ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

অফিসে কাজের চাপ যেভাবে সামলাবেন

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০১:২০ পিএম
অফিসে কাজের চাপ যেভাবে সামলাবেন
যেকোনো কাজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে হবে। দ্বিধাকে ঝেরে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। মডেল তানিয়া ছবি শরিফ মাহমুদ

চাকরি মানে ব্যস্ততা। আর ব্যস্ততা কর্মজীবনেরই অংশ। কিন্তু এই ব্যস্ততা বা কাজের চাপ যদি আপনার স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অফিসে কাজের চাপ বিভিন্ন কারণেই বেড়ে যেতে পারে। অনেকগুলো ছোট ছোট কাজ জমে গেলেও যেমন চাপ বেড়ে যায়, তেমনই একটা বা দুটো সময়সাপেক্ষ কাজও দিনভর ব্যস্ত রাখতে পারে আপনাকে। কাজের চাপ যে ধরনেরই হোক না কেন, ঠিকমতো ম্যানেজ করতে পারলে সময়মতো কাজ শেষ করা খুব কঠিন কিছু নয়। অফিসে কাজের চাপ সামলানোর কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে
বিস্তারিত জানাচ্ছেন আফসানা আক্তার।

হাসিখুশি থাকুন
গোছানো ও পরিপাটি স্বভাবের মানুষ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকেন। চেষ্টা করুন হাসিখুশি থাকতে। কপালে সারাক্ষণ চিন্তার ভাঁজ ফেলে রাখলে তা কিন্তু স্থায়ী দাগ হিসেবে বসে যেতে পারে। তাই কাজ যখন করতেই হবে, মনে আনন্দ নিয়ে করুন। নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করুন। এতে কাজের চাপে আর অস্থির লাগবে না।

কাজের তালিকা তৈরি করুন
যেসব কাজ হাতে রয়েছে, তার একটা তালিকা তৈরি করুন। কাজের উন্নতি অনুযায়ী প্রতিনিয়ত সেই তালিকা আপডেট করতে থাকুন। সবকিছু যদি মনে রাখার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়বে।

দিনের কাজ দিনেই করুন
বড় বা সময়সাপেক্ষ কাজগুলোকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করে নিন। প্রতিদিনের গোল সেট করুন। যে দিনের কাজ সে দিনই শেষ করার চেষ্টা করুন। কাজ পরের দিনের জন্য ফেলে রাখবেন না। তাহলে দেখবেন সব কাজ হবে। আর কাজ সময়ের মধ্যেও শেষ হবে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ সাজিয়ে নিন
গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলোকে সাজিয়ে নিতে পারেন। যে কাজ যত বেশি জটিল, সেটাকে তালিকার প্রথমেই রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। আর সব কাজই যদি জটিল হয়, সেক্ষেত্রে ডেডলাইন অনুযায়ী কাজগুলোকে সাজিয়ে নিন।

সময়ের হিসাব রাখুন
অনেক সময় অজান্তেই আমরা কিছু কিছু কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ফেলি। তাই কোন কাজে কতটা সময় খরচ করছেন, তার একটা হিসাব রাখতে পারেন। এতে বুঝতে সুবিধা হবে যে, কোথায় বেশি নজর দিতে হবে।

সময় বাঁচাতে চেষ্টা করুন
অনেক সময় পরপর মিটিং থাকলেও কাজের সময় পাওয়া যায় না। যদি ইন-পারসন মিটিংয়ের প্রয়োজন না থাকে, সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল মিটিং করে যাতায়াতের সময় বাঁচাতে পারেন। অথবা মিটিংয়ের বিষয়, সময়সীমা ইত্যাদি আগেভাগে সবাইকে পাঠিয়ে রাখুন, যাতে সময়ে সবটা শেষ করতে পারেন।

অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে নেবেন না
আপনি যেহেতু মেশিন নন, তাই আপনার কাজ করার নির্দিষ্ট সীমা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই মাত্রাতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে নিলে ব্যস্ততা পিছু ছাড়বে না কোনো দিনই। যতটুকু কাজ করতে পারবেন ঠিক ততটুকু কাজেরই দায়িত্ব নিন।

ব্যস্ততাকে নিয়ন্ত্রণ করুন
একটানা ব্যস্ততা দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ব্যস্ততাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এতে ক্লান্তিও কমবে, আর কাজের প্রতি একঘেয়েমিও তৈরি হবে না।

কাজের ফাঁকে ব্রেক রাখুন
যখন কাজের খুব চাপ থাকবে তখন মনকে হালকা রাখতে হবে। নইলে মনোযোগে সমস্যা হবে। বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে রাখুন। যে কাজ পরে করলেও হবে তা মাথাতে এখনই আনবেন না। কাজগুলো কয়েকটা ভাগে ভাঙুন। কাজের ফাঁকে অবশ্যই ব্রেক রাখুন। দেখবেন সব ঠিকমতো হবে।

অন্যের ওপর ভরসা করবেন না
কাজের জন্য অন্য কারও ওপর ভরসা করবেন না। নিজের কাজ নিজেই গুছিয়ে করুন। এ ব্যাপারে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারে তা মাথাতেও রাখবেন না। ফলে নিজের কাজের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কাজের চাপও সামলাতে পারবেন সহজে। তাই অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের কাজ নিজে করুন।

মাথা ঠান্ডা রাখতেই হবে
অযথা মাথা গরম করবেন না। এতে আপনার নিজের ক্ষতি। নিজের শরীরের ক্ষতি। অফিসে কাজের চাপ থাকলে তা সহকর্মীর সঙ্গে শেয়ার করুন। দেখবেন, আপনার সমকর্মী মানসিক পরিস্থিতি বিচার করে আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।

সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন
অনেক সময় অফিসের কাজের চাপকে অসহনীয় করে তোলে সহকর্মীরা। তাই সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাদের সম্পর্কে বুঝতে জেনে নিন তারা কোথা থেকে এসেছেন এবং কীভাবে কাজ করেন। তাদের সাধারণ প্রশ্ন করুন এবং প্রতিদিন তাদের উপস্থিতির সময়ে সতর্ক হোন, এক চিলতে হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। যেকোনো সমস্যায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। একই সঙ্গে অফিসে কারও অগোচরে তার সম্পর্কে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। পরস্পর আলাপ করুন। কাজের পাশাপাশি অফিসে মজার কিছু মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করুন। সুযোগ পেলে অফিসের বাইরেও তা অব্যাহত রাখুন। এভাবেই ধীরে ধীরে একটা সময় দেখবেন অফিসের চাপকে সামলে নিয়েছেন।

দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট হোন
কোনো ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকলে প্রশ্ন করতে কিংবা অতিরিক্ত তথ্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। প্রতিষ্ঠান আপনার কাছে কী প্রত্যাশা করে বা সহকর্মীদের প্রতি আপনার কী কী দায়িত্ব আছে, তা জেনে নেওয়া আপনার কর্তব্য। এসব ব্যাপারে স্পষ্ট হতে চাওয়াকে কখনোই আপনার জ্ঞানের অভাব হিসেবে দেখবেন না। আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আপনি যদি স্পষ্ট থাকেন তাহলে যেকোনো কাজের চাপকেই আপনার কাছে বোঝা মনে হবে না।

কলি

 

 

বেসরকারি সংস্থায় ঢাকায় নিয়োগ

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:২০ পিএম
বেসরকারি সংস্থায় ঢাকায় নিয়োগ

বেসরকারি সংস্থা হারভেস্টপ্লাস সলিউশনস বাংলাদেশ জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি ঢাকায় বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমেও সিভি পাঠানো যাবে।

পদের নাম: বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: অ্যাগ্রি বিজনেস, ফুড বা অ্যাগ্রিকালচার মার্কেটিং বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা অ্যাগ্রি বিজনেস মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত সাত বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীন অ্যাগ্রিকালচার বা ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যাগ্রিকালচার বা ফুড সেক্টর মার্কেটিং/বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রিটেইল, এফএমসিজি বা ফুড সেক্টরে স্টার্টআপের অভিজ্ঞতা বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। কূটনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক দক্ষতা থাকতে হবে। ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: মাসিক বেতন ১,৫০,০০০ থেকে ১,৮০,০০০ টাকা।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/nutritiousabl/nutritiousabl1.html এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

এ ছাড়া [email protected] ঠিকানায় জীবনবৃত্তান্ত ই-মেইল করে আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে মেইলের সাবজেক্টে ‘Business Manager Bangladesh’ লিখিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৮ মে ২০২৪।

কলি

কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডে চাকরি বেতন ১ লাখ ৫৫ হাজার

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডে চাকরি বেতন ১ লাখ ৫৫ হাজার

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ঢাকায় হেড অফিসে হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে ই-মেইলে পাঠাতে হবে।

পদের নাম: হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। বেসরকারি সংস্থার লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে অন্তত সাত বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় অপারেশনস ম্যানেজমেন্টে অন্তত তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ প্রদান ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানাসহ কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স: সর্বোচ্চ ৬০ বছর

চাকরির ধরন: পাঁচ বছরের চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: হেড অফিস, ঢাকা

বেতন: মাসিক বেতন ১ লাখ ৩২ হাজার ৯০০ থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৫ টাকা।

সুযোগ-সুবিধা: বছরে দুটি উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা, ওপিডি ভাতা, মুঠোফোন বিলসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/concernworld/concernworld718.html এই লিংক থেকে নিয়োগ ও আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নির্দিষ্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করা আবেদন ফরম পূরণ করে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন সার্টিফিকেটসহ এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় মেইল করে দিতে হবে। মেইল করার সময় সাবজেক্টে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৯ মে, ২০২৪।

কলি

বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনে কাজের সুযোগ

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনে কাজের সুযোগ

বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে ছয় ক্যাটাগরির পদে ১১ থেকে ১৬তম গ্রেডে ১১২ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সহকারী হিসাব কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১৯
যোগ্যতা: এমকম (স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর) অথবা তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ বিকম ডিগ্রি (স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক)।
বেতন স্কেল: ১২,৫০০–৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

২. পদের নাম: সহকারী মাঠ তত্ত্বাবধায়ক
পদসংখ্যা: ৩৭
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগে বিএসসি (স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক), বিএজি ডিগ্রি (স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এজি)।
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

৩. পদের নাম: উচ্চ বিভাগীয় সহকারী (প্রশাসন)
পদসংখ্যা: ১৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৪. পদের নাম: উচ্চ বিভাগীয় সহকারী (হিসাব)
পদসংখ্যা: ১৫
যোগ্যতা: বিকম ডিগ্রি (স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী)। অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৫. পদের নাম: নিম্ন বিভাগীয় সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (প্রশাসন)
পদসংখ্যা: ১৪
যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি পাস। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে ইংরেজি ও বাংলায় যথাক্রমে ৩০ ও ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৬. পদের নাম: নিম্ন বিভাগীয় সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (হিসাব)
পদসংখ্যা: ১৩
যোগ্যতা: বাণিজ্যে এইচএসসি পাস। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে ইংরেজি ও বাংলায় যথাক্রমে ৩০ ও ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: মাদারীপুর, ময়মনসিংহ, নড়াইল, বরগুনা জেলা ছাড়া অন্য সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
তবে এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা
বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখ থেকে আবেদনকারী সাধারণ প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বছর।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের http://bfidc.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে ফোন অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।

এ ছাড়া টেলিটকের জবপোর্টালের https://www.facebook.com/alljobsbdTeletalk/ ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে মেইল/মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ৩০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৩৫ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা এবং ৩ থেকে ৬ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ২৭ মে থেকে ১৩ জুন ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 কলি

কর্মক্ষেত্রের ৭ শর্টকাট

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
কর্মক্ষেত্রের ৭ শর্টকাট

কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। কর্মক্ষেত্রের কঠিন পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে এখানে ৭টি পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—

কাজের সময় কমিয়ে আনুন
বেশি সময় কাজ করলে বেশি কাজ শেষ করা যায়। আমরা সাধারণত এমনটাই জানি। তবে বাস্তবে তা সত্য নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার পরিবর্তে ৬০ ঘণ্টা কাজ করলে বেশি কাজ সম্পাদন করতে পারে, তবে এ ক্ষমতা শুধু পরবর্তী তিন সপ্তাহের জন্য বলবৎ থাকে। এরপর অনেকেই কাজের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ে, যে ভুল হওয়ার কথা না সেই ভুলগুলো করে বসে এবং কম কাজ করে থাকে।

কর্মক্ষেত্রে ঝামেলাকারীকে সামাল দিন
কেউ ঝামেলা করলে তাকে মানানোর চেষ্টা করুন। আর যদি আপনি নিজেই মেজাজ হারিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্কে ছেদ ঘটবে। তাই কর্মক্ষেত্রে পেশাদারি আচরণ ও কথা বলার ধরন বজায় রাখুন। যদি ঝামেলাকারী পিছু না হটে, তখন বলুন, ‘আপনার মাথা ঠাণ্ডা হয়ে এলে আমরা আবার এই ব্যাপারে কথা বলে নেব’ তারপর তার সামনে থেকে চলে যান এবং আপনার কাজে মন দিন।

ভুয়া পরিসংখ্যান চিহ্নিত করা
একটি পরিসংখ্যানকে তখনই বৈধ বলে ধরে নেওয়া যায় যদি এর পেছনের তথ্যগুলো সত্য হয়ে থাকে। যদি তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রতিষ্ঠান কোনো সুবিধা করতে পারে, তাহলে ধরে নিতে হবে ওই প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো শতভাগ নির্ভুল নয়। কাজেই পরিসংখ্যানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

মিথ্যাবাদী চেনা
মানুষের চোখ দেখে অনেক সময় বলে দেওয়া যায় যে সে মিথ্যা বলছে কি না। তবে এ থিওরি সর্বদা সত্য নয়। যারা সচরাচর মিথ্যা বলে তাদের চোখ দেখে প্রায়ই বোঝার উপায় থাকে না যে আসলেই তারা মিথ্যা বলছে। তাই কারও কথা যদি আপনার কাছে মুখস্থবিদ্যার মতো শোনায় বা মুখে মুখে গিয়ে বদলে যায়, তাহলে সেই কথার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অনেকেই দেখবেন প্রতিবার নিজের কথা সত্য বলে দাবি করে বসে কিন্তু দেখা যাবে যে সেই মিথ্যা বলছে।

সিভিকে সাজিয়ে নিন
একটি গতানুগতিক সিভি হলো একটি সেলস ব্রশিয়ারের মতো, যা সবাই প্রথমে দেখে কিন্তু তা তাদের আকর্ষণ করে না। আপনি যে পদে আবেদন করতে চাচ্ছেন সেই কাজের আদ্যোপান্ত জানুন এবং সেই কাজের চাহিদা অনুযায়ী আপনার সিভিকে সাজিয়ে নিন।

উল্টো দিক দিয়ে ই-মেইল লিখুন
যদি আপনি মনে করেন আপনার ই-মেইল দেখে প্রাপক সিদ্ধান্ত নেবে, তাহলে ই-মেইলের শেষাংশ দিয়ে শুরু করুন যেখানে আপনি প্রাপককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাগিদ দেবেন। ওই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে ছোট ছোট যুক্তি লিখে নিন, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রাপককে তাগিদ দিন বা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এরপর ই-মেইলের সাবজেক্ট লাইনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে প্রাপকের যে সুবিধা হতে পারে সেটা তুলে ধরুন।

সব বস যা চায়
বেশির ভাগ বস সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সবকিছুতে মনোযোগী ইত্যাদি গুণাবলি কদর করে থাকে। তবে আসল কথা হলো আপনার পদবী যা-ই হোক না কেন, আপনার বস সবসময় এটাই চায় যে আপনি কাজের মাধ্যমে তাকে সফল হতে সাহায্য করুন। এটাই সত্য।

কলি

চাপমুক্ত থাকার কৌশল

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:০১ পিএম
চাপমুক্ত থাকার কৌশল
মডেল: ইলা আহমেদ,ছবি: শরিফ মাহমুদ

প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পালাবদলের কারণে বর্তমান পৃথিবীতে নানাবিধ কাজকর্ম শুধু সহজই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলও হয়ে উঠছে। প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে আমাদের টিকে থাকার লড়াই হয়ে উঠছে তীব্র। আমরা সবাই অল্পতে বেশি কিছু করতে চাই, এটাই সত্যি। আর এ বিষয়টিই আমাদের কাজে স্ট্রেস তৈরি করে থাকে। আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালোটা করতে চাই কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, মানুষ ভেঙে পড়ে। আর তাতেই স্ট্রেসের উৎপত্তি ঘটে। যদি আপনি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি জেনে থাকবেন কাজের চাপ কতখানি হতে পারে। একই সঙ্গে অর্থ বিনিয়োগের ঝক্কি-ঝামেলা সম্পর্কে ধারণা থাকার কথা। আর যদি আপনার ভাগ্য ভালো থাকে আর আপনি গ্রাহক পেয়ে যান, তাহলে আপনাকে আবার উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। যা-ই হোক না কেন, কাজের মাঝে চাপ থাকবেই। স্ট্রেস কাটিয়ে উঠতে এখানে কিছু টিপস তুলে ধরা হলো—

কৌশলগত পরিকল্পনা করুন 
যখন কাজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে, তা আসলে হয় প্রতিদিনকার নিষ্ক্রিয়তার ফলে। এর কুফল কাটানোর জন্য, এক কদম পেছনে গিয়ে চিন্তা করে নিন। সব বিভ্রান্তি থেকে দূরে গিয়ে আপনি বা আপনার টিম এক হয়ে ব্রেইনস্টর্ম, কৌশল ও পরিকল্পনা ঠিক করে নিন।

ব্যবসায় আনন্দ খুঁজে নিন
যখন কাজের অনেক চাপ থাকবে, তখন আপনার টিমকে নিয়ে কোথাও খেতে চলে যান। বিরতি নিন, একটু ঘুরে বেড়ান। হয়তো এতে আপনার কাজের দেরি হবে কিন্তু এর ফলে আপনার যে মনোবল বৃদ্ধি পাবে তাতে আপনি কাজ অনায়াসেই সেরে নিতে পারবেন।

অন্যকে দোষ দেবেন না
নেতারা উচ্চপর্যায়ে কাজ করতেই পারে, কিন্তু নিজের টিমকে অনুৎসাহিত করে তো কোনো লাভ নেই। নিজের চাপ যদি পরিবার ও বন্ধুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে দিন শেষে আপনি একাকীই থেকে যাবেন। যদি আপনি চাপ সামলাতে না পারেন, তাহলে কোনোভাবে তা আপনাকে বের করে দিতে হবে।

স্ট্রেসকে বের করে দিন
ক্যাফেইন আপনার মুডকে ভালো রাখবে এবং দিনের কাজে গতি আনতে সাহায্য করবে। চা খেলেও আপনার মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তবে এগুলো বেশি বেশি করলে সুফল ততটা হবে না। এ জন্য ব্যায়াম করতে শিখুন, ধ্যান করুন, বাইরে ঘুরুন, নিজে নিজে কিছু বানান, কোনো খেলায় অংশ নিন বা কারও সঙ্গে কথা বলুন – যেটা আপনার কাজে আসে।

দরকার হলে কঠোর পরিশ্রম করুন, এমনিতে নয়
বিজনেস হুটহাট করে হয়। হয়তো আপনি কোনো পণ্য বানাচ্ছেন বা বিজনেসের প্রসার করছেন, এর মানে কিন্তু এই নয় যে আপনাকে সারাক্ষণ এগুলো নিয়েই পড়ে থাকতে হবে। যখন দরকার হবে তখন কঠোর পরিশ্রম করুন; আবার কাজ শেষ হয়ে গেলে পর্যাপ্ত বিরতিও নিতে হবে।

ক্লান্ত হলে হাল ছেড়ে দিন
যখন আপনি অধিক চাপ ও কাজের ফলে ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তখন আপনার মাথায় আর কোনো আইডিয়া আসবে না, সেই সময় আপনি হাল ছেড়ে দিন। সত্যি সত্যি কাজের হাল ছেড়ে দিন, বাড়ি ফিরে যান বা অন্য যা ইচ্ছে হয় তাই করুন। যখন আপনি রিল্যাক্স করতে পারবেন, তখনই আপনি কাজের অনুপ্রেরণা পাবেন।

শেষ মুহূর্তের জন্য কাজ ফেলে রাখবেন না
আপনি এই ব্যাপারটি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না ঠিকই, তবে চেষ্টা করলে তা অসম্ভব নয়। আর এটি নিয়ন্ত্রণ করা যতটা কঠিন মনে হবে, আসলে তা কিন্তু ততটা নয়। আগেভাগে কাজ শেষ করে রাখলে আপনি আরও বেশি রিল্যাক্স করার সুযোগ পাবেন এবং তা আপনাকে বিস্মিত করবে।

কলি