![সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানি আজ](uploads/2024/02/25/1708833063.High-Court.jpg)
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ির মালিকানা নিয়ে রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আদেশ দিতে পারেন হাইকোর্ট। বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চের দিনের কার্যতালিকায় রয়েছে।
এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য দিনে মালিকানার ক্রমধারা (চেইন অব টাইটেল) ও বাড়ির মানচিত্রসহ যাবতীয় নথিপত্র হাইকোর্টে জমা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই দিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি (আজ) ধার্য করেন আদালত।
তার আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এফআইআর হাইকোর্টে জমা করা হয়। তবে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়িটির যাবতীয় নথিপত্র জমা দিতে বলেন।
এরপর গত ১৬ জানুয়ারি মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িসংক্রান্ত মূল নথি ও এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরের দিন ১৭ জানুয়ারি দুদককে ওই বাড়ি নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গত বছর রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এতে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সম্পত্তি-সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত বিভাগ এবং সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনও আদালতে জমা করতে বলা হয়। অনুসন্ধান শেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সালাম মুর্শেদীকে বাদ দিয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার কাগজপত্র আদালতে জমা করে দুদক।