অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত কাজ করেও পরিশ্রম অনুযায়ী ফল পান না। অনেক সময় কাজের ফলাফল থেকে পরিশ্রমের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। ফলে কাজ আগায় না। লক্ষ্য অর্জনে সময় লেগে যায় অনেক। কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই অল্প সময়ে বেশি কাজ করা সম্ভব। বিস্তারিত জানাচ্ছেন গুলশান হাবিব রাজীব
এজেন্ডাবিহীন মিটিং পরিহার করুন
যেকোনো মিটিংয়ে নির্ধারিত এজেন্ডা থাকতে হয়। এজেন্ডা থাকলে মিটিংয়ের প্রাণ ও উদ্দেশ্য থাকে। অন্যদিকে এজেন্ডা না থাকলে মিটিং হয়ে পড়ে অগোছাল। ফলে মিটিংয়ের আলাপ অন্যদিকে চলে যায়, যা হয়তো কোনো অর্থ বহন করে না। এতে সময়ের অপচয় ঘটে।
অপরিচিত কলারের ফোন ধরবেন না
অপরিচিত কেউ কল করলে তা না ধরাই ভালো, তবে আপনি যদি টেলি-সেলসের কাজ করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। অপরিচিত কল অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়। তাই তা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
ভয়েস মেইল বন্ধ করুন
ভয়েস মেইল অনেক ক্ষেত্রে সময় নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে আসা বার্তাগুলো শুনতে আর উত্তর দিতে গিয়ে আপনার সময়ের মূল্যবান মিনিট নষ্ট হয়ে যায়। ভয়েস মেইল থাকলে তা বন্ধ করে দিন আর যোগাযোগের জন্য আপনার ই-মেইল ব্যবহার করুন।
ই-মেইলের ফিল্টারকে কাজে লাগান
প্রতিদিন অনেকেই হয়তো আপনাকে ই-মেইল করে। এসব ই-মেইল বার্তা এক এক করে বাছাই করতে গেলে অনেক সময় লেগে যায়। তাই সময় বাঁচাতে চাইলে আপনার ই-মেইল প্রোগ্রামের নিজস্ব বাছাই পদ্ধতি বা ফিল্টারকে কাজে লাগান। গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলো একত্রিত করে রাখুন, তাতে সেগুলোয় চোখ বুলিয়ে নিতে সুবিধা হবে।
কাজের সময় ই-মেইল ও মোবাইল বার্তা বন্ধ করুন
আপনি হয়তো সৃজনশীল বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। এ সময় যদি ই-মেইল আর মোবাইল বার্তা আসে তাহলে তা আপনার কাজের ব্যাঘাত ঘটাবে। তাই জরুরি কাজ করার সময় ই-মেইল এবং মোবাইল বার্তা বন্ধ করে দিন। আগে কাজ শেষ করুন, তারপর অন্যদিকে মন দিন।
গল্পবাজ মানুষ এড়িয়ে চলুন
কিছু মানুষ আছে যারা অফিসে প্রায়শই কফি বা চা হাতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং যাকে পায় তার সঙ্গেই গল্প জুড়ে দেয়। এ রকম গল্পবাজ মানুষ এড়িয়ে চলুন, গল্প-গুজবে সময় নষ্ট না করে তা কাজের পেছনে ব্যয় করুন। দেখবেন আপনি কাজের ক্ষেত্রে অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
তালিকা তৈরি করুন
প্রতিদিন কোন কাজে কত সময় দিচ্ছেন তা লিখে রাখুন। এই তালিকা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কোথায় আপনি সময় দিচ্ছেন এবং কোথায় সময় নষ্ট হচ্ছে। এ তালিকা দেখে আপনার ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করুন।
সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুন
যেকোনো কাজ করার জন্য চাই পর্যাপ্ত শক্তি। আর দেহের শক্তি আসে খাবার থেকে। তাই যেসব খাবার দেহে শক্তি জোগায় সেসব খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট হাঁটুন
বেশিক্ষণ বসে থাকা দেহের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় বসে থাকলে দেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কাজ করার জন্য সুস্থ দেহ অপরিহার্য। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরতি নিয়ে ওঠে দাঁড়ান এবং হাঁটাচলা করুন।
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন
অনেকেই আছেন যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে করতেই সময় অপচয় করে ফেলে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সেই সময় আর নষ্ট হবে না।
কিছুটা সময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন
জীবনে কাজের যেমন প্রয়োজন আছে ঠিক তেমনি প্রয়োজন আছে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াও। ঘুম ও নিজের ব্যক্তিগত কাজের সময় নিজেকে সব যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন, এতে আপনার জীবনে চাপ কমে আসবে, আপনার বিশ্রাম নিশ্চিত হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাজের সময় আপনি আরও বেশি কর্মক্ষম হতে পারবেন।
কলি