাই অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমাকে যারা ভালোবাসেন, আমার প্রতি যাদের প্রত্যাশা আছে তারা আমাকে অভিনন্দিত করেছেন। আমার এই প্রাপ্তিতে সবাই অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছেন, সেটি আমি বুঝতে পেরেছি।

সেন্সর বোর্ড নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে চান?
আসলে বোর্ড যখন তার সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভালো চলচ্চিত্রের ছাড়পত্র দেবে এবং সেগুলো যখন দর্শকদের ভালো লাগবে, তখন কিন্তু সমালোচনা থাকবে না। সঠিক কাজের মাধ্যমেই আমরা সব সমালোচনা মোকাবিলা করব।

যারা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন, আমরা অবশ্যই তাদের সমালোচনা গ্রহণ করব। আর যারা সমালোচনা করার জন্য সমালোচনা করবে, সেটি ভিন্ন কথা। আমি মনে করি, এখনই কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার অবস্থা তৈরি হয়নি। নতুন সেন্সর বোর্ড আগে কাজ শুরু করুক, তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হবে।

সেন্সর বোর্ডের হস্তক্ষেপের কারণে চলচ্চিত্রে স্বাধীন গল্প দেখাতে পারেন না নির্মাতারা। এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। আপনি কী মনে করেন?
আমি মনে করি, সেন্সরের কারণে স্বাধীনভাবে নির্মাতা গল্প দেখাতে পারেন না, এটি ঠিক নয়। চলচ্চিত্র কিন্তু একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। এই গণমাধ্যমে আমরা আমাদের সমাজের কথা, দেশের কথা বলতে পারি। এটির একটি প্রভাব আছে। আমি স্বাধীন মানেই যা ইচ্ছা তাই করব বা দেখাব, সেই ভাবনা থেকে নির্মাতাদের বেরিয়ে আসা উচিত। আমি যে কাজটি করতে চাই যদি আমার পরিবার, সমাজ ও দেশকে নীতিবাচকভাবে প্রভাবিত না করে, তাহলে অবশ্যই আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পাবে। সুতরাং এই বিষয়টি চিন্তার কিছু নেই।

প্রবাসে বসে জন্মদিন পালন করলেন। বিশেষ কোনো আয়োজন ছিল কি?
আমার এবারের জন্মদিনটি পালন করেছি আমেরিকার বাফেলোতে। খুবই সুন্দর একটি জায়গা। এখানে আমার আত্মীয়স্বজন যারা আছেন, তারা সবাই মিলে আমার জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিয়েছেন। আমার মেয়ে বাচ্চাদের মতোই আমার বার্থডে আয়োজন করেছিল। এবার আরও বেশি ভালো লেগেছে। কারণ যে নাটকের শো করতে আমেরিকায় এসেছি, তার সবগুলো শো অনেক বেশি সাকসেস হয়েছে। আর এখানে বসেই সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়েছি, এই খবরটিও পেয়েছি। সেটিও আমার জন্মদিনের একটি বিশেষ উপহার বলে মনে করি। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করেছি।

আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে মঞ্চনাটকে অভিনয় করছেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমি ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের বাইরে নিয়মিতভাবে মঞ্চনাটকে কাজ করছি। ইংল্যান্ড, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ অনেক দেশে মঞ্চনাটকে কাজ করেছি। দেশের বাইরে আমাদের বাংলাদেশি যে কমিউনিটি আছে তাদের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মঞ্চে নাটক করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি দেশের বাইরে যে নাটকগুলো করি, তার অধিকাংশ নাটকই আমার স্ত্রী জিনাত হাকিমের লেখা। আমেরিকার বোস্টন থেকে এবার নাটকের শো শুরু করেছি। এরপর নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, বাফেলো স্টেটগুলোতে ‘দুই দুই গুনে চার’, ‘বিন্দু থেকে বৃত্ত’ নাটকগুলোর শো করেছি। এই যে প্রতিবার এখানে নাটকের শো করতে এখানে আসি, দর্শকদের যে প্রতিক্রিয়া পাই, তাতে অনেক বেশি উৎসাহিত হই। মঞ্চে উঠলে এখনো দর্শকদের যে ভালোবাসা পাই, তার আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না। আর এই যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মঞ্চনাটক দেখানো এটি জিনাত দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে করে আসছে। তাদের বাংলাদেশের নাটকের প্রতি যে আগ্রহ, তা আমাকে মুগ্ধ করে।

দেশে ফিরবেন কবে?
চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার ইচ্ছা আছে। আমি মিশিগান হয়ে কানাডায় যাব। এরপর আমেরিকা হয়ে দেশে ফিরব।

নতুন কাজের খবর বলুন?
আমি নিয়মিত কাজ করার চেষ্ট করছি। আমার কাজের পরিধি আগের মতোই আছে। টেলিভিশন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউব চ্যানেলে বেশ কিছু কাজ করছি। চলচ্চিত্রেও কাজ করছি। দেশে ফিরেই আবার কাজ শুরু করব। এ ছাড়া বেতারেও নিয়মিত কাজ করছি। অনেকেই মনে করতে পারেন আমি ওয়ালটন পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, এ জন্য অভিনয়ে হয়তো আগের মতো সময় দিতে পারছি না এমনটি নয়। আমি ওয়ালটনে কাজের পাশাপাশি অভিনয়ে নিয়মিত কাজ করি। দুটোই সমন্বয় করি।

জাহ্নবী

৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব সেলেনাদের জন্য অভিবাদন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
সেলেনাদের জন্য অভিবাদন
অ্যাড্রিনা প্যাজ, কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন, জোয়ি সালডানা ও সেলেনা গোমেজ। ছবি: কানের সৌজন্যে

অভিবাদনও যে এত দীর্ঘ হতে পারে, কে জানত! কান চলচ্চিত্র উৎসবের শনিবার সন্ধ্যা তার সাক্ষী। স্প্যানিশ ভাষার ক্র্যাইম কমেডি মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘এমিলিয়া পেরেজ’ দেখানোর পর সে রাতে টানা ১১ মিনিট করতালি দিয়েছেন অতিথিরা। কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন, সেলেনা গোমেজ, জোয়ি সালডানা, এডগার রামিরেজদের দিকে যেন ছুটে যাচ্ছিল শুভেচ্ছার অদৃশ্য পাপড়ি। বেশ কষ্ট করে আবেগ চেপে রেখেছিলেন পপ তারকা সেলেনা, কিন্তু জোয়ি সালডানা পারেননি। কেঁদে ফেলেছেন।

কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে হয়ে গেল ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এই সিনেমার মাধ্যমে ২০২১ সালের পর জ্যাক অডিয়ার্ড আবারও ফিরলেন প্রতিযোগিতা শাখায়। ওই বছর তার ‘প্যারিস, থার্টিনথ ডিসট্রিক্ট’ অংশ নিয়েছিল প্রতিযোগিতায়। নতুন সিনেমায় তিনি রিটা নামের একজন অবমূল্যায়িত মেধাবী আইনজীবীর কাহিনি দেখিয়েছেন। অপরাধীকে খালাস করার চেয়ে বিচারের আওতায় নিয়ে যাওয়াই যার লক্ষ্য।

২০১৫ সালে ‘ধীপান’ ছবির জন্য স্বর্ণপাম জিতেছিলেন জ্যাক। ১৯৯৪ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ওয়াচ দ্য মেন ফল’ ক্রিটিকস উইকে নির্বাচিত হয়। তার ছয়টি ছবি অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছিল। সেই তালিকায় রয়েছে ‘আ প্রফেট’, ‘অব রাস্ট অ্যান্ড বোন’ ও ‘দ্য অলিম্পিয়াডস’। ‘এমিলিয়া পেরেজ’ আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ ফ্রান্সে মুক্তি পাবে।

প্রেক্ষাগৃহ লুমিয়েতে প্রতিযোগিতার বাইরে দেখানো হয় কানাডার এভান জনসন, গ্যালেন জনসন ও গাই ম্যাডিন পরিচালিত ‘রিউমার্স’। এতে অভিনয় করেছেন কেট ব্ল্যানচেট। লালগালিচায় দাঁড়িয়ে দূর থেকেই অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। ২০১৮ সালে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক ছিলেন তিনি। নতুন ছবিতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন অ্যালিসিয়া ভিক্যান্ডার, চার্লস ড্যান্স, দনি মেনোশেঁ, তাকেহিরো হিরা, রোলান্ডো রাভেলো, নিকি আমুকা-বার্ড। এ দিন আরও দেখানো হয় ক্লদ ব্যারা পরিচালিত অ্যানিমেটেড ছবি ‘সভেজ’। কান প্রিমিয়ার বিভাগে ছিল ফ্রান্সের লিউস ক্যারাক্স পরিচালিত ‘ইটস নট মি’। মাঝরাতের শোয়ে ছিল ফ্রান্সের নোইমি মেরল্যঁ পরিচালিত ‘দ্য ব্যালকোনেটস’।

একই দিনে সাগর পাড়ে খোলা আকাশের নিচে দেখানো হয় আর্জেন্টিনার ড্যানিয়েল বারম্যান পরিচালিত ‘ট্রান্সমিৎজভা’ ছবিটি। সমান্তরাল বিভাগের ৫৬তম ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে দেখানো হয় কানাডার ম্যাথু র‍্যানকিন পরিচালিত ‘ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ’, ফ্রান্সের প্যাত্রিসিয়া ম্যাজুই পরিচালিত ‘ভিজিটিং আওয়ার্স’, পর্তুগালের পাওলো কারনেইরো পরিচালিত ‘সাভানা অ্যান্ড দ্য মাউন্টেন’। ৬৩তম ক্রিটিকস উইকে দেখানো হয় বেলজিয়ামের লিওনার্দো ফন ডেইল পরিচালিত ‘জুলি কিপস কোয়ায়েট’, ফ্রান্সের অ্যালেক্সি লঙ্গলোয়াঁ পরিচালিত ‘কুইনস অব ড্রামা’। এসিআইডি বিভাগে ছিল আর্জেন্টিনার আইয়ার সাইদ পরিচালিত ‘মোস্ট পিপল ডাই অন সানডেজ’, ভারতের মায়সাম আলি পরিচালিত ‘ইন রিট্রিট’।

জাহ্নবী

 

শাকিবের সাথে চঞ্চল চৌধুরী

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
শাকিবের সাথে চঞ্চল চৌধুরী

‘ভয় নাই, প্রচণ্ড গরমেও আমরা মাথা ঠাণ্ডা রাখি’। গতকাল বিকেলে হঠাৎ শাকিব খানের সঙ্গে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখেন চঞ্চল চৌধুরী। দুজন একত্রে কাজ করছেন নতুন সিনেমা ‘তুফান’-এ। ছবির টিজারের শেষ দৃশ্যে একই রকম হাসি নিয়ে চঞ্চলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘তুফান, খুব ভয় পাইছি রে’।

জাহ্নবী

সাবিলার হ্যাটট্রিক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
সাবিলার হ্যাটট্রিক

এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। বর্তমানে তিনি অবকাশ যাপনে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। সেখানে যাওয়ার আগেই এই অভিনেত্রী শেষ করে গেছেন নতুন তিন নাটকের কাজ। নাটক তিনটি হচ্ছে অনন্য ইমনের ‘দূষিত এই শহর’, রাগীব পিয়ালের ‘মাকড়সা’ এবং মুরসালিন শুভর পরিচালনায় ‘রাত বাকী’। 

দুটি নাটকে সাবিলার বিপরীতে আছেন শ্যামল মাওলা ও সুদীপ বিশ্বাস দীপ। আর একটি নাটকে দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার কর্মীরা অভিনয় করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সাবিলা নূর বলেন, ‘তিনটি নাটকের গল্পই চমৎকার। আমি সব সময় ভালো গল্পের নাটকের অপেক্ষায় থাকি। এ জন্য ভালো গল্প পেলেই অভিনয় করতে ভালো লাগে। এটা আমার বিশ্বাস এই নাটকের গল্প ও নির্মাণ দর্শকদের ভালো লাগবে। নাটকগুলোতে আমার চরিত্রগুলোও দারুণ। আমার বিশ্বাস দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’

সাবিলা নূর জানান, আগামী ২২ মে দেশে ফিরবেন তিনি। ফিরেই আরও দুতিনটি ঈদের নাটকে কাজ করার কথা রয়েছে। নাটকের পাশাপাশি সাবিলাকে মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপনচিত্রেও দেখা যায়।

জাহ্নবী

ভোটে জিতলেই ছাড়বেন অভিনয়

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
ভোটে জিতলেই ছাড়বেন অভিনয়

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে লড়ছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী তিনি। প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কাজটি ভীষণ কঠিন, বরং সিনেমায় অভিনয় অনেক সহজ কাজ। তবে ভোটে জিতে গেলে সহজ কাজটি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

ইনস্টাগ্রামে নিজের নির্বাচনি প্রচারের একটি ভিডিও পোস্ট করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘ছয়টা জনসভা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। দুর্গম গ্রামীণ পাহাড়ি পথঘাট, একই দিনে ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হচ্ছে, এমনকি রাতেও থামার সুযোগ নেই। ঠিকমতো না হচ্ছে খাওয়া, না বিশ্রাম। যেতে যেতে গাড়িতে বসে ভাবছি, সিনেমা বানানোর কাজটা এই যুদ্ধের কাছে হাস্যকর।’

কঙ্গনা জানিয়েছেন, প্রচারে বেশ সাড়া পাচ্ছেন তিনি। নিজের জয়ের ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত এই অভিনেত্রী। জিতলে অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতেই মনোযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভোটে জিতলে আমি ধীরে ধীরে বলিউড ছেড়ে দেব।’ যদিও ভোটের মাঠেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাকে। এ নির্বাচনকে তিনি ‘ধর্মযুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিটি প্রচারে গিয়ে বিরোধী দল নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এতে নিজ দলের অনেক নেতার সমর্থন পাচ্ছেন না তিনি। তাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।

অনেক দিন হলো কঙ্গনার কোনো সিনেমা হিট হয় না। এমনকি চলতি লোকসভা নির্বাচনের ব্যস্ততায় পিছিয়ে গেছে তার বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’। এসব কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাকে ‘ফ্লপ কুইন’ বলে খোঁচাও দেন। বলিউড ছাড়ার ঘোষণা দিলেও বলা চলে বলিউড তাকে ছেড়েছে অনেক আগেই। ভোটে হারলে বলিউড থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এই অভিনেত্রীর।

জাহ্নবী