ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

অন্দরসজ্জায় দোলনা

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
অন্দরসজ্জায় দোলনা

‘দোলনা’ শব্দটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে শৈশবে ফেলে আসা সময়গুলো। বর্তমানে অন্দরসজ্জায় জনপ্রিয় উপকরণের একটি হচ্ছে দোলনা। ছোট থেকে বড় সবাই দোলনা দেখে আকর্ষিত হয়। দোলনা যেমন মনে আনন্দ দেয়, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তোলে। ঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে ওঠে, যখন একটি দোলনা রাখা হয়। ঘরে বাঙালিয়ানা ও নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলার জন্য শৌখিন মানুষ বেছে নেয় দোলনা। গৃহসজ্জায় দোলনার ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন সৈয়দ শিশির।

সাধারণত বসার ঘরে অথবা অন্দরে বাড়ির সদস্যদের একান্ত সময় কাটানোর স্থানে দোলনা ব্যবহার করা হয়। আজকাল অনেকে বসার ঘরে সোফার বিকল্প হিসেবেও দোলনার ব্যবহার শুরু করেছেন। তবে কেমন দোলনা দিয়ে ঘর সাজাবেন- এটা ঠিক করার আগে মাথায় রাখতে হবে আপনার ঘরের সাইজ ও ধরন। ড্রয়িংরুমে দোলনা রাখার কথা ভাবলে অবশ্যই রুমের অন্যান্য ফার্নিচারের কথা খেয়াল রাখতে হবে। বাকি ফার্নিচারে থিম ও ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে দোলনা বাছাই করলে দেখতে বেশ সুন্দর লাগবে। বেডরুম বড় হলে এর খালি জায়গাতেও দোলনা রাখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বেডরুমের পর্দার সঙ্গে মিলিয়ে দোলনার থিম ঠিক করতে হবে।

আবার চাইলে কনট্রাস্ট রং বাছাই করা যেতে পারে। যেমন- পর্দার রং হাল্কা হলে বেছে নিতে পারেন গাঢ় রঙের দোলনা। বেডরুমের এককোণে দোলনা রাখুন, যাতে চলাফেরায় খুব সমস্যা না হয়। দোলনাটি যদি একজনের ব্যবহারের জন্য তৈরি করেন, তবে আয়তন দুই ফুট বাই আড়াই ফুট হওয়া ভালো। আর দুজনের জন্য হলে দুই ফুট বাই সাড়ে তিন ফুট আয়তনের হতে পারে। এতে দোলনাটি শুধু শোপিস নয়, বাসায় অন্য আসবাবের মতো প্রয়োজনীয় আসবাব হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আসলে, দোলনা সাধারণত সব ঘরেই মানিয়ে যায়। কিন্তু ছোট ঘরে বড় সাইজের একটা দোলনা মানানসই হবে না। তাই সবকিছু বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিশেষ পরামর্শ

চেষ্টা করতে হবে বেডরুমের দোলনাটা যেন সাইজে ছোট হয়। কারণ বেডরুম যত বড়ই হোক না কেন, বেশি বড় সাইজের দোলনা রাখলে তা দৃষ্টিনন্দন হয় না। ছোটদের রুমে দোলনা যাতে নিচু হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে, দোলনাতে উঠতে গিয়ে শিশুরা যেন ব্যথা না পায়। দোলনায় শিশুদের পছন্দের কার্টুন মোটিভের কুশন দিতে পারেন। আর শিশুদের রুমের দোলনা একটু উজ্জ্বল রঙের বেছে নেওয়া যেতে পারে।

অন্যান্য আসবাব থেকে দোলনা যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। কারণ দোলনা আর বাকি আসবাব কাছাকাছি থাকলে দোল খাওয়ার সময় ব্যথা পেতে পারে।

দোলনা ছোট হোক বড় হোক যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দোলনার দড়ি যেন মজবুত হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

দোলনা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই যথেষ্ট।

বিভিন্ন ধরনের দোলনা 

কাঠের দোলনা : ঘরের কোণে একটি কাঠের দোলনা বেশ নান্দনিক ও রুচির পরিচয় তুলে ধরে। কাঠের দোলনায় নানা ধরনের কারুকাজ থাকে। এসব দোলনা বড় ড্রইংরুমের জন্য বেশ মানানসই।

পাটের দোলনা : পাটের দোলনা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কারণ এটি ছোট ফ্ল্যাটেও খুব সহজে মানিয়ে যায়। ড্রয়িংরুম কিংবা শোবার ঘর হোক- পাটের দোলনা সব জায়গাতেই ভালো লাগে। তা ছাড়া এটি যখন-তখন রিং থেকে খুলে রাখা যায়।
বাঁশ ও বেতের দোলনা: ঘরে দেশীয় ছোঁয়া আনতে অনেকেই বেছে নেন বাঁশ ও বেতের দোলনা। পাটের মতো এসব দোলনাও সব জায়গায় মানিয়ে যায়।

লোহার দোলনা : এ দোলনা দেখতে সুন্দর এবং দামেও সাশ্রয়ী। পুরোটাই লোহা দিয়ে তৈরি হলেও আরামদায়ক। এসব দোলনায় বসার জায়গাটিতে ফোম দেওয়া হয় এবং কারুকাজ করা হয় একেবারে চিকন রড দিয়ে খুব হাল্কার ওপর।

বিভাজন দোলনা: চারকোণার এ দোলনার জন্য বেশ জায়গার প্রয়োজন হয়। যাদের ঘরের রুম বড়, তারা এটি বেছে নিতে পারেন। এটি বেশ অভিজাত দোলনা। তবে এতে অবশ্যই আরামদায়ক কুশন থাকতে হবে।

যেখানে পাবেন

দোলনা এখন সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আজিজ সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোলনা পাওয়া যায়। অনলাইনেও পাট ও বেতের দোলনা বিক্রি হয়ে থাকে। পুরান ঢাকায়ও রয়েছে বেশকিছু দোলনার দোকান। আর নিজের পছন্দমতো কাঠ ও ডিজাইন দিয়ে দোলনা কাস্টমাইজড করে বানিয়ে নিতে চাইলে ফার্নিচারের দোকানে যোগাযোগ করতে হবে। 

দরদাম

বাঁশ ও বেতের দোলনা পাবেন ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। শৌখিন কারুকাজের চিকন বেতের দোলনা পাবেন ৬ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। স্টিলের তৈরি দোলনা ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এবং লোহার দোলনা ৫ থেকে ৭ হাজার টাকায় পাবেন। এ ছাড়া কাঠের তৈরি কারুকাজের দোলনা পাবেন ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

কলি

পাকা আমে রূপচর্চা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
পাকা আমে রূপচর্চা

চলছে আমের মৌসুম। আমে আছে ভিটামিন-এ ও সি, কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এবং বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে আমের রস বেশ কার্যকর। আমের প্যাক ব্যবহারের সুবিধা হলো সব ধরনের ত্বকে যেকোনো বয়সে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে আমের ব্যবহার সম্পর্কে জানিয়েছেন জারা’স বিউটি লাউঞ্জ অ্যান্ড ফিটনেস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ফারহানা রুমি। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন হাসিবা আক্তার। 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে
আমে থাকা কপার এবং ফোলেট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের যত্নে আমের ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয় দ্রুতই। বাসাতেই ফেসপ্যাক তৈরি করে তা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারবেন। ৫ টেবিল চামচ আমের পাল্পের সঙ্গে ৩ চামচ বেসন ব্লেন্ড করে নিলেই ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে যায়। প্যাকটি অন্তত সপ্তাহে দুদিন মাখলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

বয়সের ছাপ দূর করতে
বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাওয়া কিংবা ত্বকে বলি রেখার মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সময়ের আগেই ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করে। তাই আমকে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখার পাশাপাশি আমের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে খুব সহজে এ প্যাক বানাতে পারবেন। একটি আমের ক্বাথের সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, অল্প টক দই এবং গোলাপ জল মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এরপর তা মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এ ফেসপ্যাকটির মাধ্যমে বজায় থাকবে আপনার তারুণ্য।

ত্বকের পুরোনো দাগ সারাতে
ত্বকের পুরোনো দাগ সারাতেও আম বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আমের রস ব্যবহারে দাগ হালকা হয়। ৪ টেবিল চামচ আমের রস ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ টক দই এই হলো উপকরণ। এবার একটি পাত্রে প্রতিটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে শরীরের রোদে পোড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করলেই সুফল পাবেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য গরমে অত্যধিক ঘাম হয়। যতই পানীয় খাওয়া হোক না কেন, শরীরে জলের ঘাটতি থেকেই যায়। সেখান থেকেই শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। তাই শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন আম দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করে।

ব্রণের সমস্যা দূর করতে 
ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তিতে আম বেশ কার্যকরী। আমের ক্বাথের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট মেখে অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত পাকা আম মুখে ব্যবহার করলে ব্রণ কমবে।

রোদের পোড়া দাগ দূর করতে 
এই সময় অন্যতম সমস্যা তীব্র রোদ এবং সঙ্গে ত্বকে রোদেপোড়া দাগ। ত্বকের এই রোদেপোড়া দাগ দূর করতেও আম বেশ উপকারী। ঘরে থাকা পাকা আমের ক্বাথ ও গুঁড়া দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে তা ব্যবহার করুন। এতে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এ ছাড়া চার টেবিল চামচ আমের ক্বাথ, দুই টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে শরীরের পোড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করলেই সুফল পাবেন।

শুষ্ক ত্বকের জন‍্য
গরমে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আমে ভিটামিন-সি এবং ই থাকার কারণে ত্বকের কোষ ভালো রাখে। তাই আম দিয়ে তৈরি ফেসপ‍্যাক দিয়ে শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন। পাকা আমের টুকরো, খানিকটা চটকানো অ‍্যাভোকাডো এবং দুই চা চামচ মধু একসঙ্গে মিহি করে মেখে নিন। মুখে, গলায় এবং ঘাড়ে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে নিলে মসৃণ হবে ত্বক। এটা ত্বকক লাবণ্যময়ী করবে। এ ছাড়া প্রতিদিন আম খাবার সময় কয়েক টুকরো আম মুখে ঘষে নিতে পারেন।

সতর্কতা 
তবে মুখে আম ব্যবহারের আগে অবশ্যই একটু সতর্ক থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ত্বকে ব্যবহৃত আম যেন অবশ্যই কার্বাইডমুক্ত হয়। এ ছাড়া আমের যেকোনো ফেসপ্যাক ২০ মিনিটের বেশি লাগিয়ে রাখবেন না।

 কলি

কক্ষ বুঝে সোফার ব্যবহার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
কক্ষ বুঝে সোফার ব্যবহার

সব বাড়িতেই সোফা থাকে। এটি রুচিশীল আসবাবের মধ্যে পড়ে। ঘরের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে সোফা অতুলনীয়। ঘরের আকার আর সোফার আকারের সমন্বয় অন্দরসজ্জাকে ছিমছাম আবহ এনে দেয়। তাই রুমের আকার ও ব্যবহার যোগ্যতা বিবেচনায় রেখে সোফা বেছে নেওয়া উচিত। এ সম্পর্কে লিখেছেন তামিম হাসান

বর্তমানে বাসা যেমনই হোক ড্রইংরুমে এক সেট সোফা ছাড়া বাসার সাজ যেন পূর্ণতা পায় না। বসার ঘর দেখেই একজন মানুষের রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। সেই জায়গাকে তাই সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা জরুরি। অতিথি এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলাপন ও টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান বা সিনেমা উপভোগ করার জন্য আমরা বসার ঘরেই সোফার অবস্থান লক্ষ করি কিন্তু এখন আর এটি শুধু বসার ঘরে সীমাবদ্ধ নেই। শোবার ঘর, অতিথি কক্ষ, এমনকি বারান্দায়ও শোভা পায় সুসজ্জিত রঙিন সব সোফা। আজকাল বাজারে নানান আকার ও ডিজাইনের সোফা পাওয়া যায়। কক্ষের আকার, ছাদ ও মেঝের দৈর্ঘ্য, জানালা উচ্চতা, দরজার অবস্থানের দিকে খেয়াল রেখে সোফা বেছে নিতে হবে।

বেডরুম যদি বড় হয় তাহলে বিছানার বিপরীত পাশের দেয়াল ঘেঁষে দুই থেকে তিন আসনের সোফা রাখতে পারেন। শোবার ঘর ছোট হলে সিঙ্গেল সোফা বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ডিভান ব্যবহার করতে পারেন। আসবাবটি কিছুটা দেখতে সোফার মতো, কিন্তু খাট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালের রং, পর্দা, ঘরের অন্যান্য ফার্নিচারের সঙ্গে মিল রেখে ডিভান নির্বাচন করা ভালো। সাজানোর ক্ষেত্রে ডিভান যদি দেয়ালের পাশে হয় তবে দেয়াল চিত্রকর্ম, ডেকোরেটিভ আয়না বা ছবি দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। কক্ষ বড় হলে লেদার, কাপড় ও ফোমের ভারী সোফা ব্যবহার করতে পারেন। কক্ষ ছোট হলে হালকা ডিজাইনের কাঠ, বেত, ফেব্রিক, লেদার, রেক্সিন, শৈল্পিক ডিজাইনের বাঁশ বা আয়রনের হালকা সোফা বেছে নিতে পারেন। ঘরের ফাঁকা জায়গা, দেয়ালের রং ও অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে সোফা নির্বাচন করতে পারেন।

আধুনিকভাবে সাজাতে চাইলে কাঠ, রড, আয়রনের সোফা আর ঐতিহ্যগত সাজের বেত বা বাঁশের সোফা ভালো দেখাবে। ঘরের আকার বড় হলে সোফা কেনার আগে কেন কিনছেন, কোথায় রাখবেন, কাদের জন্য- এসব বিষয় খেয়াল রাখুন। ড্রইংরুম ও অভ্যর্থনা কক্ষের জন্য এমন সোফা বেছে নিন যেগুলো মজবুত এবং সহজে দাগ পড়ে না এমন ধরনের। বসার ঘর যদি একটু বড় হয় তাহলে একপাশে উঁচু সোফা ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার বসার ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

ড্রইংরুম, বারান্দা ও বেডরুমে ব্যবহারের সোফার কুশনে নান্দনিক আলপনা, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, আর্টিস্টিক নকশা রাখতে পারেন। দেখতে বেশ ভালো লাগবে। ড্রইংরুম বড় হলে এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের সুব্যবস্থা থাকে তাহলে কুশনের জন্য সিল্কের কাপড় বেছে নিতে পারেন। নানা রঙের একরঙা কুশন কভার বেছে নিন। ঘরের দেয়ালে যদি হালকা রং থাকে তাহলে গাঢ় রঙের মধ্যে শেডগুলো বেছে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সোফার কভারের রং ও প্রিন্টের বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। যে রুমেই সোফা ব্যবহার করুন না কেন সোফার গদির কাপড়ের জন্য অবশ্যই গাঢ় রং ব্যবহার করুন।

অফিসে কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে সোফা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অতিথি আপ্যায়ন কিংবা কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য সোফার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই অফিসের সোফা কেনার ক্ষেত্রে ফেব্রিক ও নকশাকে গুরুত্ব দিন, যাতে ব্যবহারের ফলে সহজে নষ্ট না হয়ে যায়।

 কলি

নীলুর ‘সেলাইঘর’

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
নীলুর ‘সেলাইঘর’
তাসলিমা নীলু

তাসলিমা নীলু ২০০৭ সাল থেকে হোপ ইন্টারন্যাশনাল বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন। ২০১৮ সালে শিক্ষকতার পাশাপাশি কিছু করার ইচ্ছায় উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করেন। সেই চিন্তা থেকে কিছু পোশাক এনে স্কুলের কলিগ ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে বিক্রি করেন। ভালোই সাড়া পেয়েছিলেন। একটা ফেসবুকে পেজ খুলেছিলেন। কিন্তু কীভাবে পণ্যের ছবি তুলতে হয়, সে সম্পর্কে একেবারেই ধারণা ছিল না। যা বিক্রি হতো পরিচিতের মধ্যে।

কিন্তু চাকরি ও ব্যবসা একসঙ্গে করতে পারছিলেন না। তাই ২০১৯ সেটা বন্ধ করে দেন। এরপর ২০২০ সালে করোনাকালীন যখন সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের কাজে তেমন চাপ ছিল না। এ ছাড়া তার স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তিনি তার ফেসবুক পেজটা আবার চালু করেন। পুরোনো পেজটা কাজ না করার কারণে সেটা খুলতে পারছিলেন না। তাই সেলাইঘর নাম দিয়ে আরেকটা পেজ খুলেন। একটু আলাদা ধরনের নাম দেওয়ার জন্য পেজটির নাম দিয়েছিলেন সেলাইঘর। যাতে সবার মুখে মুখে থাকে। অনেকভাবে সেলাইঘর মানে সেলাই শিখানো হয়, আসলে কিন্তু তা নয়। সেলাইঘর মানে পোশাক বিক্রি হয়। তিনি সেলাইয়ের কাজ জানতেন বলে এই নামটি দেওয়া। নীলু সবসময় নিজের এবং তার শাশুড়ির জন্য অনেক কাপড় ও লেইস কিনে রাখতেন। করোনাকালীন এটি কাজে দিয়েছিল। শিশুদের একটা পোশাক বানিয়ে হাতের কাজ করে প্রথম সেলাইঘরে পোস্ট করেন। পোশাকটি ছবি পোস্ট করার পর অনেকগুলো প্রি-অর্ডার পেয়ে গেলেন। তখন নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল, সবগুলো অর্ডারই সময়মতো নিজেরাই ডেলিভারি করলেন। যেহেতু পেজ থেকে সাড়া ভালোই পেলেন, তাই চিন্তা করলেন একটা শোরুম দেওয়ার। ২০২১ সালে দিয়েও ফেললেন। সেখানে নিজের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাইরের পোশাকও বিক্রি করা শুরু করলেন।

এই ক্ষেত্রে প্রথম যেটা হয়েছে সেটা হলো কাপড় সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিল না। শোরুম দেওয়ার পর মার্কেটে মার্কেটে ঘুরেছেন, কোথায় ভালো শাড়ি পাওয়া যায়, কোথায় থ্রি-পিস পাওয়া যায়, সেখানে গিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করেছেন। যত দিন গিয়েছে ততই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এসএমই থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স করে সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এটা তার জীবনের একটা বড় প্রাপ্তি। এ ছাড়া ব্লক বাটিকের ওপরে অনেকগুলো কোর্স করেছেন। বিভিন্ন রকমের মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেকের ভালোবাসা পেয়েছেন। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে অনেক সমস্যায় সম্মুখীন হয়েছেন। পেজের লাইভ করার সময় অনেক নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে শোরুম দিয়েছেন সেখান থেকে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল। কিন্তু তার স্বামী এবং তার শাশুড়ি অনেক সাপোর্ট কারণে তাকে পারিবারিকভাবে তেমন কোনো বাধা পেরোতে হয়নি। বরং অনেক বেশি সাপোর্ট পেয়েছেন।

নীলু যেহেতু দেশীয় প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন। তিনি চান ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ভালো মানের পোশাক দিতে। তাই তার মূল ফোকাস হচ্ছে দেশীয় পোশাক নিয়ে কাজ করা। দেশের পণ্যকেই তুলে ধরা। দেশের গণ্ডি পেরোনোর ইচ্ছা কার না থাকে, তারও ইচ্ছা আছে। কিন্তু তার আগে দেশের ভেতরেই নিজের একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চান। তিনি চান তার পোশাক দেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে যাক। সবার মুখে মুখে সেলাই ঘরের নাম থাকুক। এরপর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। এখনই দেশের অনেক জেলায় তার অনেক ক্রেতা আছে। সেসব ক্রেতাও ইনবক্সে খোঁজখবর নেন। নীলু বলেন, নারীরা কেন বসে থাকবেন। সংসার চালানোর পাশাপাশি যেকোনো কিছু করতে পারেন। সে শিক্ষিত, অশিক্ষিত যেকোনো নারীই হতে পারে। যে বিষয় তিনি দক্ষ সেটা নিয়েই কিছু করতে পারেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে অনেকে শিক্ষার সুযোগ পায় না।

তারাও যেন পিছিয়ে না থাকে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে পারি। এখন নারীরা অনেক আগ্রহী তাই অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নারীরা যে যা পারেন তাই নিয়ে কাজ করেন। সেটা ক্রাফটের কাজ হোক, কিংবা গয়না তৈরি। নারীকে সৃজনশীল কাজ করতে হবে। নিজে স্বাধীনভাবে থাকতে চাইলে, নিজের যে গুণ আছে সেটা কাজে লাগাতে হবে। তারা কাজ করে আয় করে স্বনির্ভর হতে পারে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। সরকারের কাছে নীলুর চাওয়া হলো স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। সরকার যদি আমাদের স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন থাকলে নারীরা আরও এগিয়ে যাবে।

কলি  

সামলে চলুন সংসারের খরচ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
সামলে চলুন সংসারের খরচ
মডেল: উল্কা, সৌম্য। ছবি: শরিফ মাহমুদ

প্রমা ও সৌরভের টোনাটুনির সংসার, মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খাওয়া, কোথাও দুজন ঘুরতে চলে যাওয়া, অনলাইনে নতুন কোন পোশাক দেখলেই কিনে ফেলা, এভাবে চলে তাদের সংসার। তবে সৌরভের বেতন ভালো থাকলেও মাস শেষে হাতে একেবারের জমা কোন টাকা থাকে না। কোথাও কিভাবে খরচ হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না। এখন দুইজন আছে, কিন্তু  সঞ্চয় করতে না পারলে তো সমস্যায় পরবে। এটা নিয়ে প্রমা বেশ চিন্তিত। বর্তমানে এখন অনেকের অবস্থাই প্রমা আর সৌরভের মতো। দৈনন্দিন জীবনে চাহিদার সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে, তাই  যথেষ্ট আয় থাকা স্বত্বেও খরচ মিটিয়ে সংসার চালানো এখন বেশ কঠিন। খাবার, স্বাস্থ্য,শিক্ষা, জামাকাপড়,যাতায়াত, বাসাভাড়া, বিনোদন  সংসারের খরচে বেতনের মোটা  একটা  অংশ  চলে যাচ্ছে। তবে একটু চেষ্টা করলেই প্রতি মাসের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। সংসারের খরচ কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি

প্রত্যেক মাসে বাজেট করুন
মাসের শুরুতেই বাজেট তৈরি করুন। সেই বাজেট থেকে  চাইলে কাটছাঁট করুন। অন্যান্য খরচের জন্যেও আলাদা টাকা বরাদ্দ করুন। যা বাজেট করেছেন চেষ্টা করুন সেই টাকার মধ্যেই খরচ করার। তার পরেও কিছু কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা টাকা বাঁচবে।চাইলে প্রতি সপ্তাহে খরচের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করুন এবং শুধু সেই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করুন। এছাড়া প্রতি মাসে ভ্রমণের জন্যে, বিনোদনের জন্য আলাদা টাকা রাখতে পারেন।

যাতায়াত খরচ বাঁচান
অফিসে যাওয়ার সময় হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। তাই চেষ্টা করবেন  কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার। এতে  রিকশা ভাড়া বাঁচবে এবং  সকালের হাঁটা হয়ে যাবে।  আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন।  এছাড়া যেখানে হেটে যাওয়ার রাস্তা সেখানে হেঁটে যান।  সিএনজি কিংবা পাঠাও এড়িয়ে চলে বাসে যাতায়াত করুন। এতে করে প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।

কার্ডে নয়, নগদ লেনদেন
ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে কেনাকাটা করা বাদ দিন। কার্ডে লেনদেন করলে আপনি নিজেও জানতে পারবেন না কত টাকা খরচ করে ফেলছেন। কেনাকাটার সময় বেশি মনে না হলেও মাস শেষে দেখা যায় বড় অংকের টাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে খরচ করে ফেলেছেন। তাই কার্ড নয় নগদ লেনদের করুন। তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। যা আপনাকে খরচের ব্যাপারে সাবধানী করবে। এছাড়া অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা  করবেন না। কারণ সেখানে সুদের হার অনেক বেশি থাকে।

খরচের হিসেব রাখুন
দিনশেষে খরচের হিসেব রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়া-দাওয়া, বাড়িভাড়া, বিদ্যুতের বিলের মতো কিছু খরচ নির্দিষ্ট থাকে। এগুলোর হিসাব ও নির্দিষ্ট। তবে প্রতিদিন কোথায় কত খরচ হল তার হিসেব একটা খাতায় লিখে রাখুন। মাস শেষে এটা নিয়ে বসুন। দেখুন কোন কোন খাতে খরচ বেশি হয়েছে এবং সেগুলো চেষ্টা করলেই কমানো সম্ভব কিনা। এছাড়া ব্যাংকের স্টেটমেন্ট খেয়াল করে দেখুন, সবচেয়ে বেশি কোন খাতে আপনি টাকা খরচ করছেন। সেখানে দাগ দিয়ে রাখু্ন। পরের মাসে সেই খাতে চেষ্টা করবেন খরচ কমিয়ে  আনতে। আর কোনটা বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটা না হলেও চলবে সেগুলোর দিকেও খেয়াল রাখুন।

ব্র্যান্ডের পণ্য এড়িয়ে চলুন
অনেক সময় বিভিন্ন পণ্যে ব্রান্ড থেকে কিনে থাকি। কিন্তু ব্রান্ডের পণ্য আর সাধারণ পণ্যে খুব বেশি পার্থক্য  থাকে না । এছাড়া সুপারশপে কিছু পণ্যে আপনি লোকাল মার্কেটে পাওয়া যায়, পাইকারি ধরে সেই পণ্যের দাম সুপারশপের চেয়ে ও কম পড়ে। তাই  চেষ্টা করুন খরচ কমিয়ে কেনাকাটা করতে। ব্রান্ডের কিনতে চাইলে মূল্য ছাড়ের সময় কেনাকাটা করতে পারেন। এছাড়া কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী সময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন।

বাসায় খাওয়া-দাওয়া করুন
অনেক সময় বাইরের খাবার খাই। দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। প্রতিমাসে এর জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। কোনো বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বাসায় রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে খরচ সাশ্রয় হবে আবার পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্কটাও মজবুত হবে।

হুট করে কোন জিনিস কেনা থেকে দূরে থাকুন
অনেকেরই অভ্যাস হল রাস্তায় যেতে যেতে কোন দোকানে কিছু পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলা। এটা করার ফলে বেশীরভাগ সময়েই আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘর বোঝাই করে ফেলি। অনলাইনের যুগে অনলাইন শপিংয়ের পেছনে অনেক টাকা খরচ করে ফেলি। সারা মাস খেয়াল রাখুন, কোথায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। অযথা কোনও শখের জিনিস কিনে খরচ করবেন না। জিনিস পছন্দ হয়ে গেলেই হুট করে কিনে না ফেলে একটু ভেবে তারপর কিনবেন। প্রয়োজন হলে একটু সময় নিয়ে দুইদিন পরে কিনুন।

মাসের বাজার একসঙ্গে  করুন
মাসের মাছ ও মাংসের বাজার একসঙ্গে করুন। এ ছাড়া মসলাও পাইকারি দোকান থেকে একসঙ্গে কেনার চেষ্টা করুন। তাতে যেমন ফ্রেশ পাবেন, দামেও কম হবে। এছাড়া দিনশেষে বাজার করার চেষ্টা করুন। কারণ এ সময় সব পণ্যের কিছুটা কমে যায়। বাজার বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে কিনলে কম দামে কিনতে পারবেন। তাই অফিস শেষে বাজার করতে পারেন।

দাওয়াতের দিন রান্না এড়িয়ে চলুন
যেদিন কোথায় দাওয়াত  থাকবে সেদিন বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা কম করুন। এতে অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। আর উপহাট কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে কিনবেন না। চেষ্টা করুন বাজেটের মধ্যে  উপহার কিনতে।

 কলি

উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশনের "লিগাসি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪" প্রদান

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশনের

রাজধানীর ঢাকা ক্লাব লিমিটেডে উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আগামীতে নেতৃত্ব দিবেন এমন তরুণ উদ্যোক্তা সদস্যকে প্রথম বারের মতো "লিগাসি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪" প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রথম এই এসোসিয়েশন উই এর ফাউন্ডার মেম্বার এবং সাধারণ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে থেকে মেধা, দক্ষতা , প্রতিভা ও উদ্যোগ যাছাই–বাছাই এর মাধ্যমে প্রথম বারের মতো ১০টা ক্যাটাগরিতে ১০ জন সদস্যকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

উইমেন এন্টারপ্রেনার্স বিজনেস "ফুড এন্ড বেভারেজ" ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান সুমি'স কিচেন এর স্বত্বাধিকারী আফরোজা নাজনীন সুমি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অন্য যারা এই লিগাসি অ্যাওয়ার্ড  ২০২৪ পেয়েছেন তারা হলেন ফাইজা রহমান, বেনোজীর আইনুন, ফারজিন খান, ফেরদৌস জাহান, ফারহানা মুন্না, নিশাত খান, রিজওয়ানা শেখ, সিরাজুম মাসুদ, জোয়ানা খান।

পুরস্কার প্রদান করেন বিশ্ব বরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার এবং জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল মডেল বিবি রাসেল। আরও উপস্থিত ছিলেন মাইডাসের চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, ড: রুবিনা হুসেইন, উই এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুলতানা সনিসহ আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। 

পুরস্কারপ্রাপ্ত সুমি বলেন, "যে কোন প্রাপ্তি কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তোলে।"তার উদ্যোক্তা মা লায়লা জালালের হাত ধরেই উই এর মেম্বার হওয়া। তাই এই লিগ্যাসি এওয়ার্ড  এর জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তার মা লায়লা জালাল এবং উই এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট প্রায়ত রোকেয়া আফজাল রহমানকে।

সুমি উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশন (WEA) এর জয়েন্ট সেক্রেটারি, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (e-Cab) উইমেন এন্টারপ্রেনার্স ফোরামের কো-চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনার্স (BFWE) এর বোর্ড মেম্বার এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স (BWCCI) এর সদস্য হিসেবে উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

 কলি