ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জামায়াতের তুরাগ থানার নায়েবে আমীরের পিতার ইন্তেকাল

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
জামায়াতের তুরাগ থানার নায়েবে আমীরের পিতার ইন্তেকাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের তুরাগ মধ্য থানার নায়েবে আমীর ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসানের পিতা আবুল কাসেম মিয়াজি (৮৮) মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)

সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৬টায় গাজীপুরে শফিপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

সোমবার বাদ আছর গাজীপুরের শফিপুরের লস্করচালা (বরিশাল কবরস্থান) তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গুলশান অঞ্চল পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত, উত্তরা পশ্চিম জোন সহকারী মাহবুবুল হক, তুরাগ মধ্য থানা সেক্রেটারি মুহিব্বুল্লাহ বাচ্চুসহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

আবুল কাসেম মিয়াজি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামে।

এদিকে আবুল কাসেম মিয়াজির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

শফিক/এমএ/

দেশবিরোধীদের রুখে দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
দেশবিরোধীদের রুখে দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৮, ২০২৩ সালে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সব উন্নয়নকে টেনে ধরার জন্য একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে। তারা আমাদের চেতনা, অস্তিত্ব, রাষ্ট্রযন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্সকৃতির ওপর আঘাত হেনেছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দিনাজপুরে সম্প্রতি দুষ্কৃতকারীদের ভাঙচুর করা জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করব। সাধারণ মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। দুষ্কৃতিকারীরা শুধু দিনাজপুরে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে আঘাত করেছে। এ আঘাত বাংলাদেশের ওপর আঘাত। ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ক্ষতবিক্ষত করেছে। দল ভাঙার জন্য বিভেদ সৃষ্টি, দলকে দুর্বল করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর পরও ইস্পাতকঠিন ঐক্য নিয়ে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে আছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তারা হামলা করেছে। একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে - এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

পরে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ সভায় উপস্থিত হন।

অমিয়/

জয়ের নেতৃত্বে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
জয়ের নেতৃত্বে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তি-নির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সব প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকল মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়মিত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন।’

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্ব নেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।

কাদের বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।

কাদের বলেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর।

তিনি আরও বলেন, ই-গভর্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তিন শতাধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, মর্যাদা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার তার ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সকল সদস্য মেধাবী ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরও তারা দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম এবং তাদের সাধারণ জীবন-যাপনের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা সবাই দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের চিন্তা করেন এবং তা বাস্তবায়নে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের নিকট তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সূত্র: বাসস

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর: কাদের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর: কাদের
ফাইল ফটো

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য! উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য! জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর।’

তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যের ডাক এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।’
 
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছে। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও সংযম নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবেলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতা-কর্মীরা সতর্কাবস্থায় ছিল।’

কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মিশনে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে জড়ো হয়েছিল। এই সন্ত্রাসীরা বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংষযজ্ঞ চালিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। হত্যা-গুপ্তহত্যা ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা আবার ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।’

হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল গণগ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরাপরাধ কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করব। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

চলমান কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
চলমান কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

চলমান কারফিউ আরও শিথিল করা যায় কি না সে বিষয় আজ শনিবার নিয়মিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজ বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। বর্তমানে চলমান কারফিউ আরও শিথিল করা যায় কি না সে বিষয় শনিবার নিয়মিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কি না আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অমিয়/

সহিংসতার দায় সরকারকেই নিতে হবে: জামায়াত

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৬ এএম
সহিংসতার দায় সরকারকেই নিতে হবে: জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

সারা দেশে গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন এবং মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সরকারের সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। দেশের জনগণ তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ উচ্চকিত করেছে।’

বিবৃতিতে এ টি এম মা’ছুম বলেন, ‘সরকার নিজেই দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে একটি অরাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমনের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে দেশে অসংখ্য হত্যা সংঘটিত করেছে। দেশের শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস ও রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে নিহত করে শত শত মায়ের বুক খালি করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এখনো বহু শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জালিম সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করুন।’

হত্যার দায় এড়াতে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে সরকার: ছাত্রশিবির
হত্যার দায় এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সরকার ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। গতকাল এক বিৃবতিতে তারা এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মূলত আওয়ামী লীগ প্রধান ও তার দলের সিনিয়র নেতাদের উসকানি এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে খুনের হুকুমে এসব হত্যা সংঘটিত হয়েছে। দেশের অরাজক পরিস্থিতির দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এ হত্যার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না।

তারা আরও বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি আদর্শিক সংগঠন। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

কারফিউ প্রত্যাহারের আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের 
অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে অনুষ্ঠিত সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের এক বৈঠকে দলটির নেতারা এ দাবি জানান।

বৈঠকে নেতারা বলেন, জনগণের চলাচলের স্বাধীনতা হরণ করে সরকার দেশে এক অঘোষিত সেনাশাসন জারি করেছে। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সরকার সংবাদপত্র ও মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। গণগ্রেপ্তার বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। 

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলর সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক কাইয়ুম হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সংগঠক সুমন মল্লিক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার প্রমুখ।