![স্টার্টআপের জন্য যে ১০টি নীতি জরুরি](uploads/2024/05/23/kor-ytr-1716445287.jpg)
অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে কোনো একটি বড় সমস্যার সমাধানের জন্য যিনি ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাকে উদ্যোক্তা বলে। আর তার নতুন উদ্যোগকে বলে স্টার্টআপ। যেমন- ফেসবুক, উবার, বিকাশ এবং লিংকডইন ইত্যাদি। এরা সবাই কাস্টমারদের জন্য কোনো না কোনো বড় সমাধান নিয়ে এসেছেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন গুলশান হাবিব রাজীব
ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা ভবিষ্যতের বড় ব্যবসায় পরিণত হতে পারে। যেকোনো পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়লে হবে না। লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন, স্বপ্নবাজরা ভিন্ন কোনো কাজ করে না, একই কাজ ভিন্ন আঙ্গিকে করে। আর এই ভিন্নতা ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য আবশ্যক। ব্যবসায়িক কাজ ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই সাফল্যের চাবিকাঠি ছোঁয়া যায়।
প্রত্যেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীই চান সফল হতে। তারপরও অনেক ব্যবসায়ী সফলতার মুখ দেখেন না। একটি সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে কিছু নীতি মেনে চলা অত্যাবশ্যক। ব্যবসার নীতিই সাফল্য নিশ্চিত করতে পারে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতি হলো মেরুদণ্ডস্বরূপ। একটি সফল ব্যবসার জন্য নিম্নোক্ত ১০টি নীতি নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি-
আইডিয়াকে বড় করতে হবে
উবারের কিন্তু নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই, তবুও তারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় রাইডশেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ফেসবুক, ইউটিউবের নিজস্ব কনটেন্ট নেই, তবু তারা যোগাযোগ, সংবাদ কিংবা বিনোদনের অন্যতম বৃহৎ উৎস। একটি ছোট আইডিয়া থেকে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্ম হতে পারে। তবে এই ক্ষুদ্র ব্যবসাকে সফল করতে হলে সেই আইডিয়াকে বড় করতে হবে। উদ্যোক্তার দূরদৃষ্টি ও সঠিক পরিশ্রমই পারে ব্যবসাটিকে সামনে এগিয়ে নিতে।
সিস্টেম
ব্যবসা ক্ষুদ্র হলেও তাকে একটি সিস্টেমের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়। কারণ যেকোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা একটি সিস্টেমের মতোই যেখানে প্রতিটি অংশ এর সাফল্যের সঙ্গে জড়িত। এমন সিস্টেমে সবকিছুকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়, তা কর্মচারীই হোক কিংবা রিসোর্সেস হোক না কেন। সিস্টেম যদি ঠিকমতো চলে তাহলে তাহলে ব্যবসার লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
দূরদৃষ্টি থাকতে হবে
আগামী ১০ বছর পর যুগের অবস্থা কেমন হবে, ভোক্তার কী কী দরকার হতে পারে, সেগুলো আবিষ্কারের জন্য একজন ব্যবসায়ীকে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে। ব্যবসা ক্ষুদ্র হলেও এর পেছনে যদি দূরদৃষ্টি থাকে তাহলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়ে যায়। দূরদৃষ্টি একজন ব্যবসায়ীকে দক্ষ করে তোলে।
ব্যবসা পরিবর্ধন করতে হবে
সফল হতে গেলে ব্যবসাকে পরিবর্ধনের আওতায় আনতে হবে। ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা ভবিষ্যতের বড় ব্যবসায় পরিণত হতে পারে। কাজেই ব্যবসা বড় করার স্বপ্ন দেখতে হবে। কারণ, সঠিক স্বপ্ন লক্ষ্য অর্জনের পথ অনেকটাই খুলে দেয়।
টেকসই
যেকোনো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, যেকোনো বাজারে টিকে থাকার জন্য ব্যবসাটিকে টেকসই হতে হবে। মনে রাখবেন, স্বপ্নবাজরা ভিন্ন কোনো কাজ করেন না, একই কাজ ভিন্ন আঙ্গিকে করেন। আর এই ভিন্নতা ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য আবশ্যক। ব্যবসায়িক কাজ ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই সাফল্যের চাবিকাঠি ছোঁয়া যায়।
অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি প্রয়োজন
যেকোনো সফল ব্যবসায় অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি প্রয়োজন। একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা হলো একটি স্কুলের মতো যেখানে কর্মচারীরা হলো ছাত্র; যাদের লক্ষ্য কাজের মাধ্যমে নিজেদের বড় করে তোলা। অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি হয়তো এক দিনে সম্ভব নয়। তবে লেগে থাকলে ব্যবসায় অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি হবেই।
উদ্দেশ্য
ব্যবসার উদ্যোক্তার যে উদ্দেশ্য ছিল তাই পূরণ করার লক্ষ্যে কাজ করবে ক্ষুদ্র ব্যবসাটি। যেকোনো পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়লে হবে না। লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যেতে হবে। একটি সফল ব্যবসার জন্য এই নির্দেশনা মেনে চলা খুবই জরুরি।
স্বতন্ত্রতা
একটি ব্যবসা কিন্তু তার মালিকের চেয়ে আলাদা একটি পরিচয়। একটি ব্যবসা তার নিজ পরিচয়ে পরিচিত হয়, মালিক শুধু তা চালনা করে থাকে। কাজেই মালিকের পরিচয় আর ব্যবসার পরিচয় দুটোকে কোনো সময় এক করে ফেলা উচিত নয়।
মুনাফা
ব্যবসার পেছনে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে আর তাই সেই উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ব্যবসাটি কাজ করে যাবে। যত ঝড়ঝাপটাই আসুক না কেন, ব্যবসার অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য যেন ব্যাহত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মানদণ্ড
একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা নিজের একটি মানদণ্ড তৈরি করে নেয়; যার বিপরীতে সে নিজের সাফল্য পরিমাপ করে থাকে। পুরোনো নয়, নতুন মানদণ্ডের ভিত্তিতেই ব্যবসার সাফল্য নিরূপণ করা উচিত। তা হলেই ব্যবসা তার কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জন করবে।
প্রতিটি ব্যবসার একটি আকার ও গঠন দরকার হয়। এই ১০টি নীতি ব্যবসার রূপরেখা তৈরি করতে সাহায্য করে। ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাই এই ১০টি নীতি প্রয়োজন।
কলি