![নতুন রাজনৈতিক দল ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার পার্টি’](uploads/2024/03/02/1709371422.gonotantric-sonskar-party.jpg)
‘গণতান্ত্রিক সংস্কার পার্টি’ নামে দেশে আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তবে এই রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন নেই।
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দলের ঘোষণা দেন দলের সমন্বয়ক মেজর অব. আমিন আহমেদ আফসারী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক সংস্কার পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. সাহেদা ওবায়েদ, সদস্য কমান্ডার (অব.) সাব্বির, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, শিক্ষিকা নাদিয়া চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফাজুল হক, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এ সময় সাহেদা ওবায়েদ বলেন, ‘আজ থেকে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের যাত্রা শুরু হলো। বর্তমান পেক্ষাপটে আমাদের মনে হয়েছে, দেশে একটি রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছে। ফলে সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি সমাজে বৈষম্য বিরাজ করছে। দেশে অর্থনৈতিক ভারসাম্য না থাকলে আগামী দিনে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনের আগে থেকেই দলের কার্যক্রম শরু করেছি। কিন্তু নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক সংস্কার পার্টি আত্মপ্রকাশ করলে অনেকেই ‘কিংস পার্টি’, ‘হালুয়া-রুটি’র দল হিসেবে আমাদের অভিহিত করতো। হালুয়া-রুটির জন্য আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। বির্তকিত কাউকে আমরা দলে নেব না। আমাদের লক্ষ্য দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে দল গড়ে তুলব।’’
সাহেদা ওবায়েদ আরও বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বাইরে আমরা একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড়াবো। আজকে পরিবারতন্ত্র, দলীয়করণ ও সর্বোপরি ‘আওয়ামীকরণ’ করা হয়েছে। দেশের জনগণ একটা রাজনৈতিক ছকে বাঁধা পড়েছে। এই ধারা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই। আগামী ৫ বছর দেশ ও রাজনীতিতে অনেক কিছু পরিবর্তন হবে। আমরা মানুষের চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে চাই।’’
লিখি বক্তব্যে আমিন আহমেদ আফসারী বলেন, আগামী দিনে দেশে গণতন্ত্র সংস্কার এবং পূনঃগঠনে মূখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাই। ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক দল আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভুমিকা রাখবো। আগামী ৩০ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে দলের বাকি নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের সত্য ইতিহাস, সঠিক ইতিহাস সমুন্নত রাখা হবে। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে জাতীয় ভাবে যথাযথ সম্মানপ্রদর্শন, জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, জেলহত্যার চার জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জেনারেল এম এ জি ওসমানীসহ সকল সেক্টর কমান্ডার এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের উদ্দীপনামূলক বাক্য ‘ভব জবাড়যা ব্যাস’, সকলকে নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরার আহ্বানসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীরত্বগাঁথা ইতিহাসকে সমুন্নত রাখা, তা রক্ষা করা ও মর্যাদার সাথে সংরক্ষণ করতে গণতান্ত্রিক সংস্কার পার্টি ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।’
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘‘সাধারণত সবাই নির্বাচনের আগে দল গঠন করে, আমরা করছি একটি জাতীয় নির্বাচনের পর। আমরা দল গঠনের আগে গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের জন্য ‘দেশের মালিক’ জনগণকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। ব্যক্তি নেতৃত্বের পরিবর্তে, টিম লিডারশিপ বা একাধিক ব্যক্তির সমষ্টিগত নেতৃত্বের প্রলনে সচেষ্ট থাকব ও ১১ জনের একটি কমিটির ভোটাভুটিতে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রাধান্য দেওয়া হবে দলের মুল চালিকাশক্তি জেলা নেতৃত্বে। রেষারেষি, মারামারি, কাটাকাটি ও দোষারোপের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন দেশের স্বাধীন মুক্ত মেধার রাজনীতি প্রচলনে আমরা সচেষ্ট থাকব। শাসন নয় সেবা এই মূল মন্ত্রে দলের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরকে মোটিভেট করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। দল ও সরকারকে পৃথক সত্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দলকে জনগনের সম্পদে পরিণত করা হবে।’’
শফিকুল ইসলাম/অমিয়/