![কিশোর গ্যাং নিয়ে প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ](uploads/2024/05/21/Obaidul_Hasan-1716298474.jpg)
দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, “সমাজে বেপরোয়া ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়ে খবর হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিশুকে শিশু বললেই হবে না। এরা অপরাধে জড়িয়েছে। অপরাধের ধরন পাল্টেছে। আগের সেই সামাজিক অবস্থা এখন নেই। তাই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন (ক্রাইম কন্ট্রোল ম্যাকানিজম ডেভেলপ) করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২১ মে) আলোচিত আশিকুর রহমান অপু হত্যা মামলার আপিলের শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে আসামিদের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর সূত্রাপুর থানার ৪/১ ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে সন্ত্রাসীরা অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিনের ছেলে ও আশিকুর রহমান খান অপুর ভাই আরিফুর রহমান খান সেতুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারতে মারতে স্থানীয় সিলভারডেল স্কুলের মাঠে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আশিকুর রহমান খান অপু ও আতিকুর রহমান খান বাপ্পী সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাতাড়ি গুলি করে। এরপর তিন ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তিন ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অপুকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুই ভাই বেঁচে গেলেও চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের বোন আতিয়া খান কেয়া বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে মাহবুব আলম ও বিপ্লব পলাতক। বাকিরা জেলহাজতে।
পরে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আশিকুর রহমান খান অপু হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।
শুনানি শেষে ২০১৮ সালের মে মাসে আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস এবং অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হলেন মঞ্জুরুল আবেদীন রাসেল ও নওশাদ হোসেন মোল্লা রবিন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা। একই সঙ্গে খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।