একটি ব্যবসায়ের রাজস্ব এবং মুনাফা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। নিচে এ রকম ৭টি টিপস আলোচনা করা হলো-
কাজের আগেই ভেবে নিন
আপনি যদি সব বিষয়ে পারদর্শী হতে চান, তা হলে ভুল করবেন। কারণ তখন মানুষ ভাববে আপনি একটি কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। আপনার আসল শক্তি এমন জিনিসের জন্য ব্যয় করবেন না, যা আদতে আপনার কোনো কাজেই আসবে না। তাই যেকোনো কাজের আগেই একটু ভেবে নিন।
লক্ষ্য স্থির করুন
অনেকেই আছেন যারা আগে থেকেই দুই-তিন বছরের বিজনেস পরিকল্পনা করে থাকেন এবং সেই পরিকল্পনার তদারক করে প্রয়োজন হলে তা পরিবর্তন করেন। যদি কোনো লক্ষ্য না থাকে, তা হলে প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স পরিমাপ করার কোনো ভিত্তিও থাকবে না। যখন সবাই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে সম্যক অবগত থাকে, তখন সবার এক সঙ্গে কাজ করা এবং লক্ষ্যপূরণ করা সহজ হয়ে যায়।
কর্মীদের প্রতি খেয়াল রাখা
আমরা প্রায়শই বলে থাকি যে আমাদের কর্মীবাহিনীই আমাদের প্রতিষ্ঠানের একমাত্র সম্পদ। এবং আমরা সব সময় আমাদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অবস্থা উন্নত করার চেষ্টায় থাকি, যাতে আমাদের কর্মীরা আমাদের সঙ্গে কাজ করা চালিয়ে যায়। অথচ অনেক প্রতিষ্ঠানই ভুলে যায় যে আসল আনুগত্য তখনই আসে যখন কর্মীরা বিশ্বাস করে প্রতিষ্ঠান এবং এর ম্যানেজমেন্ট সত্যি সত্যি তাদের খেয়াল রাখে।
বিজনেস আর মার্কেটিং এক নয়
একজন হয়তো মার্কেটিংয়ে ভালো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সে ভালোভাবে একটি মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখে। একটি বিজনেসকে সফলভাবে প্রসারের জন্য প্রয়োজন একটি ভালো বিজনেস মাইন্ড এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে বলিষ্ঠ দক্ষতা। শুধু মার্কেটিংয়ে ভালো করা মানুষ বিজনেসের হাল ধরলে সে বিজনেস ব্যর্থ হয়। কারণ, বিজনেস কোনো ছেলেখেলা নয়।
আবেগ কাজে লাগান
যখন আপনি আপনার কাজকে ভালোবাসতে শুরু করেন, তখন তার প্রভাব আশপাশেও পড়ে। পর্যাপ্ত আগ্রহ ও উত্তেজনা দেখানোর ফলে আপনার টিম বুঝতে পারবে তাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে এবং লক্ষ্য স্থির রেখে তাদের কাজে সফল হতে হবে। এর মাধ্যমে একটি ভালো পণ্য বা সেবা তৈরি করা সম্ভব।
আর যদি কেউ অসুখী থাকে, সে তার নেতিবাচক আবেগ অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেবে এবং কাজ করাকে কঠিন করে তুলবে। কারণ সে নিজেও তার কাজকে ভালোবাসে না।
নিজেকে আপডেট করুন
প্রযুক্তি আমাদের পৃথিবীকে প্রতিনিয়তই পাল্টে দিচ্ছে। একই সঙ্গে পাল্টাচ্ছে বিজনেসের ধরন। ফলে যে শিল্পেই জড়িত থাকুন না কেন- নতুন প্রোগ্রাম, নতুন ভাবনা, নতুন প্রক্রিয়াকে সাথে নিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে।
মার্কেটিং– অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
গ্রাহকরা তাদের টাকা খরচের ব্যাপারে এখন বেশ সচেতন, তারা সাধারণত সেসব পণ্যই কিনে থাকে, যেগুলোর নমুনা তারা ব্যবহার করে থাকে বা যেগুলো তাদের সামনে তুলে ধরা হয়। এজন্য মার্কেটিংকে পণ্যের উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে ধরে নিতে হবে।
কলি