চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে একটি কাঠের কারখানায় অবৈধভাবে মজুত করা ৬০০ বস্তায় ৩০ টন ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী।
জব্দ হওয়া চিনির বস্তার গায়ে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের লোগো লাগানো রয়েছে। একটি চক্র চোরাইপথে ভারত থেকে এনে এসব চিনি মজুত করেছে বলে জানতে পারে প্রশাসন। চিনিগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৮ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় গুদামের মালিক আব্দুর রব্বানীকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কাঠের কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, ৩০ টন ভারতীয় চিনি ফ্রেশ কোম্পানির নামে প্যাকেট করে সেখানে মজুত করা হয়েছিল। যা কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়া হতো। গুদাম মালিক আব্দুর রব্বানীর দাবি, কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক নেতা জাহিদ বিন জয়নাল গুদামটি ভাড়া নেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার গুদামে এসব চিনি মজুত করেন। তবে চিনিগুলো কীভাবে ভারত থেকে এসেছে তার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি গুদাম মালিক।
তিনি আরও বলেন, জব্দ করা চিনি টিসিবির মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে। চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রটির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত যারা, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। একটি মহল ভারত থেকে চোরাইপথে কম দামে চিনি এনে অধিক মুনাফা আদায়ের চেষ্টা করছিল। তবে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় চোরাচালান আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাইপথে আনা চিনি মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের লোগো দেওয়া হয়েছে। মূলত এই ব্র্যান্ডের নামে অবৈধভাবে বাজারজাত করার চেষ্টা চালিয়েছিল চক্রটি। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানতে পারে ফ্রেশ কোম্পানির কোনো ডিলার বা প্রতিষ্ঠানের গুদাম ওই জায়গায় নেই। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশ্চিত হন যে, এগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা চিনি। পরে এগুলো জব্দের নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে গত শনিবার ২০ এপ্রিল বাকলিয়া থানার চাক্তাই চালপট্টি এলাকা থেকে ৫০০ বস্তা অবৈধভাবে আনা ভারতীয় চিনি জব্দ করে র্যাব। এ ঘটনায়ও একজনকে আটক করা হয়েছিল। জব্দকৃত চিনির বাজারমূল্য ছিল ৩৭ লাখ টাকা।
মনির/ইসরাত চৈতী/অমিয়/