সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একটি প্রতিনিধিদল গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে এ প্রশংসা করেন।
শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসসের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৪৬ সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস। এ সময় প্রতিনিধিদলটি মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতাকালে সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আমি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
ড. আব্বাস বলেন, নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাসংকট এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য সব দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গাসংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরান মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তবে এটি সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত এবং উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান এবং এর সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন কাউন্সেলর ও দূতালয়প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।