ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ব্যবসার জন্য পুঁজি যেখানে পাবেন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
ব্যবসার জন্য পুঁজি যেখানে পাবেন

ব্যবসা করার জন্য যেমন নিত্যনতুন আইডিয়া দরকার ঠিক তেমনি প্রয়োজন অর্থ। নতুন ব্যবসা কিংবা উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে পুঁজি বা ফান্ডিং জোগাড় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কী পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং সেগুলোর উৎস কী হবে, তা নির্ভর করে ব্যবসার পরিধি এবং ধরনের ওপর। নতুন কোনো উদ্যোগের স্টার্টআপ বা চলমান কোনো ব্যবসায় পুঁজি বা ফান্ডিং জোগাড় করার জন্য রয়েছে বেশ কিছু জনপ্রিয় ও কার্যকরী পন্থা। সেগুলো হলো-

১. ব্যাংক ঋণ
পুঁজি জোগাড় করার ক্ষেত্রে ছোট এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্যাংক ঋণ। দেশে এখন অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংক বিভিন্ন মেয়াদ ও সুযোগ-সুবিধায় ঋণ দিয়ে থাকে। নিজের ব্যবসার ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ খুঁজে বের করতে হবে। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, শুধু ভালো আইডিয়া থাকলেই ব্যাংক ঋণ পাওয়া যায় না। বরং ব্যাংক ঋণ পেতে কোম্পানির ভালো ট্র্যাক রেকর্ড এবং ক্রেডিট থাকা জরুরি। কোনো স্টার্টআপ ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টির দরকার পড়ে। ব্যাংক ঋণ সাধারণত দুই ধরনের হয়- ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোন এবং ফান্ডিং। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোনের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে লাভের মুখ দেখেছে এমন উদ্যোগকে বাছাই করা হয়। অন্যদিকে ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন কিন্তু বাস্তবসম্মত এবং সম্ভাবনাময় ব্যবসায়িক পরিকল্পনাসংবলিত প্রোজেক্টগুলোকে বাছাই করা হয়।

২. সরকারি স্টার্টআপ ফান্ডিং
দেশে বেশ কয়েক বছর ধরেই স্টার্টআপ কালচার শুরু হয়েছে। সরকার বিভিন্ন মেয়াদে নতুন আইডিয়া সংবলিত স্টার্টআপ উদ্যোগগুলোয় বিনিয়োগ করে থাকে। এসব ফান্ডিং পেতে বেশ কিছু স্ক্রিনিং প্রসেস পার করতে হয়। আমাদের দেশে সরকারপ্রদত্ত স্টার্টআপ ফান্ডিংগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইনোভেশন সার্ভিস ফান্ড, ইনোভেশন ফান্ড, আইসিটি ডিভিশন ফান্ড, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ইত্যাদি।

৩. ক্রাউড ফান্ডিং
সাধারণত ক্রাউড ফান্ডিং বলতে বোঝায় একটি ব্যবসায় অনেক লোকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগ। বিভিন্ন পণ্য বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ক্রাউড ফান্ডিং একটি কার্যকরী পন্থা। ক্রাউড ফান্ডিংয়ে যারা টাকা তুলতে সহায়তা করে, তাদের প্ল্যাটফর্ম বলা হয়। অন্যদিকে ক্রাউড ফান্ডে যারা অর্থায়ন করেন তাদের বলা হয় ‘ব্রেইকার’। তাদের প্রদত্ত অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার, স্বীকৃতি ইত্যাদি দেওয়া হয়। পুরস্কারগুলোর অর্থমূল্যের চেয়ে শুভেচ্ছামূল্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন- টি-শার্ট, স্টিকার, ধন্যবাদ জ্ঞাপকপত্র ইত্যাদি। প্ল্যাটফর্ম তাদের সেবার বদলে সার্ভিস চার্জ পেয়ে থাকে।

বিশ্বজুড়ে অনেক জনপ্রিয় হলেও ক্রাউড ফান্ডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ব্যবস্থা। কেননা এতে জালিয়াতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলো ক্রাউড ফান্ডিংয়ে জালিয়াতি ঠেকাতে প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ক্রাউড ফান্ডিং এখনো সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্যোক্তার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে শিগগির ক্রাউড ফান্ডিং এদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

৪. অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টিং
যখন কোনো উদ্যোক্তা তার ব্যবসার স্টার্টআপের সময় কিংবা চলমান ব্যবসায় আর্থিক সংকটের সময় অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে ব্যবসার অংশীদারত্ব বিক্রির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করে তখন তাকে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টিং বলে। অংশীদারত্ব কেনার মাধ্যমে যিনি বিনিয়োগ করেন তাকে বলা হয় অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর। সাধারণত অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর উদ্যোক্তার কোনো আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকেন। ব্যক্তির পাশাপাশি কোনো প্রতিষ্ঠানও অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের ফান্ডিংয়ের একটি সুবিধা হলো সহজেই ইনভেস্টর পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে উদ্যোক্তার সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, অংশীদারত্ব বিক্রির বিনিময়ে তিনি সঠিক পরিমাণ বিনিয়োগ পাচ্ছেন কি না, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্যদিকে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরকে নিজের প্রতিষ্ঠানের পার্টনার হিসেবে গ্রহণ করার পর পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতের মিল ধরে রাখাও কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৫. ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
সাধারণত কোনো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি দ্বারা গঠিত হয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড বা তহবিল। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসংবলিত (যেমন আইটি, আইটিইএস, বায়োমেডিকেল ইত্যাদি) তহবিল যেখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠান কিংবা বিত্তশালীরা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করেন। একটি ভেঞ্চার ফান্ডের সময়কাল সাধারণত ৫-১৫ বছর হয়ে থাকে। এই পুরো তহবিলের দেখাশোনা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম করে থাকে যার বিনিময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ফি নিয়ে থাকে। ভেঞ্চার ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করেন তাদের লিমিটেড পার্টনার বা এলপি বলা হয়। অন্যদিকে যারা এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা করে থাকে তাদের জেনারেল পার্টনার বা জিপি বলে। ভেঞ্চার ফান্ড থেকে বিভিন্ন উদ্যোগে বিনিয়োগের ব্যাপারটি ভেঞ্চার ফার্ম নিয়ন্ত্রণ করে। বিনিয়োগ সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদের হয় (৩ থেকে ৮ বছর)। বিনিয়োগ প্রধানত সাধারণ শেয়ার ও আংশিক পুঁজির (কোয়াসি ইক্যুইটি) মাধ্যমে করা হয়। মেয়াদ শেষে অথবা সুবিধাজনক সময়ে ভেঞ্চার ফার্ম সেই শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে লাভ বা লোকসান যেকোনো কিছুই হতে পারে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটি উদ্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থায়ন করে- (১) সিড বা বীজ পর্যায়, যখন ব্যবসা উদ্যোক্তার মনে আইডিয়া আকারে থাকে (২) প্রাথমিক পর্যায়, যখন উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরুর জন্য কাজ শুরু করেছে কিন্তু বিক্রয় বা সেবা প্রদান শুরু হয়নি (৩) সম্প্রসারণ পর্যায়, যখন বিক্রি শুরু হয়েছে কিন্তু কোম্পানি লাভ করছে না এবং (৪) বর্ধিষ্ণু পর্যায়, যখন কোম্পানি ভালো আয় বা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে পরিচিত ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে আছে, লংকা বাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, এথেনা ভেঞ্চার এবং ইক্যুইটি লিমিটেড, বিডি ভেঞ্চার, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেড, মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেড, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড ইত্যাদি।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দিয়ে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো আজকের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপ ডট ইনক, কিং ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট, যা ক্যানডি ক্রাশ সাগা গেমটি তৈরি করেছে—এরা সবাই ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমেই নিজেদের ব্যবসায় অর্থসংস্থান করেছে।

নতুন উদ্যোক্তাদের উচিত হবে, ব্যবসায় অর্থসংস্থানের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জোগান নিশ্চিত করা।

৬. ক্ষুদ্রঋণ
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিভিন্ন এনজিও, যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা বাংলাদেশ ইত্যাদি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিয়ে থাকে। তারা মূলত তৃণমূল পর্যায়ে এমন উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে, যাদের জন্য ক্ষুদ্রঋণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এসব ক্ষুদ্রঋণের অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যায়। অন্যদিকে পরিশোধ করতে হয় ভেঙে ভেঙে। তাই, অনেক ব্যবসায়ীর কাছেই ক্ষুদ্র ঋণ অর্থসংস্থানের জনপ্রিয় মাধ্যম।

জাহ্নবী

 

কোটা জটিলতা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ স্থগিত রাখার সুপারিশ

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ এএম
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ স্থগিত রাখার সুপারিশ
ছবি: সংগৃহীত

কোটা পদ্ধতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি আদালতের বিবেচনাধীন থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত রাখতে ওই মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে কমিটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টিকা কেনা-সংক্রান্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ জুলাই) সংসদ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সভাপতি শ ম রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সভায় ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান ও কমিটির অন্য সদস্যরা। এ ছাড়া আরও ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টিকা কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা সংসদীয় কমিটির। ওই উপকমিটিতে রয়েছেন সংসদীয় কমিটির সদস্য বি এম কবীরুল হক, নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও মশিউর রহমান মোল্লা সজল। 

মন্ত্রণালয়ের ধীরগতির প্রকল্পগুলোর নাম চাইল সংসদীয় কমিটি

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিন ধরে চলা ধীরগতির প্রকল্প ও বারবার মেয়াদ বৃদ্ধির সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করে প্রকল্পগুলোর নাম পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। গতকাল রবিবার সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

আলোচনায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের কাজের গতি বৃদ্ধির প্রক্রিয়াগত দিক বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারাকে আরও বেগবান ও গতিশীল করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। বৈঠকে কমিটিতে পূর্ববর্তী বৈঠকের নেওয়া সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৩ এর কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পাদনে অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

কমিটির সভায় এম এ মান্নানের নেতৃত্বে এতে ছিলেন কমিটির সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলাম, ড. শ্রী বীরেন শিকদার, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, আবদুস সবুর, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান ও খালেদা বাহার বিউটি। এতে আরও ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরাসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এলিস/এমএ/

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হবে না

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হবে না
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

বুধবার (১০ জুলাই) এনটিআরসিএর যুগ্ম-সচিব মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠান বিষয়ে স্পষ্টীকরণ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ব্যবস্থাপনায় আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু কুচক্রীমহল বিভিন্ন নিউজপোর্টালের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা স্থগিতকরণ সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এসব অপসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই ২০২৪ তারিখ দেশের ৮টি বিভাগীয় জেলা (ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট) শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

১২ জুলাই ২০২৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা এবং ১৩ জুলাই ২০২৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

বিজ্ঞপ্তি দেখতে ক্লিক করুন:

পরীক্ষা অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

অমিয়/

কোস্ট ফাউন্ডেশনে কাজের সুযোগ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
কোস্ট ফাউন্ডেশনে কাজের সুযোগ

বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে রেসিলিয়েন্ট হোমস্টেড অ্যান্ড লাইভলিহুড সাপোর্ট টু দ্য ভালনারেবল কোস্টাল পিপল অব বাংলাদেশ (আরএইচএল) প্রকল্পে প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত সিভির ফরম্যাট পূরণ করে ই-মেইলে পাঠাতে হবে।

পদের নাম: প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে প্রফেশনাল/অ্যাডভান্সড ডিগ্রি থাকলে ভালো। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অন্তত তিন বছরসহ মোট সাত বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। অ্যানালিটিক্যাল, রিপোর্ট রাইটিং ও উপস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। কোবো টুলবক্স ও জিআইএসের কাজ জানা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স থাকতে হবে। প্রকল্প এলাকা ভিজিটের মানসিকতা থাকতে হবে।

বয়স: সর্বোচ্চ ৪৫ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (নবায়নযোগ্য)

কর্মস্থল: কক্সবাজার

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: মাসিক বেতন ৬০,০০০ টাকা। এ ছাড়া উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, মুঠোফোন বিল ও মোটরসাইকেল বিল দেওয়া হবে।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের https://coastbd.net/job-opportunity/ এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে।

একই লিংক থেকে নির্ধারিত সিভির ফরম্যাট ডাউনলোডের পর তা পূরণ করে

পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবিসহ[email protected] এই ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। সাবজেক্টে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪।

 কলি

সিপিডি নেবে গবেষণা সহযোগী বেতন ৬১ হাজার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
সিপিডি নেবে গবেষণা সহযোগী বেতন ৬১ হাজার

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট (গবেষণা সহযোগী)

পদসংখ্যা: উল্লেখ নেই

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৬০ থাকতে হবে। তবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে বা পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশনা থাকলে বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে সিজিপিএ শিথিলযোগ্য। স্ট্যাটিস্টিক্যাল ও ইকোনমেট্রিক্যাল অ্যানালাইসিসের জন্য এক্সেল, এসটিএটিএ, আর, পাইথন, ইভিউজ, টাবলিউ, পাওয়ারবিআই সফটওয়্যারের কাজ জানতে হবে।

বেতন: মাসিক ৬১ হাজার ৬০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের সম্প্রতি তোলা ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে পাঠাতে হবে।

নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য https://cpd.org.bd/position-to-be-filled-up-immediately/ এই লিংকে জানা যাবে।

শুধু বাছাই করা প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা নেওয়া হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ জুলাই, ২০২৪।

 কলি

এস আলম গ্রুপে নিয়োগ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
এস আলম গ্রুপে নিয়োগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এস আলম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির (মেকানিক্যাল) স্টিল প্লান্ট বিভাগ উপসহকারী প্রকৌশলী/সহকারী প্রকৌশলী পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: এস আলম গ্রুপ

পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী/সহকারী প্রকৌশলী; বিভাগ: (মেকানিক্যাল) স্টিল প্লান্ট

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি/মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা

অন্যান্য যোগ্যতা: মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ এবং যন্ত্রপাতির সমস্যা সমাধানে দক্ষতা

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৩ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর

কর্মস্থল: চট্টগ্রাম

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1267688&ln=1 ভিজিট করুন।

 কলি