![জাবিতে ২য় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ](uploads/2024/02/13/1707830607.JU.jpg)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’-এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে অবরোধ তুলে নিয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আবারও কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো অছাত্রদের বের করে গণরুম বিলুপ্ত করা; নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা; যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তিসহ ক্যাম্পাসে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করা ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অবরোধ চলাকালে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অছাত্রদের বের করে দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটে নেওয়া সিদ্ধান্তের পাঁচ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে।’
প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে যে ঘটনাগুলো কলুষিত, কলঙ্কিত করেছে, সম্মানক্ষুণ্ণ করেছে, সে সম্মান উদ্ধারে উপাচার্যের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। র্যাবের ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন যে পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটছিল, তা এই অছাত্ররা করছিল। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, তারা এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।’
এর আগে গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে একই দাবিতে প্রশাসনিক ভবন প্রতীকী অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা নির্ধারিত পাঁচ কর্মদিবস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় লাগাতার কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।