ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

এইচএসসির অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০১:১৩ এএম
এইচএসসির অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা প্রথম পত্র

মূলভাব

প্রশ্ন: তাহারেই পড়ে মনে কবিতার মূলভাব লেখ।
উত্তর: মূলভাব: ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির স্মৃতিকাতর আবেগীয় অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। এ কবিতায় কবি সুফিয়া কামালের ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। কবির স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের মৃত্যুতে তার জীবনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তা কবিমনকে আচ্ছন্ন করে রাখে রিক্ততার হাহাকারে; যা কোনোভাবেই পূরণীয় নয়। প্রকৃতিতে নব বসন্তের আগমনও কবি হৃদয়ের সেই বিষাদময় রিক্ততার সুরকে মুছে ফেলতে পারেনি, জাগতিক কোনো কিছু কবিকে স্পর্শ করেনি। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে থাকে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা ও হাহাকার। শীত যে কবিকে শূন্যতায় পূর্ণ করে গেছে। অথচ বসন্ত কবির প্রিয় ঋতু। প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের সম্পর্ক নিবিড় হওয়া সত্ত্বেও কবির শোকাচ্ছন্ন হৃদয়ে বসন্ত-প্রকৃতির প্রভাব কোনোভাবেই সে সম্পর্ককে জাগিয়ে তুলতে পারেনি এবং কবির বিয়োগভারাক্রান্ত অন্তরকেও স্পর্শ করতে পারেনি। গঠনরীতির দিক থেকে নাটকীয় গুণসম্পন্ন এ কবিতার সংলাপনির্ভর কথোপকথনকে বিশেষ তাৎপর্যময় করে তুলেছে, যা দুজন ব্যক্তির কথা বলার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি নাটকীয় সংলাপনির্ভর কবিতা। এখানে কবি ও কবি-ভক্তের মধ্যে সংলাপ বিনিময় হয়েছে। কবি ও কবি-ভক্তের যুক্তি ও ভাবের প্রকাশ কবিতাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কবি ও কবিভক্তের পাশাপাশি শীত ও বসন্তের তাৎপর্য এক গভীর প্রতীকী ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করেছে। কবিভক্ত কবিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যে কবিকে আবারও সৃষ্টিশীল হতে অনুরোধ করেছেন। মানবজীবনে প্রিয়জন হারানোর গভীর বেদনা ভোলার নয়; তবু মানুষকে বেদনাদীর্ণ হৃদয়ে আবারও জাগতিক স্বাভাবিকতায় ফিরতে হয়। কবিভক্ত কবিকে সেটিই বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। গভীর আবেগ থেকে কবিকে শোক সঙ্গে নিয়েই আবার কলম হাতে তুলে নিতে প্রতীকী আহ্বান জানিয়েছেন। যাপিত জীবন যেন থেমে থমকে না যায়, জীবিত মানুষ যেন প্রাণহীন হয়ে না পড়ে সেই কামনা থেকেই কবিভক্ত কবির কণ্ঠে বসন্ত বন্দনা শুনতে চেয়েছেন। একদিকে শোকসন্তপ্ত হৃদয় কবিকে শীতের সন্ন্যাসরূপে আবদ্ধ রাখতে চায়; অন্যদিকে প্রকৃতি ডাকে নতুন এক আবাহনী মন্ত্রে- জাগো! জাগো! উঠে দাঁড়াও প্রাণের সঞ্জীবনী নিয়ে। মানবজীবনের দুঃখ-বেদনা, সময়ের গভীর বাস্তবতা এ কবিতায় এক বিচিত্র অনুভূতিতে বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন-১.‘মাঘের সন্ন্যাসী’ কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর: কবি শীতকে মাঘের সন্ন্যাসীরূপে কল্পনা করেছেন।
প্রশ্ন-২. ‘উন্মনা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উৎকণ্ঠিত, ব্যাকুল, আনমনা, উদাস।
প্রশ্ন-৪. সুফিয়া কামালের জন্মসাল-
উত্তর: ২০ জুন, ১৯১১।
প্রশ্ন-৫. সুফিয়া কামাল কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: বরিশালের শায়েস্তাবাদে।
প্রশ্ন-৬. সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর: সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়।
প্রশ্ন ৭. সুফিয়া কামাল কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: নভেম্বর ২০, ১৯৯৯ সালে।
প্রশ্ন-৮. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কোন ঋতুর আগমনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: বসন্ত ঋতুর আগমনের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-৯. ‘কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি’-কার আঁখি? 
উত্তর: কবির আঁখির কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১০. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির নীরবতার কারণ কী?
উত্তর: প্রিয়জন হারানোর শোক ও গভীর বেদনাবোধ।
প্রশ্ন-১১. মাঘের সন্ন্যাসী কোথায় চলে গেছে?
উত্তর: মাঘের সন্ন্যাসী পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে চলে গেছে।
প্রশ্ন-১৪. ‘পুষ্পারতি’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘পুষ্পারতি’ শব্দটি ফুলের বন্দনা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রশ্ন-১৫. ‘অর্ঘ্য বিরচন’ অর্থ কী?
উত্তর: অর্ঘ্য বিরচন শব্দের অর্থ উপহার রচনা।
প্রশ্ন-১৬. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন-১৭. সুফিয়া কামালের স্বামীর নাম কী?
উত্তর: সৈয়দ নেহাল হোসেন।
প্রশ্ন-১৮. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি কোন ছন্দে লেখা?
উত্তর: ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কলি

 

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’