জাপানি মায়ের দেশ ছাড়ার ঘটনায় শুনানি ৯ মে । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

জাপানি মায়ের দেশ ছাড়ার ঘটনায় শুনানি ৯ মে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
জাপানি মায়ের দেশ ছাড়ার ঘটনায় শুনানি ৯ মে
ছবি : সংগৃহীত

বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকো বাংলাদেশ ছেড়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি হবে আগামী ৯ মে। জেসমিন মালিকার বাবা ইমরান শরীফের করা অভিযোগের শুনানি ধার্য ছিল সোমবার (২৯ এপ্রিল)। তবে জাপানি মায়ের পক্ষে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতির বেঞ্চ। শুনানিতে নাকানো এরিকোর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি।

সন্তানদের নিজ হেফাজতে পেতে নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফের পরস্পর বিরোধী মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালতকে না জানিয়ে বড় মেয়েকে নিয়ে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ছেড়ে জাপানে চলে যান নাকানো এরিকো।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা (বড়) ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। মেজো মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। তবে ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থায় ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে তিনি বাংলাদেশ ছাড়েন।

এদিকে আদেশ অমান্য করার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন সন্তানদের বাবা ইমরান শরীফ। ইমরান শরীফের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সেদিন বলেছিলেন, সন্তানদের দেশের বাইরে যেতে আদালতের স্থিতাবস্থা ছিল। তা সত্ত্বেও বড় সন্তানকে নিয়ে নাকানো এরিকো চলে গেছেন। এ কারণে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি।

সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল, জরিমানা

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল, জরিমানা
সেলিম প্রধান

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। একই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার দায়ে তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

শুনানিতে সেলিম প্রধানের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।

শুনানির শুরুতে সেলিম প্রধানের আবেদনটি নন-প্রসিকিউশনের (মামলা না চালানো) জন্য আদালতের কাছে আরজি জানান অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আলম। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ‘আপনাদের জরুরি কথা বিবেচনা করে আবেদনটি আপিল বিভাগের লিস্টে আনা হয়েছে। এখন বলছেন নন-প্রসিকিউশন করবেন। সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার।’ এরপর আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় সেলিম প্রধানের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবেদন খারিজ করে তার প্রার্থিতা স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান আসন্ন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে গত ২৩ এপ্রিল তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন সেলিম প্রধান। ২৮ এপ্রিল আপিল খারিজ করেন জেলা প্রশাসক। এ বিষয়ে রিট করলে গত ৩০ এপ্রিল তার প্রার্থিতার বৈধতা দিয়ে ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদন করেন সেলিম প্রধান।

সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আবারও নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এই নিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১০৮ বার পেছাল। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এই নির্দেশ দেন।

আদালতে দায়িত্বরত রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন। পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শুরুতে মামলার তদন্তে ছিল ওই থানা। তবে চার দিন পর এ মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি ডিবি। এ পর্যায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি র‌্যাব।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় রুনীর বন্ধু তানভীর রহমানসহ আসামি আটজন। মামলার অন্য সাত আসামি হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বলেন, গত ৭ মে আসলাম চৌধুরীর প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীনের সাড়ে চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের আয়কর নথি জব্দের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের ওই আবেদন নিয়ে আজ বুধবার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। 

১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় গত ৫ মে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই মামলায় আসলাম চৌধুরীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আদালত। 

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। এর মধ্যে নাজনীনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকায়। মামলাটি এখন তদন্তাধীন। 

২০১৬ সালের ১৫ মে গ্রেপ্তার হন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতা-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা আছে।

ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

কনডেম সেলে রাখা নিয়ে রায় স্থগিত

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
কনডেম সেলে রাখা নিয়ে রায় স্থগিত
ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

বুধবার (১৫ মে) রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রায় স্থগিত ঘোষণা করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বক্তব্য উপস্থাপন করেন। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না এবং কেন জেল কোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বছর ৫ এপ্রিল রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রুলের শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ এবং জেল কোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক উল্লেখ করে গত সোমবার রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের সাধারণ সেলে আনতে দুই বছর সময় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ। 

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে দুই বছর আগে এ রিট করেন আইনজীবী শিশির মনির। অপর দুই বন্দি হলেন সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। রিটে মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মোবাইলফোন দোকানের সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৫ মে) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে ও মাসুদ রানা (২৬) বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া মেহেদী হাসান রকি (২৫) নামে অপর এক আসামিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিকসের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আমবাগানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বিক্রি করা স্মার্টফোনের পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এরপর মোবাইল ফোনগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

তিনি আরও জানান, ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/সালমান/