নটিংহামের বিপক্ষে জয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল সিটি । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

নটিংহামের বিপক্ষে জয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল সিটি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
নটিংহামের বিপক্ষে জয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল সিটি
ছবি : সংগৃহীত

নটিংহামের মাঠে অতিথি হয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই মাঠে স্বাগতিকদের মোটেও সুবিধা করতে দেয়নি তারা। লিগ টেবিলের ১৭ নম্বর দলটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়। এই জয়ে ব্যবধান কমেছে আর্সেনালের সঙ্গে।

জয়ের ম্যাচে মাঠের খেলায় ৬৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলেই রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এই বল দখলে রাখার মাধ্যমেই দুই অর্ধে দুটি গোল তুলে নিয়ে দলকে জয়ের দেখা পাইয়ে দেন জসকো গাভারদিওল ও আর্লং হালান্ড। দুই গোলেরই কারিগর ছিলেন কেবিন ডি ব্রুইনা।

ম্যাচের ৩২তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় সিটি। কেবিন ডি ব্রুইনার কর্নার থেকে নেওয়া অসাধারণ সেই শটটি হেড দিয়ে জাল খুঁজে নেন জসকো গাভারদিওল। সেই এক গোলে বিরতিতে যায় প্রথমার্ধে এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সিটি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭১তম মিনিটে আরেকবার জাল খুঁজে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এবারও গোলের কারিগর ডি ব্রুইনা। তার বাড়িয়ে দেওয়া বল পান ৬২ মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের বদলি হয়ে মাঠে নামা আর্লিং হালান্ড।

বক্সের ভেতর থেকে তার ডান পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নিয়ে মৌসুমের ২১তম গোল করেন হালান্ড। আর এই গোলে নটিংহামের সাথে সিটির ব্যবধান হয় ২-০। আরকোনো গোল না হওয়ায় এই ব্যবধানেই জয় পেয়ে যায় পেপ গার্দিওলার শীষ্যরা। এ নিয়ে শেষ ৯টি অ্যাওয়ে ম্যাচের ৮টিতেই জয় তুলে নিল সিটিজেনরা।

এক ম্যাচ বেশি খেলা আর্সেনাল ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। আজ টটেনহামকে তারা হারিয়েছে ২-৩ গোলে। সিটির সংগ্রহ ৭৬ পয়েন্ট। সিটির পরের ম্যাচ ৪ মে, উলভসের বিপক্ষে। লিগের অন্য ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা ২-২ গোলে ড্র করেছে চেলসির সঙ্গে।

সাইফউদ্দিন নয় তানজিমে ভরসা খুঁজে পেয়েছেন অধিনায়ক ও কোচ

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
সাইফউদ্দিন নয় তানজিমে ভরসা খুঁজে পেয়েছেন অধিনায়ক ও কোচ
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলতে আজ রাতেই উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। তার আগে আজ (১৫ এম) মিরউর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অফিসিয়াল ফটোশুট ও সংবাদ সম্মেলন করেছে টাইগাররা।

বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মাঠে নামতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের। ২১, ২১ ও ২৪ টেক্সাসে হবে ম্যাচ তিনটি। বিশ্বকাপের আগে ফটোশুট ও দেশের মাটিতে শেষ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক ও কোচের সামনে ঘুরেফিরে উঠে এসেছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদকে নিয়ে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছিলেন ৮ উইকেট নিয়ে। এরপরও তার দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে জন্ম দিয়েছে প্রশ্ন।

সেই প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘ব্যাটার বোলার যদি একসাথে সবার সাথে সবার তুলনা করতে চান তাহলে খুবই কঠিন। সাইফউদ্দিন এবং (তানজিম হাসান) সাকিব খুবই ক্লোজ ছিল। আমরা শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুজনই খুব কাছাকাছি ছিল। এমন না যে উইকেট কেউ বেশি নিয়েছে কম নিয়েছে সে কারণে আমরা বাদ দিয়েছি বা নিয়েছি। জিনিসটা হল দলের কী প্রয়োজন। থাকে না যে বিশ্বাসের ব্যাপারটা? আমাদের মনে হয়েছে সাকিব দলের জন্য বেটার কিছু করতে পারবে।’

প্রশ্ন এসেছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছেও। তিনি এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অধিনায়ক শান্তর সুরেই, ‘গতকাল নির্বাচকরা তো এ নিয়ে কথা বলেছেন। সাইফউদ্দিন ও সাকিব দুজনকেই আমরা পারফর্ম করার সুযোগ দিয়েছি। সাকিব সাইফউদ্দিনের চেয়ে দ্রুত গতিতে বল করে। দুইজনকেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে বল করিয়েছি, নতুন বলেও আবার ডেথ ওভারেও। সাকিব চাপের মুখে যেভাবে বল করেছে তাকে নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

আলাভেসের বিপক্ষে রিয়ালের গোলউৎসব

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আলাভেসের বিপক্ষে রিয়ালের গোলউৎসব
ছবি : সংগৃহীত

আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগমুহূর্তে দিনকয়েক আগে জেতা লা লিগার শিরোপা দর্শকদের সামনে উঁচিয়ে ধরেছিলে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নেমে তুলে নিয়েছে কাঙ্ক্ষিত জয়ও। চাপহীন ম্যাচে ক্লাবটি গড়েছে নিজেদের ইতিহাসে লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ক্লিনশিটের রেকর্ড। আলাভেসকে তারা হারিয়েছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে।

বড় ব্যবধানে এই জয়ের ম্যাচে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোলের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন বেলিংহাম, ফেদে ভালভের্দে ও আরদা গুলের।

দলের হয়ে প্রথম গোলটি আসে দশম মিনিটে বেলিংহামের পা থেকে। যা লা লিগায় তার ১৯তম গোল। রিয়ালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস ম্যাচের ২৭ মিনিটে। বিরতিতে যাওয়ার আগে ভালভের্দে স্কোরলাইন করেন ৩-০, যে গোলে অ্যাসিস্ট বেলিংহামের।

রিয়ালের চতুর্থ গোলেও ছিল বেলিংহামের। ভিনিসিয়ুস তার বাড়ানো বল ধরেই দেখা পান নিজের দ্বিতীয় গোলের। রিয়ালের পঞ্চম ও শেষ গোলটি আসে ৮১ মিনিটে, গুলেরের কাছ থেকে।

রিয়ালের গোলকিপার কোর্তোয়ার গোল হজম না করার কীর্তির রাতে ক্লিনশিটের রেকর্ডও হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। এবারের লা লিগায় ৩৬ ম্যাচের ২০টিতেই কোনো গোল হজম করেনি তার, যা ক্লাব ইতিহাসের রেকর্ড।

আলাভেসকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগায় টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও গড়েছে রিয়াল।

লা লিগা ট্রফি হাতে তুলে ফেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৩৬ ম্যাচে ৯৩, দুইয়ে থাকা বার্সেলোনার ৩৫ ম্যাচে ৭৬।

সাকিবের নয়ে ৯

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
সাকিবের নয়ে ৯
ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের পর দেশের হয়ে কোনো বিশ্বকাপই মিস হয়নি সাকিব আল হাসানের। এবার নবমবারের মতো  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।

জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আগের আট আসরেই খেলেছেন সাকিব। অর্থাৎ এবার নয়ে ৯ হচ্ছে তার। যে কীর্তি হবে ভারতের রোহিত শর্মারও। 

এ তালিকায় থাকতে পারতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপে স্কোয়াডে ছিলেন না বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ তাই খেলবেন নিজের অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাকিবের এটি ১৪তম বিশ্বকাপ, মাহমুদউল্লাহর ১২তম।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ পরবাসীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
পরবাসীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্র সবার কাছে স্বপ্নের জায়গা। দেশটিতে একবার পা রাখতে পারলে সবাই হয়ে ওঠেন আনন্দে আত্মহারা। সবচেয়ে উন্নত দেশটির নিয়ন্ত্রণে আছে বিশ্বের ভূ-রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি থেকে শুরু করে অনেক কিছু। সব জায়গায় উন্নতিতে অন্যদের রোল মডেল যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটে এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলছে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়ার সুবাদে প্রথমবার তাদের দেখা মিলবে ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ১৯ নম্বরে থেকে ২০ দলের বিশ্বকাপে দেখা মিলবে মার্কিনিদের। এর আগে ক্রিকেটের আর কোনো বৈশ্বিক আসরে তাদের দেখা মেলেনি।

ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে সেভাবে নেই ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা। যুক্তরাষ্ট্রও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশটির তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে বাস্কেটবল, বেসবল, আমেরিকান ফুটবল কিংবা গলফের মতো খেলা। কারও কারও হয়তো পছন্দ ফুটবল। মার্কিন মুলুকে যেটি পরিচিত আবার সকার নামে। এত সব খেলার ভিড়ে ক্রিকেট এখনো দেশটিতে পায়নি কোনো স্থান। এমন অপরিচিত খেলাকে জনপ্রিয় করে তুলতে তাই মার্কিনিদের ভরসা  অভিবাসী ক্রিকেটাররা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিকেটারদের এনে দল সাজিয়েছে তারা।

বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার আগে ক্রিকেট নিয়ে এতটা মনোযোগ ছিল না তাদের। স্বাগতিক হওয়ার দায়িত্ব পাওয়ার পরই  মূলত ক্রিকেটে নজর দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তৈরি করে পরিকল্পনা। সেই অনুযায়ী প্রথমে চালু করে নিজেদের দ্বিতীয় সারির  মাইনর ক্রিকেট লিগ। এক বছরের ব্যবধানে গত বছর থেকে শুরু হয় মেজর লিগ। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ হওয়ায় ছিল বিদেশি ক্রিকেটাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ। সে সুযোগেই মূলত বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা।

দেশটিতে ক্রিকেটের সূচনা সেই ১৮ শতকের মাঝখানে। ইউরোপ থেকে আগত অভিবাসীদের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার শুরু যুক্তরাষ্ট্রে। সেই সময় মার্কিন মুলুকে হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেট ফের প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। সেটাও অভিবাসী ক্রিকেটারদের হাত ধরে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত খেলেছে ২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর মধ্যে ১৪ টি জয়ের বিপরীতে হার ৯ ম্যাচে।

স্বাগতিক দলের সবচেয়ে বড় তারকা নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা কোরি অ্যান্ডারসন। বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্র দলে বড় পার্থক্য তৈরি করবেন বলেই আশা করছেন স্বাগকিদের ক্রিকেট প্রেমিরা। এ ছাড়া দলের মূল কাণ্ডারি হবেন পেসার আলী খান, অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, অ্যারন জোন্সের মতো ক্রিকেটাররাও। তাদের আছে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার নিয়মিত অভিজ্ঞতা।

স্বাগতিকরা গ্রুপ পর্বে লড়াই করবে ভারত-পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট পরাশক্তির সঙ্গে। পাশাপাশি তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে আয়ারল্যান্ড ও প্রতিবেশী কানাডা। দলটি তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে।  প্রতিপক্ষ কানাডা। পরের দুই ম্যাচ ৬ ও ১২ জুন যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ১৪ জুন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

দেশ ছেড়ে নতুন শেকড়ের টানে অ্যান্ডারসন

৩৩ বছর বয়সী কোরি অ্যান্ডারসন নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। পড়তি ফর্মের কারণে ব্রাত্য হয়ে পড়েন তাসমান পাড়ের দেশটিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যেতে তাই হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এবার বিশ্বকাপে মাঠ মাতাবেন যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বড় পার্থক্য গড়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। শুধু ব্যাটিং নয়, কার্যকরী বোলিংয়েও রাখবেন বড় ভূমিকা।

নিউজিল্যান্ডে ব্রাত্য হওয়া অ্যান্ডারসনের যুক্তরাষ্ট্র দলে অভিষেক  হয়েছে কানাডার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে। দুই দেশের হয়ে ৩৩ টি-টোয়েন্টি খেলা অ্যান্ডারসনের ব্যাটে এসেছে ৫৬৮ রান ও ১৪ উইকেট। কানাডার বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে তার ব্যাটে এসেছে ৪১.৫০ গড়ে ৮৩ রান। তার এই ব্যাটিং পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে নায়ক হতে পারেন অ্যান্ডারসন।

অভিবাসী নির্ভর যুক্তরাষ্ট্র

অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল খেলেছেন গুজরাট অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। ভারতীয় ক্রিকেটে জায়গা করে নিতে না পারায় পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে। এ ছাড়া একই তালিকায় আছেন কোরি অ্যান্ডারসন, অ্যান্দ্রিস গৌর, হারমিত সিং, মিলিন্দ কুমার, সৌরভ নেত্রাভালকার, স্টিভেন টেইলর, শায়ান জাহাঙ্গীরের মতো দলের বেশির ভাগ সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রে দলে সুযোগ পাওয়া বেশির ভাগ ক্রিকেটার ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাদের আবার বেশির ভাগই অভিজ্ঞতা আছে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার। এ ছাড়া পাকিস্তান থেকে এসেছেন শায়ান জাহাঙ্গীর। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শেফলি ফন স্ক্যালয়াক ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এসেছেন অ্যারন জোন্স ও স্টিভেন টেইলর। ফলে দলটির জয় যে অভিবাসীদের জয় হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিষেক ১৫ মার্চ ২০১৯

ম্যাচ: ২৫

জয়: ১৪

হার: ৯

পরিত্যক্ত: ১

টাই: ১

স্টুয়ার্ট ল, প্রধান কোচ

আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র দলের দায়িত্ব নিয়েছি। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সিরিজ আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। এই দল নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট সমর্থকদের ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। দলে সামর্থ্যবান ক্রিকেটার আছে। তাদের নিয়ে সর্বোচ্চ ফল করা কঠিন হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র দল: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), অ্যান্দ্রিস গৌস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ প্যাটেল, সৌরভ নেত্রাভালকার, শেদলি ফন স্ক্যালয়াক, স্টিভেন টেইলর, শায়ান জাহাঙ্গীর।

রিজার্ভ- গজানন্দ সিং, জুয়ানয় ড্রাইসডেল, ইয়াসির মোহাম্মদ।

ছয় তরুণের প্রথম

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১১:৫০ এএম
ছয় তরুণের প্রথম
ছবি : সংগৃহীত

কয়েক দিন ধরে বিশ্বকাপ দল নিয়ে ডানা মেলেছিল নানা ধরনের গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে গতকাল ঘোষণা করা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপ দলে ডাক পান ১৫ স্বপ্ন সারথি। সেই দলের ৬ জন প্রথমবারের মতো খেলবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাকি ৯ জনের অভিজ্ঞতা আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার। খেলেছেন অন্তত একটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিমান ধরছেন তাওহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী অনিক ও তানভীর ইসলাম।

বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলার অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ সাকিব আল হাসান। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার মতো নিজের ৯ম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন। অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ সাকিব যেমন আছেন বাংলাদেশ দলে তেমনি আছে নতুন মুখও। স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া ছয় ক্রিকেটার প্রথমবার খেলতে নামবেন টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে। এই ছয় জনের মধ্যে যে কোনো ফরম্যাটে বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাওহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব ও তানজিদ হাসান তামিমের। এই তিন ক্রিকেটার ছিলেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে। ফলে তাদের জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা বলা যায় না। তবে জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলামের জন্য বিশ্বকাপে খেলাটা হবে নতুন অভিজ্ঞতা।

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘কিছু বলার মতো পাচ্ছি না। চেষ্টা থাকবে একাদশে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার।’ বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা দুই ম্যাচে তার শিকার ছিল এক উইকেট। সব মিলিয়ে মাত্র চার আন্তর্জাতিক ম্যাচের খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে জাকেরের সম্বল ১১ ম্যাচের অভিজ্ঞতা। রিশাদ বিশ্বকাপের বিমান ধরবেন ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। জাকের, রিশাদ ও তানভীরের মতো প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব ও তানজিদ হাসান তামিম। তিনজন প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ডাক পেলেও বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। তিনজনই খেলেছেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ ম্যাচ খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়। এ ছাড়া তানজিদ তামিম খেলেছেন ৫ ও তানজিম সাকিব খেলেছেন ৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

তরুণ ছয় ক্রিকেটারের মধ্যে ১০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু জাকের, রিশাদ ও তাওহিদ হৃদয়ের। বাকি তিনজন খেলেছেন ১০-এর কম ম্যাচ। সবচেয়ে কম ৪ টি-টোয়েন্টি করে ম্যাচ খেলেছেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম সাকিব। তারা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায়। এ ছাড়া তারা নিজ নিজ দলের হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সবশেষ বিপিএলেও।

ছয় তরুণের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেও ভরপুর বাংলাদেশের স্কোয়াড। ৫০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ৬ ক্রিকেটার। তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১২৮), সাকিব আল হাসান (১১৯), মোস্তাফিজুর রহমান (৯০), লিটন দাস (৮০), সৌম্য সরকার (৮০) ও তাসকিন আহমেদ (৬১)। বাকি তিন ক্রিকেটার শেখ মাহেদি, শরিফুল ইসলাম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অভিজ্ঞতা যথাক্রমে ৪৭, ৩৯ ও ৩৬ ম্যাচ। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ৩৬ ম্যাচ খেলা শান্তর কাঁধে থাকবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব। ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার এই ভারসাম্য বলে দেয় মোটেও অপ্রস্তুত কোনো দলকে নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে নামবে না বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ ও নতুনত্বে ভরপুর লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা বিশ্বকাপে সমর্থকদের কেমন ফল উপহার দেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।