যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস

থাইল্যান্ড সফরে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে না বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মায়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা আমার সফরসঙ্গী ছিলেন।’

তিনি বলেন, “গত ২৪ এপ্রিল পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। গত ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানী অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এশীয়-প্রশান্ত মহাসারীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল উদ্ভাবনা জোরদার’ বিষয়ে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।”

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের একটি অধিবেশনে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ইউএন-এসক্যাপের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করি।’

তিনি বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন আঞ্চলিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের রানিং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কোস্টাল শিপিং দ্রুত চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা একমত পোষণ করি। এ ছাড়া, আঞ্চলিক সহযোগিতা সুদৃঢ়করণে ‘ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড’-এ বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করি।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ই বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমি ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একমত পোষণ করি যে, বিমসটেক এ অঞ্চলের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হতে পারে। আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বিমসটেকের বর্তমান সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন জানাই এবং তার নেতৃত্বে থাইল্যান্ড শিগগির বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সফলভাবে আয়োজন করবে মর্মে শুভকামনা জানাই।’

বাসস/সালমান/ 

ধোলাইখালে ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ধোলাইখালে ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহাজান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে।

খাজা/সালমান/

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

তিনি জানান, ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক রয়েছে। সেখানে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। 

খাজা/সালমান/

সমুদ্রে কর্মরত নারীদের সম্মান জানানোর দিন আজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
সমুদ্রে কর্মরত নারীদের সম্মান জানানোর দিন আজ
প্রতীকী ছবি

সমুদ্র এলাকায় কর্মরত নারীদের কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে প্রতিবছর মে মাসের ১৮ তারিখ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর উইমেন ইন মেরিটাইম’ পালন করা হয়। ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কর্তৃক প্রথম এই দিবসটি ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে প্রতিবছর ১৮ মে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়। এই বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর মনোনিবেশ করবে। সেই সঙ্গে এই শিল্পে লিঙ্গভেদে পরিবর্তনশীল মনোভাব তুলে ধরবে।

দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সেফ হরাইজনস: উইমেন শেপিং দ্য ফিউচার অব মেরিটাইম সেফটি’। এই প্রতিপাদ্যটির মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতিতে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। তা সে নাবিক, সামুদ্রিক পেশাজীবী বা যেকোনো নেতৃত্বের ভূমিকায় হোক না কেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) এ উপলক্ষে আইএমওর লন্ডনের হেডকোয়ার্টারে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মেরিটাইম পেশাজীবী, নাবিক ও মেরিটাইম নেতারা। তারা অনুষ্ঠানে একজন নারীর দৃষ্টি দিয়ে সমুদ্রে নিরাপত্তার পুনর্বিন্যাস নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজ বলেন, সবার কল্যাণের জন্য মেরিটাইমশিল্পে নারীশিক্ষা এবং পেশাগত উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন করা, নারীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনের দিকে ধাবিত করা এবং এ শিল্পে নারীদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে সর্বদা সচেষ্ট। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের তথ্যের ভিত্তিতে সামগ্রিক সামুদ্রিক কর্মশক্তির মাত্র ২৯ শতাংশ নারী। যেখানে নারী নাবিকদের বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার অনুপাত ২ শতাংশেরও কম। 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো আইএমও জেন্ডার ইকুয়ালিটি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটি উইমেন ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সাইপ্রাসের ডেসপিনা প্যানাইওতোউ থিওডোসিউর কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা জাহাজের নিরাপত্তা ও জাহাজের দ্বারা সামুদ্রিক এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের জন্য দায়ী। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে সমর্থন করে।

আবারও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা, মাসের শেষে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
আবারও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা, মাসের শেষে বাড়তে পারে তাপমাত্রা
ছবি : খবরের কাগজ

আগামী সোমবার (২০ মে) থেকে দেশের অধিকাংশ বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থা চলতে পারে তিন-চার দিন। ফলে বিদায় নেবে তাপপ্রবাহ। আর মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা শুরু হলে তিন থেকে চার দিন থাকতে পারে। মাসের শেষ দিকে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। লঘুচাপ তৈরি হলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে। 

গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আবহাওয়ার ৪৪ স্টেশনের মধ্যে তিন স্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ১০ মিলিমিটার। যে কারণে এখানকার তাপমাত্রাও কম। অন্যদিকে অধিকাংশ স্টেশনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাবনার ইশ্বরদীতে। তুলনামূলক তাপমাত্রা কম ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের স্টেশনগুলোতে। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 

বেশি বৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ থাকার আশঙ্কায় হিট অ্যালার্ট গতকাল সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের পূর্বাঞ্চল তথা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বজ্রবৃষ্টি শুরু হতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের পূর্বাংশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়; রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ বিদায় নিতে পারে।

প্রসঙ্গত, এপ্রিলের টানা তাপপ্রবাহের পর মে মাসের শুরুতে বজ্রবৃষ্টিতে বিদায় নেয় তাপপ্রবাহ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার তাপমাত্রা বেড়ে দেশের অধিকাংশ জেলায় বিরাজ করে তাপপ্রবাহ। তবে এবার তাপপ্রবাহ তীব্র হয়নি। মাঝারিতে সীমাবদ্ধ ছিল।

যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধদের ফেরত নেবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৪৫ এএম
যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধদের ফেরত নেবে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ প্রবাসীদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। লন্ডনে ব্রিটিশ হোম অফিসে স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়। 

শুক্রবার (১৭ মে) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠকে এসওপি সই হয়। অবৈধ অভিবাসনবিরোধী ব্রিটিশ মন্ত্রী জেমস টমলিনসন মাইনরস কেসি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জেডব্লিউজি বৈঠকের উদ্বোধন করেন। 

অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সহযোগিতায় লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্দিষ্টসংখ্যক অনথিভুক্ত বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। এর ফলে এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম।’ 

এসওপিতে স্বাক্ষর ছাড়াও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে দক্ষ ও উচ্চ মেধাবী জনবল নেওয়াসহ সুশৃঙ্খল অভিবাসনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, প্রত্যর্পণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করেছে।  

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবির মেনন ও যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের মহাপরিচালক বাস জাভিদ নেতৃত্ব দেন। 

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি এবং লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।