ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

বিএইচআরএফ’র সভাপতি রাব্বি, সম্পাদক সোহেল

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম
বিএইচআরএফ’র সভাপতি রাব্বি, সম্পাদক সোহেল
ছবি : সংগৃহীত

স্বাস্থ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) ১৫ সদস্যের নতুন কার্যনিবার্হী কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি হোটেলে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোটার্স ফেরামের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক খবরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক তৌফিক মারুফ।  

এতে দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ রাব্বিকে পুনরায় সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেলকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়। 

কমিটির অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি নয়া দিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার হামিমুল কবির, ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার সেবিকা দেবনাথ, যুগ্ম সম্পাদক বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার বরুন কুমার দাশ, অর্থ সম্পাদক ভোরের ডাকের সিনিয়র রিপোর্টার মো. বায়েজদী মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদ কমল, দপ্তর সম্পাদক ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মিসবাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক ভোরের আকাশের স্টাফ রিপোর্টার আরিফ সাওন। 

এছাড়া কার্য নির্বাহী সদস্যরা হলেন- সদস্য চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি জান্নাতুল বাকেয়া কেকা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার দিনার সুলতানা, দীপ্ত টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাবণী গুহ, আজকের পত্রিকার সিটি এডিটর আয়নাল হোসেন, নাগরিক টিভির স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন ও ডেইলি সানের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ আল আমিন।

এর আগে পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও অর্থ সম্পাদক মো. বায়েজদী মুন্সী বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বির। 

সভার বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করেন, সংগঠনের সদস্য ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দেশ রূপান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি প্রতিক ইজাজ, ভোরের আকাশের বিশেষ প্রতিনিধি নিখিল মানকিনসহ অন্যরা। খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১১:১২ পিএম
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন
ছবি : সংগৃহীত

নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য, নির্যাতন ও অত্যাচার দূরীকরণে যুথবদ্ধ হয়ে নারী সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবিবার (২ জুন) ‘নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার’ শীর্ষক বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রাজধানীর রমনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এবারের সম্মেলনে সারাদেশ আসা কেন্দ্রের শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

স্পিকার বলেন, গত কোভিডের সময় নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন। বিশেষ করে চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন নারী সাংবাদিকরা। ওই সময়কার দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নারী সাংবাদিকদের জন্য জীবনবীমা ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারা দেশের নারী সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে গ্রহণ করে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনারা দেশ ও জাতির কল্যাণে যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছেন এটা নারী হিসেবে আমাদের অনেক গর্বের ও সম্মানের। আমি আশা করছি নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আগামীতে আরও সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।  

জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, নারী সাংবাদিকরা দেশের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখালেখি করেন। কিন্তু নিজেদের যত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে রয়েছে সেগুলো নিয়ে লেখা ও বলার সুযোগ তাদের হয় না।  যেকোনো সমস্যা সাংগঠনিকভাবে একত্রিত হয়ে যথার্থ কর্তৃপক্ষকে জানালে সে সমস্যার সমাধান সহজ হয়।

তিনি আরও বলেন, শুধু সাংবাদিকতা নয় সব পেশাতেই নারীকে নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেশাগত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানেও নারীর দক্ষতা জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। শোক প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক। 

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। তখন থেকেই সদস্যরা দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ  নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় চারশত। যাদের মধ্যে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। নারী সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ কর্মক্ষেত্র সুরক্ষা বৈষম্য দূর করার জন্য কেন্দ্র প্রায় ২৪ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। নারী সাংবাদিক কেন্দ্র স্বল্পপরিসরে নারী সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছে।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র একটি স্বচ্ছ ও সৎ সংগঠন। সদস্যদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে সংগঠনটি দীর্ঘ ২৪ বছর নানা রকমের বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েও সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। গুণগত মান বজায় রেখে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নীতি নির্ধারণী পদগুলোতে নারীর সংখ্যা খুবই কম। সাংবাদিকতাকে এখনও নারীর পেশা মনে করা হয় না। যোগ্যাতার ভিত্তিতে নারীদের কর্মস্থলে পদোন্নতির দাবি জানান তিনি।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কেন্দ্র নাসিমুন আর হক আরা হক মিনুকে সভাপতি ও শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা (বাসস) কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভীন সুলতানা ঝুমা, সহ-সভাপতি মুনিমা সুলতানা (ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সহ- সম্পাদক নাজনীন নাহার (টেকওয়ালর্ড বাংলাদেশ), লতিফা আনসারী রুনা (দীপ্ত টিভি), মাশরেখা মনা (বিটিভি), কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক (সিনিয়র সাংবাদিক), সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন এলিস (দৈনিক খবরের কাগজ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিলরুবা খানম (ইত্তেফাক), দপ্তর সম্পাদক আহমেদ মুশফিক নাজনীন (একুশে টিভি), প্রশিক্ষণ সম্পাদক নাসরিন শওকত (ফ্রিল্যান্সার)। 

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- ডেইজি মউদুদ ( দৈনিক বাংলা), অদিতি রহমান ( সিনিয়র সাংবাদিক), বিলকিস সুমি (জিটিভি), ইয়াসমিন রিমা (ডেইলি সান), লাইলী ইয়াসমিন (বৈশাখী টিভি), জাহিদা পারভেজ ছন্দা (সংবাদ) ও রুপম আক্তার (টাইম ওয়াচ)।

এলিস/এমএ/

সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আলটিমেটাম
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর কেমিক্যাল হামলাকারী দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে ক্র্যাব।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) চত্বরে ক্র্যাব আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ওই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি কাজ শুরু করেছে।

মানববন্ধনে ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুন। না হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্য সাংবাদিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। থানা পুলিশ এবং তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা শুরু থেকেই রহস্যজনক। এখন যেহেতু মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবিকে ৭ দিন সময় দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে বা তদন্তে অগ্রগতি না হলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। বাদীর অনেক সন্দেহ থাকতে পারে। তবে পুলিশের কাজ, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা।’

মানববন্ধনে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, আসাদুজ্জামান বিকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফ রানা ও আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ঢাকায় অফিস শেষে ফেরার পথে গত ১৯ এপ্রিল রাতে সাভারের দক্ষিণ কলমায় সাংবাদিক ফরিদের বাসার কাছে দুর্বৃত্তরা সাভারের দুই জনপ্রতিনিধির নাম বলে এক মাসের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে সপরিবারে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মাথায়, মুখে ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছুড়ে দেন। মানববন্ধনে ক্র্যাব যুগ্ম সম্পাদক দিপন দেওয়ান, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে’

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
‘মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে’
ছবি : খবরের কাগজ

বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে দেশের গণমাধ্যম। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এ দিবসে বিশ্বব্যাপী চলমান পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সংবাদমাধ্যমগুলোর আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন সাংবাদিকরা।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রাজধানীতে আলোচনা সভার আয়োজন করে গণমাধ্যম ও যোগাযোগ উন্নয়নবিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ুপ্রবণতা, সেগুলোর কারণ ও প্রভাব নিয়ে পদ্ধতিগত উপায়ে বিশ্লেষণধর্মী এবং অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার মাধ্যমে তারা পরিবেশের ক্ষতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপূর্ণ চর্চা থাকলে পরিবেশ ও জলবায়ুগত অনেক বিষয়ে সাংবাদিকরা আরও ভূমিকা রাখতে পারবেন।’

তারা বলেন, ‘পরিবেশের বিষয়গুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের অভাব, পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের চাপ বা হুমকি, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় এ ধরনের সাংবাদিকতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার এমন বিশেষায়িত বিষয়বস্তুর ওপর সাংবাদিকদের প্রস্তুতির ঘাটতিও এ ধরনের রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মিঠু, জাহিদ নেওয়াজ খান, শাহনাজ বেগম, কাওসার সোহেলি, বোরহানুল হক সম্রাট, সালমা ইয়াসমিন, শাহনাজ শারমীন, শাহনাজ পারভীন এলিস, তানিয়া রহমান, কামরুন্নাহার, আতিকা রহমান প্রমুখ।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আইয়ের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান।

এরপর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিপাদ্যের বিভিন্ন দিক এবং ২০২২ সালে সমষ্টি আয়োজিত প্রেস ফ্রিডম ক্যাম্পে প্রণীত ঢাকা ঘোষণার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন সমষ্টির গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক রেজাউল হক।

ঢাকা ঘোষণায় স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আরও সুরক্ষিত করা ও সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন আইন, নীতি, বিধিবিধান ও অন্যান্য উপাদান বিলুপ্ত করতে এবং গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আইনপ্রণেতা ও নীতিনির্ধারণী পক্ষ, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন অংশীজনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়।

এলিস/পপি/

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৬ এএম
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
ছবি : সংগৃহীত

আজ ৩ মে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রতিবছর ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এই দিনে বিশেষ করে, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মুক্ত গণমাধ্যম কোনো বিকল্প নয়, বরং প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে জবাবদিহির মতোই গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। জবাবদিহি না থাকলে যেমন কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তেমনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে আমাদের অন্যান্য স্বাধীনতাও থাকে না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে দেশের সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। গত ১৫ বছরে পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অন্তত ৭৫০টি ছোট-বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু যে পরিবেশবিষয়ক সাংবাদকিরা ঝুঁকিতে রয়েছেন- এমন নয়। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকরা যুদ্ধ ও গণতন্ত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ ঝুঁকিতে ফেলছেন। গাজায় যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন উল্লেকযোগ্যসংখ্যক সংবাদকর্মী।

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মুক্তাদির, সম্পাদক জাওহার

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মুক্তাদির, সম্পাদক জাওহার
ছবি : সংগৃহীত

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এর আগে সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা।

সভাপতি পদে ৩৫৯ ভোট পেয়ে মুক্তাদির অনিক বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম শহীদুল হক ২৩২ ভোট ও আবুল কালাম আজাদ পান ২২৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান ৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবীর আলমগীর পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহীদ রানা ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক অপু পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে আলী ইমাম সুমন ৪৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাবিন রহমান পেয়েছেন ৩৫৪ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনির আহমাদ জারিফ ৫০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল রাণা পেয়েছেন ২৮২ ভোট।

এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে নাজিম উদ-দৌলা সাদি ৪২১ ভোট ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ৩৫৭ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে জাফরুল আলম ৪৯৮ ভোট ও মো. মামুনুর রশীদ পেয়েছেন ২৫৭ ভোট।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমেদ ৪৬১ ভোট ও হাসান আহমেদ পেয়েছেন ২৮০ ভোট। প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে তারেক হোসেন বাপ্পি ৪০২ ভোট ও আবু জাফর সাইফুদ্দিন পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান ৪০৯ ভোট ও মলয় বিকাশ দেবনাথ পেয়েছেন ৩৩২ ভোট। কল্যাণ সম্পাদক পদে সাফায়েত হোসেন ৪০৩ ভোট ও মীম ওয়ালী উল্লাহ ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারহানা নাজনীন (ফ্লোরা) ৩৯৯ ভোট ও হালিমা খাতুন পেয়েছেন ৩৭৩ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে শামসুল আলম সেতু ৪৩৮ ভোট, আনজুমান আরা শিল্পী ৪৩৩ ভোট, আনজুমান আরা মুন ৩৯০ ভোট, জেসমিন জাহান ৩৮৫ ভোট, তানজিমুল নয়ন ৩৩২ ভোট, মাশরেকা জাহান ৩০৫ ভোট ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ২৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

খাজা/সালমান/