গাড়িতে ডিএমপির লোগো লাগিয়ে ঘুরছে সন্ত্রাসীরা: ডিএমপি কমিশনার । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

গাড়িতে ডিএমপির লোগো লাগিয়ে ঘুরছে সন্ত্রাসীরা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ এএম
গাড়িতে ডিএমপির লোগো লাগিয়ে ঘুরছে সন্ত্রাসীরা: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘গাড়িতে ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। এ জন্য রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের অবশ্যই যাচাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ কিংবা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে রাস্তায় চলাচল করা গাড়িগুলো আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কী না, তা যাচাই করতে হবে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ বিষয়টি নজর রাখবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে সেগুলো প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।’

হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কোনো কাজ যেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় না হয় সেদিকেও সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।

কমিশনার বলেন, ‘অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।’

এর আগে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার। অনুষ্ঠানে সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহার সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাজা/এমএ/

শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ: আইনমন্ত্রী
ছবি : বাসস

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আইএলও’র ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে টানা তিনদিনের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা তিনদিন ধরে আইএলও প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছি। তাদের প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটা শুধু স্টেক হোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আলোচনায় আমাদের উভয় পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে। আইএলও বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু সাজেশন দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। আইএলও’র কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন, পড়েছেন, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আইএলও-কে যে সহযোগিতা করার কথা, সেটা সরকার করে যাচ্ছে । সেজন্যই মূলত তিনদিন ধরে শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে 'এক্সারসাইজ' করা হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ইস্যুতে তারা সংশোধনের কথা বলেছেন। যেসব ইস্যু গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সেজন্যে এখনই এসব ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে না। 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু বিষয় এসেছিল, যেগুলোর ক্ষেত্রে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া কিছু কিছু বিষয় এসেছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ওইসব বিষয় আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা যে থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটা আমরা ক্রমে ক্রমে নামাবো। কমিটমেন্ট অনুযায়ী আমরা গ্রাজুয়েলি নামাচ্ছি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলও’র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অংশ নেন।

মতলু মল্লিক/এমএ/

স্কুল ও মার্কেটের সামনে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না : ডিএমপি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
স্কুল ও মার্কেটের সামনে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না : ডিএমপি
ছবি : খবরের কাগজ

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘রাজধানীর স্কুল ও মার্কেটের সামনে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে অবৈধভাবে যেসব গাড়ি পার্কিং করা থাকে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

রাস্তা পারাপারে সবাইকে আইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ 

ঢাকার সড়কে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের বেঁধে দেওয়া গতিসীমার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।’

গতিসীমা ভঙ্গ করলে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সে ক্ষেত্রে আটকানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায়, সেগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলত। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।’

মহাখালী বাসমালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে, তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্কিং করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয় তখন থেকেই রাস্তায় পার্কিং করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসছে। এতদিন পরে কাজটি শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান।

প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।

অনুষ্ঠান শেষে আন্তজেলা বাসে নতুনভাবে চালু হওয়া গেটলক সিস্টেম ও মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ডিএমপি কমিশনার।

পাটমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জন ফায়দা লোটার সুযোগ নেই

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জন ফায়দা লোটার সুযোগ নেই
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জন ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের কাছে তাদের অগ্রাধিকার সবসময়ই থাকবে। ভারতে যদি কোনো পণ্যের দাম কম হয়, মানুষ সেটা কিনবেই, এটা স্বাভাবিক। ভারত থেকে আনার পর যদি আমাদের দেশে সবজির দাম কম হয়, মানুষতো সেটাই কিনবে। ব্যবসায়িক সম্পর্কের সঙ্গে রাজনীতি চলে না। এ ধরনের প্রচারণায় বিএনপি সফল হবে না।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এসেছেন। তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু এসেছেন ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনায় সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক বরাবরই ভালো বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।

এসময় মন্ত্রী পাটপণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক তুলে নিতে ভারতের প্রতি অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ড রেশম পণ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে পারে।

বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে যাতে বাংলাদেশিরা ভিসা পান, আলোচনা হয়েছে তা নিয়েও। 

অন অ্যারাইভাল ভিসার ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা উল্লেখ করে নানক বলেন, সৌদি আরব ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে। সেক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ দীর্ঘ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভারতের নির্বাচনের পর এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তিনটি পাটকলে বিনিয়োগ করতে ইতোমধ্যেই ভারত আগ্রহী বলেও জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসি-র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর পবন বাধে, প্রথম সচিব প্রতিক নেগি উপস্থিত ছিলেন।

রাজু/এমএ/

রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন, ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ৭ জুন

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন, ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ৭ জুন

‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে আগামী ৭ জুন ভোর ৫টায় রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪’ হাফ ম্যারাথন। 

এ উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশনসহ সব আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে তৈরি করা ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ মে নির্ধারণ করা হয়েছে তারিখটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই তারিখটি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য বিখ্যাতভাবে স্মরণ করা হয়।’ 

তিনি বলেন, “৭ মার্চের ভাষণ নামে পরিচিত এই ভাষণটি বাঙালি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে এবং স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তাই ৭ মার্চ, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে যাত্রার সূচনার প্রতীক এবং বাঙালি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের অন্বেষণে তাদের সাহস, সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতার স্মারক হিসেবে কাজ করে।”

বনজ কুমার মজুমদার জানান, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এখনো একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অব রেফারেন্স। দিনগুলোর তাৎপর্য স্মরণে রাখতে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে একটি সুস্থ ও সক্রিয় লাইফস্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।

পিবিআইপ্রধান জানান, হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ৪টি কাটাগরিতে মোট ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেবে। প্রতিযোগীদের ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটির পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়াসহ অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাক জুড়ে দৌড়বিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একাধিক মেডিকেল টিম এবং হাইড্রেশন পয়েন্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব প্রতিবছর ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস, মিল ব্যারাক, গেন্ডারিয়া, ঢাকায় ৪০০ থেকে ৮০০ মিটর দৌড়সহ কয়েকটি ইভেন্টের আয়োজন করে, যার অংশগ্রহণকারী ছিল পুলিশ সদস্যরা। আমরা বৃহৎ পরিসরে সাইক্লিং অথবা ম্যারাথন আয়োজনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে একাধিক মিটিং করি এবং কমিটি গঠন করি। ম্যারাথন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এর বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছি। সবার সহযোগিতায় এ মেগা ইভেন্টে বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

‘জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪’-এর সভাপতি এবং সিটিটিসিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ প্রথমবারের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটিতে ৫ হাজার প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ হওয়ায় আয়োজকদের কার্যপরিধি বিশাল। সময় কম হলেও আমরা তা করছি।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ম্যারাথন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া পুরস্কার বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

খাজা/সালমান/

হজযাত্রীদের থেকে কোরবানির টাকা না নিতে সতর্কতা

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
হজযাত্রীদের থেকে কোরবানির টাকা না নিতে সতর্কতা
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

হজযাত্রীদের থেকে কোরবানির টাকা না নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ অ্যাজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ অ্যাজেন্সিগুলোকে সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়।

হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক অ্যাজেন্সি হজযাত্রীদের থেকে হজে যাওয়ার আগেই কোরবানির টাকা নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছামাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কূপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। অ্যাজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না।

এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

গত রবিবার (১২ মে) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্লাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাগুলো জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ অ্যাজেন্সির মালিকরা অংশ নেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ হতে হজ অ্যাজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। 

এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছেন, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া, হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।

মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সোমবার (১৩ মে) একটি পত্র জারি করেছে। এতে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ অ্যাজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু অ্যাজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমান বন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক অ্যাজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/