জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করতে কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে থাকছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব ও অর্থসচিব। কমিটিকে আগামী ৪ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক রায়ে কমিটি গঠনসহ সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা দেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ২০২২ সালে রিটটি করেন। প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছর ৭ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেয়। এরপরও বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়। এতদিনেও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়ায় রিট করা হয়।