কুয়াকাটার সিকদার রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য রাখছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব
দেশে এক কোটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব।
শনিবার (১৮ মে) সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার সিকদার রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে অ্যান্টি পার্টিসিপেটরি হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাকশনের দ্বিতীয় বিভাগীয় ডায়লগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহিববুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক, দেশি ও স্থানীয়সহ প্রায় ৪৫ সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সাল থেকে অ্যান্টি পার্টিসিপেটরি হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেকসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৭৮ লাখ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। আমরা আরও বাড়িয়ে এক কোটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকির শীর্ষে অবস্থান করছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিল্ডিং কোডসহ অন্য সব স্থাপনা নির্মাণে দুর্যোগ সহনশীল নীতি মেনে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) নেতৃত্বে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) ও জার্মান রেড ক্রসের কারিগরি সহযোগিতায় দ্বিতীয় সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কেলপেলি, FbF/A টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ।
এ সময় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, জেলা-উপজেলা পযার্য়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে একই রিসোর্টে আরেকটি কনফারেন্স কক্ষে আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসিবুর/পপি/