গণমাধ্যমের উচিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরা: জবি উপাচার্য । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

গণমাধ্যমের উচিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরা: জবি উপাচার্য

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ১০:২৬ এএম
গণমাধ্যমের উচিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরা: জবি উপাচার্য
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি : খবরের কাগজ

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার সীমাবদ্ধতাগুলো গঠণমূলকভাবে গণমাধ্যমের তুলে ধরা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর সমস্যাগুলো নিয়ে সবারই মাথা ব্যথা রয়েছে। সবাই চেষ্টা করছি সেগুলো থেকে উত্তরণের। আমাদের গণমাধ্যমগুলোর উচিত গুচ্ছের সীমাবদ্ধতাগুলো গঠণমূলকভাবে তুলে ধরা। বিশেষ করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের যে অভিযোগগুলো ছিল তা কতটুকু আমরা লাঘব করতে পারছি তা তারা দেখবে।’

জবি গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি কিছুদিন আগে। সেটা আমাকে দেখতে হবে, বুঝতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করে আমাদের শিক্ষক যারা আছেন তারা কি চান সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল আছে সেখানে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত হবে।’

গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেরিতে ক্লাস শুরু এবং সেশনজটের বিষয়ে জবি উপাচার্য বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে এবং একটা জট আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলেও এখন কিছু বিভাগে ক্লাস শুরু হয়েছে। তাদের এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কোটায় ভর্তি প্রক্রিয়াসহ এখনও ভর্তি চলছে। সেশনজট কাটাতে কি কি করা যায় আমরা সেসব বিষয় নিয়ে ভাবছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও জট কাটাতে সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুজাহিদ/পপি/

ইবিতে র‌্যাগিং ঘটনার ৩ মাসেও মেলেনি সুরাহা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
ইবিতে র‌্যাগিং ঘটনার ৩ মাসেও মেলেনি সুরাহা
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‌্যাগিংয়ের ঘটনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি সুরাহা। ফলে বিষয়টিকে কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও সদিচ্ছার অভাব বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে কিছু সিনিয়র শিক্ষার্থীর র‍্যাগিংয়ের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। অকথ্য গালিগালাজ ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করা হয় তাকে। প্রথমে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পেটানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তের প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে। ফলে তাদের বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করেন তদন্ত কমিটি। কিন্তু এর পরও এ বিষয়ে এখন অবধি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা গত কয়েক বছর ধরে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সব শেষ গত তিন মাস আগে লালন শাহ হলে ছাত্রলীগ কর্মীরা এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটালেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যেন দ্রুত সময়ে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘গত ঈদের ছুটির আগেই আমরা ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। সিদ্ধান্তের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘প্রতিবেদন সাধারণত রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে উপাচার্যের অনুমতিতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়ে আমার কাছে আসে। প্রতিবেদন এখনো আমার কাছে আসেনি। এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এটি মূলত ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি হয়ে পরে সিন্ডিকেটে আসবে। এখানে একটু ভুল হয়েছে, তাই দেরি হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সব জায়গায় দ্রুত সমাধানের জন্য বলেছি। আশা করি, শিগগিরই এর সমাধান হবে।’
র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীরা হলেন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাগর।

রাবিতে হিন্দু শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে মারধর, হত্যার হুমকি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৫৪ এএম
রাবিতে হিন্দু শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে মারধর, হত্যার হুমকি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। 

সবুজ বিশ্বাস গতকাল ছাত্রলীগ নেতার হাতে শারীরিক নির্যাতন এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।

তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘গত বুধবার রাত ২টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও তার ৮-১০ জন অনুসারী আমাকে কক্ষ থেকে বের করে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে নিজেকে সনাতনী দাবি করলে আরও বেশি মারপিট করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে হল ত্যাগ করি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়িতে অবস্থান করছি। এমতাবস্থায় নিজের নিরাপত্তা-শঙ্কায় পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।’

এর আগে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হলের সহসভাপতি আতিকুর রহমানসহ কয়েকজন গেস্টরুমে বসেছিলেন। এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে এসে তাদের কয়েক মিনিটের জন্য গেস্টরুম ত্যাগ করতে বলেন। এ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবুজ বিশ্বাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় আমি হলেও ছিলাম না। ঘটনার পরের দিন আমি হলে আসি। আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আমি যে ব্লকে থাকি, সেই ব্লকে নিয়াজ মোর্শেদ ভাইয়ের ছেলেরা থাকত।’ 

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হয়েও হলে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এক বড়ভাই আমাকে এই হলে তুলেছেন। আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না।’ তবে কোন বড়ভাই হলে তুলেছেন তা জানাতে রাজি হননি এই ভুক্তভোগী। 

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের অপকর্ম লুকানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। আমি তাকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু খবরের কাগজকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হলের যে ঘটনা, সেটি আমি জানার সঙ্গে সঙ্গে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলি। লিখিত অভিযোগ পুরোপুরি সত্যি নয়। সবুজ ওই হলের আবাসিক কোনো শিক্ষার্থী নয়। আবাসিকতা ছাড়া হলে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। ওই ঘটনা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। হল প্রশাসন থেকে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে ইউজিসি

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে ইউজিসি

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, শেকৃবির জনবল নিয়োগ, টেন্ডার, একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে কমিশন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগপত্র এসেছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ কমিশনের নজরে এসেছে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দফাওয়ারি বক্তব্য কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। নিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান নিয়োগ কার্যক্রমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কোনো প্রস্তাব, সিন্ডিকেটে উপস্থাপন না করার অনুরোধ করা হলো।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘ইউজিসিতে অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। সেগুলোকে আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।’ 

ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় অংশ নিলেন ১৫শ জীবন সদস্য

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় অংশ নিলেন ১৫শ জীবন সদস্য
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৩-২০২৪ এর বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পিতবার (১ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় ১ হাজার ৫০০ জীবন সদস্য অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার।

এসময় অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গ্রাম থেকে আসা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। ইতোমধ্যে আমরা তাদেরকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা দেয়ার জন্য মাসিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বৃত্তি প্রদানের পরিকল্পনা করেছি। চাইলে এতে অ্যালামনাইরা আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে অ্যালামনাইরা আরো অবদান রাখবেন সেই প্রত্যাশা রাখি।’

সংগঠনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার বলেন, ‘আমরা কয়েক হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছি, যদিও আমরা সবাইকে দিতে পারিনি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি যেন শিক্ষার্থীদের জন্য আরো কাজ কিভাবে করা যায়। আমাদের এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একজন শক্তিশালী সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৫ বছর পূর্তিতে তাঁকে এখানে দেখতে চাই। সেই সঙ্গে সবাই মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর (পারভেজ) সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সহ-সভাপতি আশরাফুল হক মুকুল, কোষাধ্যক্ষ মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

সভার শুরুতে গত একবছরে যেসব খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব এবং অ্যাসোসিয়েশনের জীবন সদস্য মারা গেছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মহাসচিবের সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন- মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার। গত এক বছরের আর্থিক বিবরণী তুলে ধরেন কোষাধ্যক্ষ মো. মাহবুব হোসেন।

 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
ছবি : খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, যখন দেশে কারপিউ। যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করত। যখন মানুষের মৌলিক অধিকার তথা ভোটের অধিকার ছিল না। সামরিক স্বৈরশাসকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু তনয়ার এই দেশে যেই প্রত্যাবর্তন, সেই প্রত্যাবর্তনই এদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে এবং আমাদের এই গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন।’

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘আজকে যথার্থই বলতে হয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। শেখ হাসিনা সেদিন রাজপথের মিছিলে নিজে স্লোগান দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিল বলেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে এসেছিল। 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ভিসি চত্বর-শহিদ মিনার হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। 

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/