রাজপথের বিজয়, জনগণের বিজয় বোঝার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগ হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি। পাঁচ শতাংশ ভোটকে ৪১ শতাংশ দেখিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করা উচিত ছিল। একদিন এ পরিস্থিতি বদলাবে। আগামী দিনে মানুষ নিজেরা বাঁচার তাগিদে ভোট, ভাত ও গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে নামবে, সে লড়াই হবে চূড়ান্ত।’
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বিদ্যুৎ-গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পূর্ণ ব্যর্থতা, ব্যাংক-অর্থনীতি ধ্বংসকারী ও অর্থ পাচারকারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে’ এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ‘ভবনে একটি অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ছিল না, এই লোকগুলোকে এত করে বলেছি, তারা সচেতন হয়নি’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি, ব্যথিত হয়েছি। মানে উনি বোঝাতে চেয়েছেন, এ যে দুর্ঘটনা হলো, দোষ সব মানুষের যারা মরেছে, যারা এখানে দোকান, রেস্টুরেন্ট, ব্যবসা করেছে। যেমন করে দেশে ও বাইরে গিয়ে বলেন এত সুন্দর ভোট ৭৫ এর পরে আর হয়নি। এখনো একইভাবে তিনি জনগণের সঙ্গে নির্দয়-নিষ্ঠুর রসিকতা করছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নগর পরিকল্পনাবিদ ও সমাজ নিয়ে যারা ভাবেন তারা বলেছেন, এটা একটি হত্যাকাণ্ড। এটা নিমতলীর সময় বলা হয়েছিল, এফ আর টাওয়ারের সময় বলা হয়েছিল। আমাদের দেশে মানুষের জীবনের মতো তুচ্ছ আর কিছু নেই অন্তত সরকারের কাছে।’
মান্না বলেন, ‘এ সরকার একটিই কাজ পারে জুলুম, নির্যাতন, ফোরটুয়েন্টি, ঠকবাজি করে ভোটকে নিজের পক্ষে দেখাতে। অথচ জিনিসের দাম বাড়ছে একের পর এক, মানুষের জান বেরিয়ে যায়। ওনারা কোনো জিনিসের দাম কমাতে পারেননি। আজকে সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের গায়ে হাত দিতে পারছেন না সরকার। দুনিয়ার সমস্ত লুটেরা, ব্যাংক ডাকাত, ভোট ডাকাতদের সরকার মদদ ও প্রশ্রয় দেয়। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ি সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। তাতে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি করে?’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন হৃদয় সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, সাবেক সংসস সদস্য বিলকিস ইসলাম, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ব্যাপারী, শফিকুল ইসলাম সবুজ, মুসা ফরাজী প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/অমিয়/