সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্য কোনো দল অংশ নিচ্ছে না।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক করতে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের ভোটে অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, অনেক সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলেও গোপনে তাদের প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এ কারণে দলের মধ্যে বিভক্তির সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে জেলার কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারে বাধা, কর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীকে শোকজ করা হয়েছে।
শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী তার কর্মী ও সমর্থকদের দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি তার অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত-কলম প্রতীক) ও কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমের (ঘোড়া প্রতীক) নির্বাচনি প্রচারে বাধা দিয়েছেন।
এ ছাড়া তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজসহ নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেছেন তারা। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে কাজিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ৩, ১৮ ও ৩১-এর পরিপন্থী। এমন অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে চিঠি পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।