গাজীপুরের ছোট দেওড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ঘের ২৮ ঘণ্টা পরও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ। যদিও দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পর একটি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। আজ শনিবার (৪ মে) দুপুর ২টায় দেখা যায় দুইটি লাইন বন্ধ করেই উদ্ধারকাজ কাজ চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের উদ্ধারকর্মী রবিউল হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল থেকে সকল উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলো তেল ভর্তি থাকায় একটু দেরি হচ্ছে। আজ (শনিবার) দুপুর আড়াইটার পর থেকে দুই ঘন্টা উত্তর ও পশ্চিমের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।’
এদিকে গতকালের এই দুর্ঘটনায় রাজধানীর সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেলের শিডিউল ভেঙে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে প্রতিটি ট্রেন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয় হয়।
গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ থেকে আসা যাত্রী মাসুদা আক্তার বলেন, বিকেল ৫টা ১০মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে তিস্তা এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পথে বিভিন্ন স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখায় ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে রাত ৯টায় পৌঁছার কথা থাকলেও ছয় ঘণ্টা পর রাত আড়াইটায় পৌঁছেছে।
পলাশ প্রধান/জোবাইদা/অমিয়/