চুয়াডাঙ্গায় টানা দুই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষের জীবনযাত্রা। বৈশাখের শুরুতে এসে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। খেটে খাওয়া শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৩৭ শতাংশ। আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়।
এর আগে বেলা ৩টায় জেলায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দশমিক ১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা অস্থির হয়ে পড়ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া গরমে সদর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের হাঁসফাঁস অবস্থা।
চুয়াডাঙ্গা সদরের ইটভাটার কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘গত ৭-৮ দিন খুব কষ্ট হচ্ছে কাজ করতে। দুপুর হলেই ক্লান্তিতে শরীর চলছে না। বিকেলের আগেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’
আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষক আইনুদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘আমার কয়েক বিঘা জমিতে এখনো ভুট্টা রয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে খেত থেকে ভুট্টা তুলছি। কিন্তু প্রচণ্ড রোদের কারণে গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা বাড়ি চলে যাচ্ছেন।’
এদিকে চলমান তীব্র তাপদাহে ফল-ফসল রক্ষায় কৃষকদের বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।
আফজালুল হক/সালমান/