টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করা জরুরি : স্পিকার । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করা জরুরি : স্পিকার

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করা জরুরি : স্পিকার
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্য বিবাহ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস এবং যুব উন্নয়ন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জগুলোতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে প্রচলিত বাধাগুলো নিরসনে একত্রে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্লান প্রস্তুত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)-এর কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় বিএপিপিডি'র ৩টি সাব-কমিটির ৪র্থ যৌথ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি'র সভাপতিত্বে এবং সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে. এম. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এসপিসিপিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত-সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ।

কর্মশালায় 'প্রগ্রেস অ্যান্ড পারসিসটেন্স: দি রোল অফ পার্লামেন্টারিয়ানস ইন অ্যাচিভিং আইসিপিডি থ্রি জিরোস গোলস অফ বাংলাদেশ' বিষয়ে ইউএনএফপিএ'র পিপিআর প্রধান ড. মো. শহীদুল ইসলাম এবং 'ইন্ট্যারন্যাশনাল পার্লামেন্টারিয়ানস কনফারেন্স অন দি ইম্পলিমেন্টেশন অফ দি আইসিপিডি প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন' বিষয়ে সমাজ কল্যাণ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ এফ এম রুহুল হক এমপি আলোচনা করেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউএনএফপিএ'র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোখুস উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং এ পর্বে সংসদ সদস্যগণ মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইউএনএফপিএ, ইউএনডিপি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার জাতীয় সংসদের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, এসপিসিপিডি ও বিএপিপিডি'র বিভিন্ন কাজে সংসদ সদস্যগণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। প্রকল্পগুলোর পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে সম্পৃক্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, সাব কমিটিতে দ্বাদশ সংসদের নতুন সংসদ সদস্যগণ যুক্ত হবেন। তাদের পরামর্শ ও উদ্যোগের ফলে কমিটির কাজ সামনে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পীকার।

এ কর্মশালায় সংসদ সদস্য হিসেব জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, বেগম মেহের আফরোজ চুমকি, আক্তারুজ্জামান, নাহিম রাজ্জাক, নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, রনজিত চন্দ্র সরকার, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দা জাকিয়া নূর, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, আরমা দত্ত, কোহেলী কুদ্দুস, সানজিদা খানম, দ্রোপদী দেবী আগারওয়ালসহ সংসদ সদস্যগণ, ইউএনএফপিএ'র প্রতিনিধিবৃন্দ, এসপিসিপিডি প্রকল্পের ডিপিডি এ কে এম আব্দুর রহিম ভুইয়া, টেকনিক্যাল অফিসার খন্দকার জাকিউর রহমানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/এমএ/

যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধদের ফেরত নেবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৪৫ এএম
যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধদের ফেরত নেবে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ প্রবাসীদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। লন্ডনে ব্রিটিশ হোম অফিসে স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়। 

শুক্রবার (১৭ মে) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠকে এসওপি সই হয়। অবৈধ অভিবাসনবিরোধী ব্রিটিশ মন্ত্রী জেমস টমলিনসন মাইনরস কেসি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জেডব্লিউজি বৈঠকের উদ্বোধন করেন। 

অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সহযোগিতায় লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্দিষ্টসংখ্যক অনথিভুক্ত বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। এর ফলে এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম।’ 

এসওপিতে স্বাক্ষর ছাড়াও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে দক্ষ ও উচ্চ মেধাবী জনবল নেওয়াসহ সুশৃঙ্খল অভিবাসনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, প্রত্যর্পণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করেছে।  

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবির মেনন ও যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের মহাপরিচালক বাস জাভিদ নেতৃত্ব দেন। 

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি এবং লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

 

 

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাত হানবে বাংলাদেশে!

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৩৫ এএম
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাত হানবে বাংলাদেশে!
ছবি : সংগৃহীত

মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড়ের মাস। দেড় দশক আগে ২০০৯ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে আইলা। এরপর ২০১৯ সালে তাণ্ডব চালায় ফণী। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৩ মে আছড়ে পড়ে ঘূণিঝড় আম্ফান। আর ২০২১ সালের ২৬ মে ইয়াস আঘাত হানে। এবার এই মে মাসেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে ভারতের দিল্লির আবহাওয়া দপ্তর ‘মৌসম ভবন’। আর এ ঝড়ের নাম হবে ‘রেমাল’।

গত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক। তাই স্বাভাবিকভাবেই ফের ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে, এই খবর কানে আসার পর থেকেই অনেকের কপালে দেখা গিয়েছে চিন্তার ভাঁজ। সত্যিই কি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে? ফের চলবে তাণ্ডব? গত বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিরাট আপডেট দিল মৌসম ভবন।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর তো বটেই, আরব সাগরেও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কারণ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, তার মধ্যে বেশ অনেক শর্তই অনুকূল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য যেমন সাগরের পানির তলার তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হয়। কমপক্ষে ৫০ মিটার গভীরতা অবধি এই তাপমাত্রা থাকতে হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একেবারে এই ধরনের তাপমাত্রাই রয়েছে। সাগরের পানির তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে। এই গরম পানিকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চালিকাশক্তি’ বলে মনে করা হয়। আবহাওয়া দপ্তর জানায়, দফায় দফায় নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ মের পর থেকে তা গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। 

দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কার্যক্রম তৈরি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই, যা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো- সেটি কি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে? ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আছড়ে পড়বে?

মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ২৪ মের পরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, যা এগিয়ে যেতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে।

কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আপাতত কোনো লক্ষণ তৈরি হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে একেবারেই হলফ করে বলা যাবে না যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। আগে লক্ষণ তৈরি হোক বঙ্গোপসাগরে, তারপরই বোঝা যাবে যে আদৌও সেটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি না। 

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে কি পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে শেষ পর্যন্ত যদি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও উত্তরসংলগ্ন আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর এগিয়ে যায়, তাহলে সেটির সম্ভাব্য গন্তব্য হবে মায়ানমার এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ, যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে গত ১৪ মে মৌসম ভবন জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, যা মে মাসের শেষের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে যার অর্থ বালি। অবশ্য এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে। এবার ধেয়ে আসতে পারে সেই ‘রেমাল’। তবে কতটা ভয়াবহ হবে সেই ঝড়, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গণমাধ্যমে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় মূলত বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ও শেষ হয়ে যাওয়ার পরে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু হয় সাধারণত ৩০ মের পর থেকে ৭ জুনের মধ্যে। 

তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম মার্চ মাসে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড়-নিম্নচাপ কিংবা লঘুচাপও সৃষ্টি হয়নি। তাই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু ২০ মের পরে সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই এটি খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চারটি প্রধান উপাদানের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনটির উপস্থিতি রয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল বিশ্লেষণ করে এই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানান, ২০ থেকে ২৭ মের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

এদিকে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এটি আঘাত হানতে পারে- তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১১:২৫ পিএম
র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই কথা জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে- এমন দাবি কী সত্য?

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।’

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এলে তার সঙ্গে নৈশভোজের পর সালমান এফ রহমান মিডিয়াকে ব্রিফ করেন।

এতে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, এ বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছে, এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন, হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।’

এর আগে, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে র‌্যাবের পাশাপাশি সংস্থার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

নেটওয়ার্ক শেয়ারে রবি ও বাংলালিংক-এর যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
নেটওয়ার্ক শেয়ারে রবি ও বাংলালিংক-এর যৌথ উদ্যোগ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের অন্যতম দুই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক তাদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শেয়ার এর সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের মান ও গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশব্যাপী ফোর-জি’র প্রসার বাড়াতে এই যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে অপারেটর দু'টি।  

বিশ্বে টেলিযোগাযোগ শিল্পে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার জনপ্রিয় ও স্বীকৃত। এর মাধ্যমে সম্পদের সদ্ব্যবহার করে জ্বালানির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই টেকসই পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে পারে। এছাড়া, এর ফলে ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেলিযোগাযোগ সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করায় সেবার মান ও মূল্য সংযোজন পরিষেবায় (ভিএএস) বেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ ধরণের যৌথ উদ্যোগে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

রাজধানীর শুক্রবার (১৭ মে) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ‍ পলক এ ঘোষণা দেন। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অনুষ্ঠানে রবি ও বাংলালিংক সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষর করে।

গ্রাহকদের উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এই উদ্ভাবনী যৌথ উদ্যোগ নতুন মাইলফলক তৈরি করবে। এই চুক্তির মাধ্যম উভয় অপারেটরের গ্রাহকগণ বৈচিত্রময় ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ পাবে।

এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে রবি ও বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সময়োপযোগী ও গতিশীল উদ্যোগ দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা ও দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে নেটওয়ার্ক শেয়ার-এর প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সম্ভ্যব্যতা যাচাই করা। প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হল সকল গ্রাহকের জন্য শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিশ্চিত করা, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জিত হয়। এই ধরণের দূরদর্শী উদ্যোগের প্রতি সর্বদা সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।  

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্‌মেদ‍ পলক বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পকে অন্যতম চালিকাশক্তিতে রূপান্তর করতে আমরা কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ একটি অপরিহার্য সেবা, যা গ্রাহকদের ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হিসাবে কাজ করে। বাংলালিংক ও রবির মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগ নতুন উদ্ভাবনকে  উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারকেও উৎসাহ প্রদান করবে। রবি ও বাংলালিংকের এই যৌথ উদ্যোগ দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করবে বলে আমার বিশ্বাস। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিপিএএ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহ্‌জাহান মাহমুদ, বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংক-এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ রবি ও বাংলালিংক-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তিথি/এমএ/

অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত

আইন অমান্য করে নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন। 

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডিআইজি মনিরুজ্জামান পোশাক পরিধান করে ঝিনাইদহ-১ আসনের নির্বাচন উপলক্ষে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য একজন প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহকালে সঙ্গে ছিলেন, যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান উল্লিখিত কার্যক্রম সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি ১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ প্রদান করেছে। এ অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। 

গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত ২৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে দলীয় ফরম জমা দিতে গিয়েছিলেন ওই দিন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ মারা যান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আসনটি ওই দিনই শূন্য হয়। আগামী ৫ জুন আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এলিস/এমএ/