নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে গতানুগতিক নিয়ম পরিবর্তন করে এসটিডি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করেছিল চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রশ্রয় দিতে এবং একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে নিয়ম পরিবর্তন করে ওই টেন্ডার দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ঠিকাদারদের।
এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এক ঠিকাদার। ওই রিটের প্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ২৩ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আইন কোষের সহকারী সচিব মহিদুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংক্ষুব্ধ এয়ার মোহাম্মদ ব্রাদার্স কর্তৃক খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ছয়জনকে বিবাদী করে হাইকোর্টে করা রিট পিটিশনে মামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আইন কোষের যুগ্ম সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের আইন উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবকে ওই আদেশের কপি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৫ মার্চ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরিমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) রিভিউ প্যানেল ৩-এর চেয়ারপারসন মো. ফারুক হোসেন সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে অফিস আদেশ জারি করেন।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (বিপিপিএ)-এর উপ-পরিচালক আফরোজা পারভীন চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃক প্রণীত দরপত্র দলিলের টিডিএস ও আইটিটি ৪৪.২ এ ১০০ নম্বরের একটি ছক যুক্ত করা হয়েছে। যা আদর্শ দরপত্র দলিলের (পিএসএন) বহির্ভূত এবং বিধিসম্মত নয়। এমতাবস্থায় আবেদনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ পর্যালোচনাপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপিরচিালক, খাদ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হয়।
মনির/জোবাইদা/অমিয়/