![ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃত মস্তিষ্কপ্রসূত: হোয়াইট হাউস](uploads/2024/02/12/1707703752.Trump.jpg)
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মন্তব্যকে বিকৃত মস্তিষ্কপ্রসূত আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেডস গতকাল রবিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হত্যাকারী শাসকগোষ্ঠীকে আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের আক্রমণ করতে উৎসাহিত করা ভয়ংকর এবং বিকৃত মস্তিষ্কপ্রসূত। এমন কিছু যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতিকে বিপন্ন করতে পারে।’
এ ছাড়া বেডস আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে শনিবার সাউথ ক্যারোলিনায় এক রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দাবি করেন, সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘আমরা যদি অর্থ প্রদান না করি এবং রাশিয়ার দ্বারা আক্রমণের শিকার হই, আপনি কী আমাদের রক্ষা করবেন?’
বক্তব্যে তিনি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘না আমি আপনাদের রক্ষা করব না। বরং আমি তাদের (রাশিয়াকে) যা খুশি তা করতে উৎসাহিত করব। (যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইলে) আপনাদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।’
২০১৬ সালে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে নিরাপত্তার জন্য আরও বেশি অর্থ ব্যয়ের আহ্বান জানান ট্রাম্প। এমনকি সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ব্যয়ভার বহন করতে বলেছিলেন। সে সময় সৌদিকে বড় অস্ত্র চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেও কার্যত বাধ্য করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তার বিষয়েও ট্রাম্প বলেছেন, তাদের লোন হিসেবে অর্থ দেওয়া যেতে পারে। অনুদান হিসেবে শত বিলিয়ন ডলার দেওয়া যৌক্তিক নয়।
বর্তমানে ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা পেতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে আইওয়া ককাস ও নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে জয় পেয়েছেন তিনি। তার একমাত্র দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টিকে রয়েছেন নিকি হ্যালি। সূত্র: আল-জাজিরা