দেশের সর্বত্র গাছ লাগানো ও কাটার ক্ষেত্রে কেন পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। জবাব দিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
অত্যধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনস্বার্থে এই রিট করেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
রিটে উল্লেখ করা হয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে। সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যার কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সারা দেশে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে, যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।